প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ৭:৪৪ PM
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা চরের বাদামক্ষেত, ফলন বিপর্যেয়র শঙ্কায় চাষিরা। এপ্রিলের তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে ফলনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরা। এ মৌসুমে ভালো ফলন বাজার দামও ভালো পাবেন বলে মনে করছিলেন তারা। কিন্তু ফলনের মাঝপথেই বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, তাপপ্রবাহে দৌলতপুরের চরাঞ্চলে বাদাম চাষিরা এবার ক্ষতিগ্রস্ত। আগামীতে সেচ ব্যবস্থা রেখে বাদাম চাষ করার পরামর্শ। উপজেলার ফিলিপনগর, রামকৃঞ্চপুর, চিলমারী ইউনিয়নে পদ্মানদীর জেগে উঠা চরে বাদাম চাষের উপযোগী হলেও এবার তীব্র তাপপ্রবাহে বাদামের গাছ শুকিয়ে ঝিমে গেছে। এতে আর্থিকভাবে লোকসানের আশঙ্কা কৃষকদের।
উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের বাদাম চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছর বাদামে লাভ হলেও সেই আশায় এবার ৫ বিঘা বাদাম লাগিয়েছি। রোদ আর তাপমাত্রায় বাদাম গাছ শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। সেচ ব্যবস্থা না থাকায় গত কিছুদিন থেকে বাদাম গাছ পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ইসলাপুরের মানিক হোসেন জানান, এ বছর ২৬ বিঘা বাদাম লাগিয়েছি, প্রতি বিঘা বাদাম চাষে ১৭-১৮ হাজার খরচ হয়েছে। অতিরিক্ত খরার কারণে প্রায় ৮ বিঘা বাদাম একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার লোকসানের আশঙ্কা করছেন তিনি। আরো কিছুদিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে বাকি জমির বাদাম নষ্ট হয়ে যাবে।
একই এলাকার বাদাম চাষি সোলাইমান হোসেন জানান, গত বছর ৫ বিঘা বাদাম ছিলো, এবারে ৮ বিঘা লাগিয়েছি কিন্তু অতিরিক্ত খরার কারণে সব বাদাম পুড়ে গেছে। এ বছরে সবই লস। এলাকায় এ বছরে বৃষ্টি নাই, সেচ দিয়ে বাদাম রক্ষা করাও সম্ভব হচ্ছে না। অতিরিক্ত রৌদ্রের তাপে সব নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতি পোষাতে সরকারি সহযোগিতা কামনা করেন। পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চরে বাদাম চাষি রফিকুজ্জামান জিল্লু নামের এক ইউপি সদস্য জানান, অনেকটা শখের বসে দশ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম কিন্তু অনাবৃষ্টি আর রোদে সব বাদাম গাছ পুড়ে গেছে। এদিকে দৌলতপুর কৃষি অফিসের অতিরিক্ত কৃষি অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, এ বছর দৌলতপুরে ৮১৮ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে।
এদিকে দৌলতপুরে বৃষ্টি নাই তার উপর তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বাদাম চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত। তবে আগামীতে সেচ ব্যবস্থা রেখে বাদাম চাষ করার পরামর্শ দেন কৃষকদের।
আজকালের খবর/ওআর