শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪
মালয়েশিয়ায় তালাবদ্ধ ঘরে মিললো ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী জয়ের মরদেহ
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৯:০১ PM
ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয় পলাতক অবস্থায় মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে মারা গেছেন। গত ১২ এপ্রিল কুয়ালালামপুরে একটি তালাবদ্ধ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে গতকাল সোমবার দুপুরে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর কুয়ালালামপুরে তাকে দাফন করা হয়।

খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয় এতদিন তারেক রানা নামে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন।

সূত্র জানায়, জয় অনেকদিন ধরে কুয়ালালামপুরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে একা বসবাস করছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত হন। তাকে ডায়ালাইসিস করাতে হতো। ওই অ্যাপার্টমেন্টে একজন গৃহকর্মী দুদিন পরপর এসে রান্না ও ঘর পরিষ্কার করে চলে যেতেন। গত ১২ এপ্রিল সকালে ওই গৃহকর্মী অ্যাপার্টমেন্টে এসে নক করার পরও কোনো সাড়া না পেলে বিষয়টি অ্যাপার্টমেন্টের নিরাপত্তাকর্মীদের জানান। তারাও ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে জয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া (ইউকেএম) হাসপাতালে পাঠায়।

ইউকেএম হাসপাতালের অধ্যাপক ফারিদা মুহা নূর মরদেহ ময়নাতদন্ত করেন। অধ্যাপক ফারিদা মুহা নূরের এক সহকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সোমবার সকালে জয়ের এক বোন মরদেহ নিতে মালয়েশিয়ায় আসেন।

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, জয়ের বোন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কুয়ালালামপুরে এসে সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসে ভাইয়ের মরদেহের জন্য লিখিত আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে দূতাবাস তাকে মরদেহ গ্রহণের এনওসি দেয়। এরপর এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মরদেহ দাফন করেন।

নব্বই দশকের ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ লিয়াকত–হান্নানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আলোচিত হন তানভীর ইসলাম জয়। কলাবাগানের এক ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান জয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদের সঙ্গে মিলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন। সেসময় তাদের গ্রুপ পুলিশের কাছে সেভেন স্টার নামে পরিচিতি পায়। জয়ের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা, দুটি হত্যাচেষ্টা, ভয়ংকর অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম এবং চাঁদার জন্য শারীরিক ক্ষতির হুমকি দেওয়ার অসংখ্য অভিযোগ ছিল।

২০০০ সালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি ভারতে চলে যান। সেখানে থাকা অবস্থায় তারেক রানা নামে পাসপোর্ট করে ২০০১ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। এরপর আবার ভারতে ফিরে আসেন। ভারতে থাকার সময় তার নামসহ ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর পোস্টার প্রকাশ করে পুলিশ।

২০০৫ সালে বাংলাদেশের অনুরোধে ইন্টারপোল ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারি করে জয়ের বিরুদ্ধে। ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফতাব আহমেদ খুনের ঘটনায় তার নাম আসে। ২০০৭ সালে রাজধানীর গড গিফট ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিতে গোলাগুলির ঘটনায়ও জয়ের জড়িত থাকার কথা ওঠে।

২০০৭ সালে ভারতে অবস্থানের সময় দেশটির সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করে। সেখানে কিছুদিন কারাগারে থেকে চলে যান কানাডায়। এরপর টরন্টোতে ‘এসজে ৭১’ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে বসেন। সেখানে রানা অ্যাজাক্স নামে নিজের পরিচয় দিতে শুরু করেন। ২০১৫ সালে কানাডা পুলিশ তার ব্যাপারে তথ্য পেয়ে তদন্ত শুরু করে।

এরপর ২০১৯ সালে কানাডার নির্বাচনের আগে তিনি মালয়েশিয়া চলে যান। এরপর থেকে তিনি মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন।

আজকালের খবর/বিএস 








সর্বশেষ সংবাদ
একটি মহল গুজবের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বর্ষায় শ্রাবণ, ভরা যৌবনবতীর রূপ
বাবার সামনে হঠাৎ মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে শিশুপুত্র আহাদ!
কোনোকিছুতেই কুলিয়ে উঠতে পারিনি
অন্তর্লিখন
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রুপা-আপসানার প্রস্তাব
জাবি শিক্ষকের ‘পদত্যাগ নাটক’
কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
ভিপিএন ব্যবহারে সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে যেসব ঝুঁকি
আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করেছে বেরোবি
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft