শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪
শিশুর মানস গঠনে নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব
শাহানারা স্বপ্না
প্রকাশ: সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৮:০৯ PM
মানুষের জীবনের একটি  গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ শিক্ষা। শিশু জন্ম নেওয়ার সাথে সাথেই এ অনুষঙ্গের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। জীবনের জন্যই শিক্ষা,  জীবন থেকে শিক্ষাকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না। মানুষের সংক্ষিপ্ত পার্থিব জীবনে শিক্ষা বয়ে আনে কল্যাণ।  শিশুর শিক্ষার শুরুতেই মূল্যবোধ সম্পন্ন ও নৈতিক জ্ঞানসম্পন্ন  শিক্ষা দিতে পারলে শিশু  কল্যাণের পথে জীবন গড়ার সুযোগ পাবে। একটি দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা কোমলমতি শিশুদেরকে ধীরে ধীরে দেশের প্রতি ভালোবাসা ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। যে শিশু নিজের দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ধর্ম, সাহিত্য ইত্যাদি সম্পর্কে জানার সুযোগ পায় না, তার মধ্যে কীভাবে দেশের প্রতি মমত্ববোধ সৃষ্টি হবে?   

একমাত্র মানব শিশুরই প্রয়োজন হয় শিক্ষা ও পরিচর্যা। এজন্যে আল্লাহর প্রথম বানীই ছিল-‘পড়’। জীবন চলার সঠিক পথ চেনার জন্য মানুষকে তিনি শিখিয়েছেন কীভাবে পড়তে হবে, উল্লেখ করেছেন ‘কলমে’র কথা  যা দিয়ে লেখা হয়। শিশু  প্রথমে পারিবারিক পরিসর থেকেই মূল্যবোধের মৌলিক শিক্ষা পেতে শুরু করে। মা-বাবা-আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকেই প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ নেয়। চারপাশে যা কিছু দেখে তা শেখে। তার বোধ-বুদ্ধি-বিশ্বাস অনুযায়ী তার আচরনবিধি গড়ে ওঠে।

যে কোনো অভিভাবক মাত্রই স্বীকার করবেন, বর্তমানে  সমাজে ধর্মহীনতার যে সয়লাব তার অন্যতম কারণ ভুল তত্ত্ব ও তথ্যে ভরপুর বইয়ের বিস্তৃতি। কাল্পনিক ও প্রমাণহীন তথ্যে ভরপুর বইকে সহজলভ্য করে কোমলমতি ছেলেমেয়েদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষতিকর প্রভাবে শিশুরা ক্রমশ বইয়ের জগত থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। বর্তমান সামাজিক অস্থিরতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাহীনতা, সম্মানবোধ ও সম্প্রীতির অভাব তরুণ সমাজের মাঝে ব্যাপক আকারে বিরাজ করছে। এর  অন্যতম কারণ, ভুল বই পড়ে ভুল শিক্ষা, মূল্যবোধহীন ভুল  শিক্ষা। নৈতিক জ্ঞানহীন শিক্ষা মানুষকে অন্তসারশূন্য করে তোলে।  তাই শিশুকে জৈবিক শিক্ষার পাশাপাশি আত্মিক শিক্ষা দিতে হবে।  এ শিক্ষা সঠিকভাবে পূরণ হলেই  মানুষ জীবনে শান্তি, শক্তি ও স্বস্তি পায়। আত্মিকভাবে দেউলিয়া হলে তার জীবন যাপন অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।

শিশু কী দেখছে, কী খাচ্ছে, কীভাবে খাচ্ছে, কী করছে, কীভাবে করছে ইত্যাদি প্রতিটি বিষয় মনিটরিং করতে হবে। সঠিক পদ্ধতি জানাতে হবে তাদেরকে। আর একজন মানুষের পরিপূর্ণভাবে গড়ে ওঠার পথটি একা একা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। পুরোপুরি একটি জীবন বিধান সম্পর্কে কোনো একজন মানুষের জ্ঞান খুব বেশী হতে পারে না। সেজন্যই আল্লাহর দেওয়া গাইড অনুসরন সবচেয়ে নিরাপদ।

আজকের তরুণরা সঠিক শিক্ষার অভাবে বিদ্যালয়ে শিক্ষার বদলে অস্ত্রের মহড়া দেয়। অনৈতিক কাজে নিজেকে জড়ায়। কাঁচা টাকার লোভে কলম ছুড়ে ফেলে হাতে তুলে নেয় অস্ত্র। যুবসমাজের দৃঢ়তা আজ তলানিতে ঠেকেছে। অল্প সময়েই হতাশাগ্রস্ত হয়ে আসক্ত হয়ে পড়ছে নানারকম  জীবনবিনাশী নেশাদ্রবব্যে।  পরিবারে পরিবারে অশান্তির আগুন বাড়ছেই, অনেকেই বেছে নিচ্ছে আত্মহননের পথ। এসব ক্ষতি থেকে বাঁচতে ভারসাম্যময় শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

সাধারণ আধুনিক শিক্ষার সাথে সাথে ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়েই  শিশু সঠিক শিক্ষা পেতে  পারে। তৃণমূল থেকেই সততা, নৈতিকতার শিক্ষা পেলে অনৈতিকতার পথে সে পা বাড়াবে না।  একটি শিশু যাতে প্রাথমিক স্তর থেকেই শক্ত ধর্মীয় ভিত্তির  উপর দাঁড়াতে পারে, সে ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবী।

প্রাথমিক স্তর : আমাদের বুনিয়াদি শিক্ষার ভিত্তি গড়ে ওঠে প্রাথমিক শিক্ষাকে কেন্দ্র করে। আরেকটু স্পষ্ট করে বললে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা হল বুনিয়াদি শিক্ষার প্রথম স্তর। আমাদের দেশে প্রথম থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষাস্তর। আর প্রাক-প্রাথমিক স্তরে রয়েছে শিশু শ্রেণী। কিন্তু ধর্মশিক্ষার  বিষয় শুরু হয়  তৃতীয় শ্রেণী থেকে, তাও নামকা ওয়াস্তে। অর্থাৎ শিশু, প্রথম কিংবা দ্বিতীয় শ্রেণীতে ধর্মীয় শিক্ষার কোনো ছোঁয়া পায় না। এটি একটি ভুল পদ্ধতি। শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকেই শিশুকে কল্যাণকর শিক্ষার উপকরণ দিতে হবে।  একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের শিশুদের খুব ছোট সময় থেকেই ইসলামের শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।  আল্লাহর একত্ববাদ, মনে-মুখে স্বীকার এবং সে অনুযায়ী কাজ করার তালিম প্রথম থেকেই না দিলে সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে সে। এ ক্ষতি শুধু শিশুর ব্যাক্তিগতই নয়- পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও দেশের ক্ষতি। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী চলার মতো সাধারণ জ্ঞান শিক্ষার তৃণমূল স্তর থেকেই দিতে হবে।

আমাদের দেশের  স্কুল সিলেবাসে কোমলমতি  শিশু শিক্ষার অবস্থা বলা যায় ভয়াবহ। ইংরেজি মাধ্যমের হাজার হাজার শিশু শিক্ষার্থী মূল্যবোধহীন শিক্ষা পেয়ে বড় হয়ে উঠছে। নিজ দেশ, দেশের ঐতিহ্য, ধর্ম, কৃষ্টি ইত্যাদি সমৃদ্ধ পাঠ তাদের কোনো পাঠ্যসূচীতে নেই। উদাহরণস্বরূপ স্কলাস্টিকা স্কুলের কথা ধরা যেতে পারে। অন্যতম বড় মাপের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ছে হাজার হাজার শিশু।  ক্লাস ওয়ান থেকে  থ্রি-ফোরের বইতে বাংলাদেশের লেখকদের কোনো লেখা নেই বললেই চলে। অন্যদেশের ইতিহাস, স্থান, নাম, ঐতিহ্য ইত্যাদি শিখে বড় হচ্ছে আমাদের শিশুরা। বাংলা বইয়ে  গল্প, কবিতা, দ্রুত পঠন সবই অন্য দেশের লেখকদের এবং অন্য ধর্মের আলোকে লেখা। তাহলে শিশু নিজদেশের সাহিত্য,  লেখক  ও ধর্ম সম্পর্কে  কীভাবে জানবে?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণী থেকে শিশুকে প্রথম ধর্মীয় শিক্ষার বই দেওয়া হয়। তখন তার বয়স আট থেকে ১০ বছর হয়ে যায়। ধর্মশিক্ষা কেন শিশু শ্রেণী থেকে চালু করা সম্ভব নয় কিংবা কেন করা হচ্ছে না, এ বিষয়ে শিক্ষাবিদদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তাই শিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে নগণ্য, গতানুগতিক ধর্মশিক্ষা পায় তা প্রশ্নসাপেক্ষ।  শিশুদের যোগ্য, দক্ষ করে গড়ে তোলার মানসে আজকাল অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের কিন্ডারগার্টেনে পাঠাচ্ছেন। সেখানেও শিশুরা পর্যাপ্ত ধর্মীয় জ্ঞান ও নৈতিক শিক্ষা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একজন মা-বাবার প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হল সন্তানদের আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর নির্দেশিত পথে চলার শিক্ষা দেওয়া। তার জন্য সবাইকে মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। সাধারণ আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মশিক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দিলে সহজেই তার সমাধান হয়ে যায়। শিশু যেন প্রাথমিক স্তর থেকেই শক্ত ধর্মীয় ভিত্তির উপর দাঁড়াতে পারে, সে ব্যবস্থা আমাদের সাধারণ শিক্ষার প্রাথমিক স্তরেই সৃষ্টি করা জরুরি।

বর্তমানে ধর্ম শিক্ষার বিষয়ে চলছে একটা বিভ্রান্তিকর অবস্থা। শিক্ষার সঠিক ইতিহাস জানলে এ বিভ্রান্তি দূর হবে। মূলত  মুসলমানদের জ্ঞান বিজ্ঞান, ব্যবসা-বাণিজ্য পদ্ধতি, শিক্ষা কারিকুলাম ইত্যাদি ধার করেই ইউরোপের উন্নত সভ্যতা নির্মাণের পথযাত্রা শুরু হয়েছিল। বাগদাদের নিজামিয়া, গ্রানাডা, কায়রো, কর্ডোভা ইত্যাদিতে তখনকার সভ্যতাগর্বী মুসলমানদের উচ্চতমশিক্ষার মডেলকে ধারণ করেই ইংল্যান্ডে স্থাপিত হয়েছিল অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ ইত্যাদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মুসলমানদের শিক্ষা পদ্ধতি, দর্শন, আর্ট, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ইত্যাদি উন্নত শিক্ষার কারিকুলাম ইউরোপ শুধু গ্রহণই করেনি বরং তারা আরবী ভাষার সমস্ত বই-পুস্তক নিজ নিজ ভাষায় অনুবাদও করেছিল। না হলে মুসলমানদের সবকিছু জ্ঞান ধার করা সম্ভব হতো না এবং তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতোই বা কীসের ভিত্তিতে? ইউরোপের  শিক্ষা ব্যবস্থা মুসলমানদের তত্ত্ব ও তথ্যের ভিত্তিতে গড়ে তুললেও তারা খুব সচেতনভাবে ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিমূল পাশ কাটিয়ে খ্রিস্টান মূল্যবোধের মৌলিক বিষয়াদি আত্মীকরণ করেছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশে দেশে কলোনিয়াজমের বিস্তার ঘটিয়ে তারা তাদের শিক্ষাকে সেসব দেশে চাপিয়ে দিয়েছিল। ব্রিটিশ কলোনিয়াল যুগের চাপিয়ে দেওয়া বিকৃত শিক্ষাই এখনো আমরা আত্মস্থ করে চলেছি।

বহু আগেই স্বাধীন দেশের অবকাঠামো পেলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষার সংস্কার, সেটি আমরা করতে পারিনি। ব্রিটিশরা উপনিবেশিক শাসন আমলের ২০০ বছরে আমাদের  প্রচলিত ভাষা ও শিক্ষা জোর করে বন্ধ করে দিয়েছিল। নতুন করে চালু করেছিল ঔপনিবেশিক শাসকদের নব্য শিক্ষার ধারা এবং তা এদেশীয়দের জন্য কিছুটা বিকৃতভাবে। ফলে পরাধীনতা, বিদেশি আধিপত্য, ঔপনিবেশিক শাসন, শোষণ ও নিপীড়নের শিকার হওয়ায় মুসলমান সমাজ আত্মবিশ্বাসহীন মানব গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। নিজেদের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যিক শিক্ষাসূচী বাদ দিয়ে সবক্ষেত্রে পাশ্চাত্যবাদী ধ্যান-ধারণা গ্রহণ করেছে। এর ফলে  নিজেদের অনুপ্রেরণা এবং উজ্জীবনী শক্তির আধ্যাত্মিক শক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাশ্চাত্যের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল  হওয়ার মারাত্মক কুফল হলো মুসলিম সমাজের জীবনী শক্তির চরম অবক্ষয়।  শিক্ষার ক্ষেত্রে কাগুজে সার্টিফিকেট পদ্ধতি সত্যিকার জ্ঞানকে প্রায় নিঃশেষ  করে দিয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষাঙ্গন থেকে বিতাড়িত করেছে মূল্যবোধ।

ইসলাম ভারসাম্যপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। শিক্ষার ক্ষেত্রেও  রয়েছে ভারসাম্যমূলক পদ্ধতি। মানব চরিত্র সঠিকভাবে গড়ে তোলার জন্য যেসব মৌলিক মূল্যবোধের অনুশীলন শিশুকাল থেকেই করা দরকার, তার প্রত্যেকটি বিষয় কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। শিশু শিক্ষার ভিত্তি স্বরূপ ইসলাম যেভাবে  শিক্ষা দেওয়ার কথা বলেছে, তারচেয়ে উন্নতমানের কোনো শিক্ষার কথা আধুনিক কোনো দার্শনিকই দিতে পারেনি এবং দেওয়া সম্ভবও নয়। শিশুরাই আগামীদিনের ভবিষ্যৎ, জাতির কান্ডারি। ছোটবেলা থেকেই  নৈতিকতা, আল্লাহর প্রতি ভয় ও সততা নিয়ে বেড়ে ওঠা শিশুই সুনাগরিক হতে পারে। বিদ্যালয়ের নৈতিক শিক্ষা শিশুর সারা জীবনে প্রভাব ফেলে। শিশুর সুন্দর মানস গঠনে ও মানবিক মূল্যবোধ শিক্ষায় ঐতিহ্যিবাহী শিক্ষাই হতে পারে একমাত্র পথ।

শাহানারা স্বপ্না : সাহিত্যিক ও কলাম লেখক।
আজকালের খবর/আরইউ








সর্বশেষ সংবাদ
মার্কিন শ্রমনীতি পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক অবস্থা তৈরি করতে পারে: পররাষ্ট্র সচিব
স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়ার কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা-হয়রানি
একদিনে দশটি পথসভা, উঠান বৈঠক ও একটি জনসভা করেন সাজ্জাদুল হাসান এমপি
নতুন বছরে সুদহার বাড়ছে
শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখেই আজকের উন্নত বাংলাদেশ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
রাজপথের আন্দোলনে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে: মুরাদ
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অনন্য ভূমিকায় ইসলামী ব্যাংক
ইতিহাসের মহানায়ক: একটি অনন্য প্রকাশনা
নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এক দিনে সারাদেশে ২১ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft