‘ডিসেম্বর মাস’ আমাদের বিজয়ের মাস, স্বৈরাচার পতনের মাস। বায়ান্ন বছর পুর্বে সংগঠিত একাত্তরের মুক্তি সংগ্রাম প্রত্যক্ষ করেছেন এমন মানুষের সংখ্যা এখন খুব বেশী নেই। আগামী পঞ্চাশ বছর পরতো তাদের কাউকেই খুঁজে পাবো না। যেমন পাওয়া যায় না শত বছর আগে সংগঠিত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কোনো প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিকে। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ কিংবা উনিশত চৌদ্দ-আঠারো সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে আলোকপাত করা আজকের লেখার উপজীব্য বিষয় নয়। আজকের লেখার মূল বিষয় তেত্রিশ বছর আগে সংগঠিত নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে।
স্নাতক শ্রেণির ছাত্র হিসেবে যে অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ও কাছ থেকে দেখা ও জানার সুযোগ হয়েছিলো।
সাপ্তাহিক নগরীর প্রতিবেদক হিসাবে নব্বই সালের অধিকাংশ সময় কেটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। মূলত ১৯৯০ সালের ২৭ ডিসেম্বরে বিএমএ’র তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব ডা. শামসুল আলম খান মিলনের মৃত্যু ছিলো নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মূল টার্নিং পয়েন্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালইয়ের টিএসসি গোল চত্বরের ঠিক পশ্চিম উত্তর দিকে সড়কের মাঝখানে ডা. মিলন গুলীবিদ্ধ হন। যদিও পরবর্তীতে ডা. মিলনের স্মৃতি স্তম্ভ তৈরী করা হয় ঘটনাস্থল থেকে আরো ত্রিশ-চল্লিশ গজ পশ্চিম উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার ভবনের পেছনে।
তৎকালীন শাসক স্বৈরাচার এরশাদের লালিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রদল থেকে বহিষ্কৃত গোলাম ফারুক অভি গংদের গুলীতে ডা. মিলন নিহতের ঘটনায় পুরো দেশ ফুঁসে ওঠে। ২৭ নভেম্বর রাতে সারাদেশে জরুরি অবস্থা জারী করা হয়। সাংবাদিক সংগঠন বিএফইউজে সরকারের বিপক্ষে দাঁড়ায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনও সরকারবিরোধী আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে। সারাদেশে শুরু হয় লাগাতর বিক্ষোভ, মিছিল, হরতাল, অবরোধ। সাংবাদিক ইউনিয়নের ধর্মঘটে বন্ধ হয়ে যায় সকল প্রকার সংবাদপত্র প্রকাশনা। বহিবিশ্বের সাথে যোগাযগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকা হয়ে ওঠে বিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র। ২৮ নভেম্বর ছাত্র জনতা কারফিউ উপেক্ষা করে মিছিল করেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন সাত দল, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন আট দল ও বাম পাঁচ দল যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীও আলাদাভাবে আন্দোলনে যোগদান করে। ২৮ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ পর্যন্ত এরশাদ হটাও আন্দোলনে কেবল রাজধানীতেই ২৩ জন নিহত হয়।
তীব্র আন্দোলনের মুখে ৩ ডিসেম্বর সোমবার এরশাদ রেডিও ও বিটিভি’র মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দেন। ভাষণে নির্বাচনের পনর দিন আগে সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। এরশাদের ভাষণের পর সাত দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিবিসিকে দেয়া তার সাক্ষাৎকারে এরশাদের প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন এই মুহূর্তেই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আন্দোলনকারী আট দল ও বাম পাঁচ দলও এরশাদের প্রস্তাব বাতিল করে দেয়। কারফিউ মাঝে রাস্তায় নেমে পড়ে ছাত্র জনতা। শেরেবাংলা নগর কলোনিতে বসবাসকারী ছাত্র জনতার অনেকেই বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন। দেখা হয় হাসান মাশরুক জয় ভাইয়ের সাথে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য। তিনি বলেন এটি এরশাদের ভাওতাবাজী। তার নেতৃত্বে শুরু হয় জংগী মিছিল, শ্লোগান ছিলো ‘এরশাদের ঘোষণা বীর জনতা মানে না’। এমন বিক্ষোভ ছিলো রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরগুলোতে। বিক্ষুব্ধ জনতা সরকার দলীয় আরেক শীর্ষ নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরীর বাড়িতে হামলা চালায়। পরের দিন ৪ ডিসেম্বর এই ক্ষোভ আরো তীব্র আকার ধারণ করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এ দিন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে ৪ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীবাসী ঘরে ফিরে আসে। দিনটি ছিলো মঙ্গলবার। রাত নয়টার পর বিটিভিতে প্রচারিত হয় হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘অয়োময়’। নাটকের মাঝে প্রচার হয় রাত দশটার ইংরেজী সংবাদ। ত্রিশ মিনিটের সংবাদ সেদিন মাত্র পনর মিনিট প্রচার হয়। বিটিভির রস-কস হীন সংবাদের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎই ঘোষণা করা হয় President H M Ershad has decided to resign, এই ঘোষণা শোনার সাথে সাথে রাজধানীর অলি-গলি, সড়ক-মহা সড়কে মানুষের ঢল নামে। রাত সোয়া দশটায় শেরেবাংলা নগর কলোনি’র বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ি। এক দৌড়ে আগারগাও সড়কে জাতীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে দাঁড়াই। যার অদূরে পশ্চিমে জাতীয় বেতার ভবন, অল্প দূরে পঙ্গু ও শিশু হাসপাতাল আর আধা কিলোমিটার পুর্ব দিকে শেরেবাংলা নগর বয়েজ স্কুল ও আগারগাও বাস স্টপেজ। লক্ষ্য করলাম শেওড়াপাড়া-তালতলা কলোনী থেকে হাজার ছাত্র জনতার স্রোত রোকেয়া স্বরণি হয়ে আগারগাও অভিমুখে ধাবমান। সেই স্রোতে পাগলা সুমন, নব্বী, সাহেদীন সুজন, শাহ জালাল প্রমুখ সহ আমরাও শামিল হই। ছাত্র জনতার মিলিত শক্তি প্রেসক্লাব অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। সেকেন্ড গেটের কাছে আসতেই বাঁ দিকে চোখে পড়ে এসএস স্টিলে মজবুত দেয়ালে লেখা ‘এরশাদ জাতীয় স্কয়ার’ নাম ফলক। উত্তেজিত ছাত্র জনতা তা উপড়ে ফেলে। এখানে দেখা হয় বন্ধু আইয়ুব সোহেলের সাথে। বিজয় স্বরণি এসে দেখা গেলো শ্বেত পাথরে নির্মিত একটি ভিত্তি প্রস্থর যেখানে খোদাই করা ছিলো ‘বিজয় স্বরণি, উদ্বোধন করেছেন হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ’ জনতা এটিও গুঁড়িয়ে দিলো। বিজয় স্বরণি ফোয়ারা হয়ে এয়ারপোর্ট সড়ক দিয়ে ফার্মগেটের দিকে এগোতে থাকি। ফার্মগেট পুলিশ বক্সের কাছে আসতেই সবার দৃষ্টি গেলো ফার্মগেট ওভার ব্রিজের উপরের রেলিং বরাবর যেখানে শোভা পাচ্ছে বিশাল বিল বোর্ডে একটি বাণী ‘৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে-এরশাদ’ এখানে দেখা গেলো জনতার স্রোত আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের একদল ওভারব্রিজে ওঠে যায়। উদ্দেশ্য এরশাদের বাণী সম্বলিত বিল বোর্ডটি খুলে ফেলা। মুহূর্তের মধ্যে জনতা তা খুলে ফেলে। তবে এ সময় একটি দুর্ঘটনা ঘটে। একজন আন্দোলনকারী বিল বোর্ডটিকে জোরে ধাক্কা দিয়ে খুলতে গিয়ে ব্রিজের উপর থেকে নীচে সড়কের উপর পড়ে যায়। সেখানে তাৎক্ষণিক তার মৃত্যু ঘটে। এই আন্দোলনকারীর নাম এরশাদের পতন ইতিহাসে হয়তো স্থান পায়নি, যে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমাদের মতো আরো অনেকেই ছিলেন। ফার্মগেট ব্রিজের নীচে একটি মাইক্রোবাস দেখতে পেয়ে অনেকেই সেদিকে এগিয়ে যান। সেখানে ডক্টর কামাল হোসেনকে দেখা যায়। রাতে ছাত্র জনতার বিচ্ছিন্ন স্রোত ফার্মগেট থেকে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে আর শ্লোগান দিতে থাকে ‘এই মাত্র খবর এলো এরশাদ নাকি পালিয়ে গেলো, মোয়াজ্জেম ধর, জবাই কর, মান্নান ধর, জবাই কর, কোরবান ধর জবাই কর,ধর শালারে মার শালারে’ ইত্যাদি নানা ধরনের এরশাদ ও তার মন্ত্রী বিরোধী স্লোগান। শেরাটনের কাছে এসে অনেকেই অপেক্ষা করছে যদি এরশাদ সরকারের কোনো মন্ত্রী সেখানে পাওয়া যায়। মন্ত্রীদের ভাগ্য সেদিন সুপ্রসন্য ছিলো যে ৪ ডিসেম্বর রাতে উত্তেজিত ছাত্র জনতার রোষানলে তারা পড়েন নি। বারডেম, পিজি, সড়ক ভবন পার হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে এসে দেখি জনতার জটলা। একটি জটলায় বক্তব্য রাখছেন তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা নাসির উদ দৌজা। সেখানে এসে অনেকেই তৎকালীন সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য নেতাদের খোঁজছেন তাদের কে অভিনন্দন জানাতে। সর্ব দলীয় ছাত্র ঐক্য নেতা ডাকসু ভিপি আমান উল্লাহ্ আমান, জিএস খায়রুল কবীর খোকন, এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম, হাবিবুর রহমান হাবিব, নাজমুল হক প্রধান, ফজলুল হক মিলন, নুর আহমেদ বকুল, শফি আহম্মেদ, অসীম কুমার উকিল প্রমুখ ছাত্রনেতা গণ ছিলেন এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ। তাদেরকে কাউকে প্রেস ক্লাবে না পেয়ে পল্টন, দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে মতিঝিলে জাতীয় পার্টির অফিস ‘আল্লাহওয়ালা ভবন’র কাছে পৌঁছে দেখা গেলো ভবনটি দাউ দাউ করে জ্বলছে। আর দমকল কর্মীগন আল্লাহ ওয়ালা ভবনের দুপাশের ভবন দুটিতে পানি মারছেন যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে। মনে হলো ৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ছাত্র জনতার সমস্ত ক্ষোভ যেন এই ভবনটির উপর এসে ভর করেছে। জ্বলন্ত আগুনের মধ্যেও জনতা ভবনটিকে উদ্দেশ্য করে ইট,পাটকেল, স্যান্ডেল, জুতা নিক্ষেপ করে যাচ্ছে।
আগারগাও থেকে মতিঝিল আট-নয় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সেদিন কোন ক্লান্তি আমাদের স্পর্শ করতে পারেনি। মতিঝিল থেকে মিছিল করতে করতে শাহবাগ এসে মনে হলো সামান্য অবসাদ আমাদের গ্রাস করতে যাচ্ছে। শাহবাগ থেকে কীভাবে ফার্মগেট হয়ে আগারগাও পৌছাবো? কারফিউ’র কারণে সড়কে কোন যান বাহন দেখা যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পরে পাঁচ টনি একটি ট্রাকের দেখা পেলাম। কিন্ত সেটি রড বোঝাই। ট্রাকের সামনে দাঁড়িয়ে তাকে থামানো হলো। ট্রাক চালক আমাদের ফার্মগেট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে মহাখালীর দিকে চলে গেলো। ফার্মগেট থেকে দৌড়ে এফ-১৫১ বাসায় যখন ফিরি তখন ভোর সাড়ে তিনটা বা চারটা, তারিখ ৫ ডিসেম্বর বুধবার।
৫ ডিসেম্বর সকাল বেলাটা ছিলো অন্যরকম। শহরময় জনতার উচ্ছ্বাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, প্রেসক্লাব, মালিবাগ, পল্টন, গুলিস্তান সর্বত্র ছাত্র জনতার বাঁধভাঙ্গা উল্লাশ। মিছিল, স্লোগানে মুখরিত গোটা রাজধানী। বিকালে সাত দল গুলিস্তান চত্ত্বর ও আট দল বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জনসভা ডেকেছে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে আটক অনেকেই এদিন জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। তৎকালীন ছাত্র নেতা ইলিয়াস আলীসহ অনেকেই কারাগার থেকে বেরিয়ে সরাসরি তাদের নিজ নিজ দলের জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন।
৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার, উপ রাষ্ট্রপতি মওদুদ আহমেদ রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের কাছে পদত্যাগ করেন। ৩ জোটের রূপরেখা অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি সাহাব উদ্দিন আহমেদকে তত্ত্ববধায়ক সরকার প্রধানের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবনা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এরশাদ প্রধান বিচারপতি সাহাব উদ্দিন আহমেদকে উপ রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগ দান করেন। পরে রাষ্ট্রপতি এরশাদ উপ রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাব উদ্দিনের কাছে পদত্যাগ করেন। বিচারপতি সাহাব উদ্দিন আহমেদ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসাবে পরবর্তীতে দ্বায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করেন যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসাবে পরিগণিত।
কাগজে কলমে ১৯৯০-এর ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ পতন দিবস পালিত হলেও এর প্রকৃত স্বাদ ছাত্র জনতা ভোগ করেছিলেন ১৯৯০-এর ৪ ডিসেম্বর রাত থেকে ৫ ডিসেম্বর দিন অবধি। তেত্রিশ বছর আগে স্বৈরাচার পতন হয়েছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম ও ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ সহ চার চারটি সংসদ নির্বাচনে দেশবাসী ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছিলো।
দেশের আমজনতা ভোটের অধিকার আবারো ফিরে পাবে- বিজয়ের মাস ও স্বৈরাচার পতনের মাসে এই প্রত্যাশা রইলো।
মোহাম্মদ মাসুদ খান : সাধারণ সম্পাদক, শেরেবাংলা নগর গভ. বয়েজ হাই স্কুল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন, ঢাকা।
আজকালের খবর/আরইউ