বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫
লিটল ম্যাগাজিন কী
কোনোকিছুতেই কুলিয়ে উঠতে পারিনি
শফিক হাসান
প্রকাশ: শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ৩:৩৮ PM
কাগজে কবিতা সংখ্যা প্রকাশ করার ঘোষণা দেওয়ার পরদিন থেকেই এত এত্ত লেখা এসে স্তূপ হতে শুরু করেছে! বলা নিষ্প্রয়োজন, কবিতার নামে অকবিতাই বেশি। বিশাল পণ্ডিতির ভাব নিয়ে লেখা বাছাই করলাম। ইমেইল তখন অতটা সহজলভ্য ছিল না। আমার কম্পিউটার ছিল না, চালাতে জানতামও না। নিজে কখনো কম্পিউটার শিখব, নিজেরই আস্ত একটা কম্পিউটার হবে এসব ছিল ভাবনারও অতীত। চট্টগ্রামের ষোলশহর দুই নম্বর গেটে বিপ্লব উদ্যানে বন্ধুসভার আড্ডা হতো, জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি (ছিন্নমূলদের ফলাহার, শীতবস্ত্র বিতরণ, দুর্যোগকবলিত স্থানে ত্রাণ পৌঁছানো এসব) ঘোষণাও দেওয়া হতো এখান থেকেই। মুখচোরা স্বভাব ও উচ্চারণ জড়তাজনিত হীনম্মন্যতার কারণে এসব অনুষ্ঠানে কমই গিয়েছি। নিরলে বসে লিখতেই বেশি ভালো লাগত। আগে যতবার গিয়েছি, পরিচয় হয়েছিল কর্তাগোছের অনেকের সঙ্গেই। এদের কেউ কেউ আমাকে নামে চিনতেন। সুদর্শন ফয়সাল ফেরদৌস ভাইয়ের সঙ্গেও সরাসরি বিপ্লব উদ্যানে সাক্ষাৎ, আলাপ। তিনি যেহেতু সম্পাদনা করেন আরও আগ থেকেই, তার অফিস আন্দরকিল্লায় চলে গেলাম একদিন। জানালাম ম্যাগাজিন সম্পাদনা করছি। কিন্তু ধাপ-প্রক্রিয়া কিছুই তো বুঝি না। আমাকে বিপদ থেকে মুক্ত করে দিতে হবে। ফয়সাল ভাই বললেন- সমস্যা নেই। বাছাইকৃত লেখাগুলো নিয়ে সময়মতো চলে এসো।

নির্বাচিত লেখাগুলো নিয়ে গেলাম, কম্পোজ ও মেকআপ করে দিলেন মুহাম্মদ এরশাদ সুজন। প্রিন্ট পেলে আনাড়ি হাতে প্রুফ দেখলাম একাই। অবশ্য দ্বিতীয় কাউকে পাওয়া আমার জন্য সম্ভবও ছিল না। প্রতিবেশী বন্ধুবর জাবেদ হোসেন কিছুটা সহযোগিতা করেছিলেন। তখন তো লোডশেডিং-কাল। চেরাগ জ্বালিয়ে বাকি প্রুফ দেখা শেষ করলাম; নিজের জ্ঞানগম্যিতে যতটুকু কুলাল। পরদিন সকালে প্রুফ কপি নিয়ে গেলাম ফয়সাল ভাইয়ের অফিসে। আমার তৎপরতা ও গতি (!) দেখে তিনি বলে উঠলেন, বাবা রে বাবা!

জুন ২০০৪ সালে বেরিয়ে গেল ‘প্রকাশ’-এর প্রথম সংখ্যা। এক ফর্মার ম্যাগাজিনটির মূল্য রেখেছি ১০ টাকা। ফয়সাল ভাই আমার কাছ থেকে পুরো কাজ বাবদ ২,৫০০ টাকা নিলেন। ৫০০ কপি পত্রিকা ছাপিয়ে দিয়েছেন। ওই বছরই প্রকাশ করলাম আরেকটি সংখ্যা- রম্যগল্প। এটা দেড় ফর্মার। তৃতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হলো ছোটগল্প সংখ্যা হিসেবে। আড়াই ফর্মায়। প্রথম ও দ্বিতীয় সংখ্যার প্রচ্ছদ এঁকে দিলেন আবু হাসান, তৃতীয়টির পীযূষ দস্তিদার। তাদের কাউকে কোনো টাকা দিইনি। মানে দিতে পারিনি!

পত্রিকা তো প্রকাশিত হলো। এবার সৌজন্য কপি পাঠানো ও দেশের বিভিন্ন স্টলে বিক্রির জন্য পাঠানোর পালা। নিউমার্কেটে লিটল ম্যাগাজিনের সবচেয়ে বড় ‘আর্কাইভ’ কারেন্ট বুক সেন্টার। ডিসপ্লের জন্য পর্যাপ্ত স্পেস ছিল তাদের। দেশের নানা প্রান্তের অসংখ্য লিটল ম্যাগাজিন সাজানো-গোছানো থাকত সেখানে। জায়গাটা জলসা সিনেমা মার্কেট নামে পরিচিত। সিনেমা হলে শাবনূর-পূর্ণিমা অভিনীত চলচ্চিত্র দেখি বা না দেখি, নিয়ম করে কারেন্ট বুক সেন্টারে যাওয়া চাই। কী দুর্দমনীয় একটা নেশা ছিল। কারেন্ট বুক সেন্টারে নিজেই দশ কপি ম্যাগাজিন দিয়ে এলাম। নওগাঁর চিত্তভূমি ও বগুড়ার পড়ুয়ার ঠিকানা জানা ছিল, সেখানে কুরিয়ার করলাম। সিলেটের বইপত্র স্টলে ম্যাগাজিন পাঠানোর জন্য কল করলাম অগ্রজ বন্ধু নিখিল নীলকে। তিনিও বন্ধুসভার, শুরুতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকলেও পরে শিক্ষক হয়েছেন। কিছু ম্যাগাজিন স্টলে পৌঁছে দিতে হবে, আমার এমন প্রস্তাব শুনে বললেন, ম্যাগাজিন দিতে পারেন কিন্তু টাকা পাবেন না। জানালাম, সমস্যা নেই! টাকা তো আসলে কেউই দেয় না। অবশ্য বিক্রি যে সব হয়ে যায়, বিষয়টা এমনও নয়।

এবার ঢাকায় পাঠানোর পালা। কাকে পাঠাব, কোন স্টলে? দন্ত্যস রওশন তখন চুটিয়ে অণুকাব্য লেখেন আলপিন ও বন্ধুসভায়। খোকন কোড়াইয়ার সঙ্গে ছোট কবিতার ক্ষুদ্র আয়তনের লিটলম্যাগও সম্পাদনা করেন। স্মৃতি যদি বিশ্বাসঘাতকতা না করে থাকে সম্পাদিত লিটল ম্যাগাজিনটির নাম আমলকী। ব্যবহার করতেন জনান্তিক, ৫০ আজিজ সুপার মার্কেট (নিচতলা), শাহবাগ, ঢাকা ১০০০ ঠিকানা। দেখতে দেখতে ‘জনান্তিক’ নামটি মুখস্থ হয়ে গেল। তখন ফয়সাল ভাইকে বললাম, ঢাকার কোথায় কাগজ পাঠাতে পারি?

তিনি বললেন, জনান্তিক তো রওশন ভাইয়ের। তার নাম লিখে পাঠিয়ে দাও। দন্ত্যস রওশন তখন প্রথম আলোর মফস্বল সম্পাদক। প্রথম আলোর ঠিকানায় কুরিয়ার করলাম তাকে। কিছুদিন পরে তার কল পেলাম রওশন ভাইয়ের। কুশলাদি শেষে তিনি বললেন, জনান্তিকের মালিক তো আমি নই!
সেই দশ কপি পত্রিকা বোধহয় শেষপর্যন্ত বেহাত হয়ে গেল। একজন সিনিয়র লেখক ও সাংবাদিককে তো বলতে পারি না, যথাস্থানে ম্যাগাজিনগুলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য! কোনো একটি ঠিকানা ব্যবহার করলেই লোকজন সেটাকেই ‘স্থায়ী, নিজস্ব’ ঠিকানা ভেবে নেয়। পরে ঠিকানাহীন আমিও আজিজ সুপার মার্কেটস্থ পলল প্রকাশনীর ঠিকানা ব্যবহার শুরু করি। কবি নাজির হুসেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার, তার বাসায় পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতাম একসময়। ঠিকানা দেখে লোকজন ভেবে নিয়েছে আমিই বুঝি এই প্রতিষ্ঠানের মালিক, নিদেনপক্ষে পাণ্ডুলিপি সম্পাদক! টের পেতাম যখন কেউ ওই ঠিকানায় আমাকে খুঁজতে যেত। এর আগে ও পরে কাজ করতাম আরেকটি প্রতিষ্ঠানে। সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান ‘আমার ঠিকানা ব্যবহার করেছে’ বলে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন আমার পেছনে। সহকর্মীরা জানিয়েছিলেন পরে। অবশ্য তিনি আমার ম্যাগ সম্পাদনার কাজকে ভালো চোখে দেখেননি। একবার বলেছিলেনওÑ ‘তোমাকে তো মানুষজন চেনে। তাহলে এসব কর কেন!’
লিটলম্যাগ কি নিজেকে চেনানোর কোনো মাধ্যম! বোধকরি এটা ভালো বলতে পারবেন জীবন বাবু- অর্থ নয়, কীর্তি নয়, সচ্ছলতা নয়-/ আরো-এক বিপন্ন বিস্ময়/ আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে/ খেলা করে;/ আমাদের ক্লান্ত করে...।
ক্লান্ত হলেই আমরা রণে ভঙ্গ দিই না; আবার জেগে উঠি নবউদ্যমে।

প্রথম সংখ্যা তো বিজ্ঞাপনহীন গেল, দ্বিতীয় সংখ্যায় একটি বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে দিলেন একজন; বন্ধুর বাবা রেলওয়েতে চাকরি করেন। রেলওয়ের বিজ্ঞাপন পেলাম। বিলও পেলাম পত্রিকা প্রকাশের পরে। মোট বিল এক হাজার টাকা হলেও উৎসকর ১৫০ টাকা কেটে ৮৫০ টাকার চেক পেলাম। এটা আবার অ্যাকাউন্ট পে চেক। এই নামে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকলেই টাকাটা ক্যাশ হবে। কিন্তু আমার যে কখনো ব্যাংকের চৌহদ্দিতেও পা ফেলার অভিজ্ঞতা নেই! অবশেষে অ্যাকাউন্ট করতে ব্যাংকে গেলাম; নিয়মকানুনের শেষ নেই। খাজনার চেয়ে যেন বাজনা বেশি! শেষপর্যন্ত আর অ্যাকাউন্ট করা হলো না। প্রথম বিজ্ঞাপন বিলের টাকা এভাবেই বেহাত হয়ে গেল!

তৃতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হলো গল্পসংখ্যা হিসেবে। চমৎকার প্রচ্ছদ এঁকে দিয়েছেন পীযূষ দস্তিদার, প্রত্যেক গল্পের জন্য ইলাসট্রেশন করে দিয়েছেন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোর। (করোনার সময়ে কার্টুন আঁকার ‘অপরাধে’ তাকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল)। এই সংখ্যা প্রকাশ করে পরিপূর্ণ তৃপ্তি পেয়েছি। লেখার মান, মেকআপ, প্রচ্ছদ, ইলাসট্রেশন, ঝকঝকে মুদ্রণ- সব মিলিয়ে সংখ্যাটি চমৎকার। প্রথম কপি তুলে দিয়েছিলাম প্রয়াত কথাসাহিত্যিক কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীরের হাতে। তিনি আমার প্রতিবেশী ছিলেন, চিকিৎসক হিসেবে তার কর্মস্থল ছিল পাহাড়তলী রেলওয়ে হাসপাতাল। তৃতীয় সংখ্যাটি প্রকাশ করে দিয়েছিলেন পরবর্তী সময়ে বন্ধুসভার আরেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন খোকন। তিনিও অকাল প্রয়াত। আড়াই ফর্মার সংখ্যাটিতে প্রথম গল্পটা ছিল কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীরেরÑ কণার মায়ের দিনলিপি। শেষ পৃষ্ঠায় ছিল রম্য লেখক ও উন্মাদ সম্পাদক আহসান হাবীবের গল্প। তার গল্পের নিচে ফাঁকা স্পেসে দিয়েছিলাম সে-বারের বইমেলায় প্রকাশিত কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীরের প্রথম উপন্যাস পদ্মাপারের দ্রৌপদী ও তার আগে জাগৃতি থেকে প্রকাশিত প্রথম গল্পবইটির বিজ্ঞাপন মৃতের কিংবা রক্তের জগতে আপনাকে স্বাগতম। প্রেস থেকে যখন কপি নিয়ে রিকশায় যাচ্ছিলাম, আমার সঙ্গে ছিলেন বন্ধুবর জাবেদ হোসেন। পথেই লেখকের বাসা, তাকে কপি দিতে চলে গেলাম সেখানে। সংখ্যাটি দেখে খুশি হয়ে কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর আমাদের দুজনকেই মিষ্টি খাইয়েছিলেন।

দানে দান তিন দানের (সংখ্যা) পর জীবিকার তাগিদে ও শিল্প-অন্বেষায় আমার ঠাঁই হয় রাজধানী ঢাকায়। শুরু হলো কঠিন জীবন। পিঠ আর পেটের সংস্থান করতে গিয়ে সবকিছুই বন্ধ করতে হলো। এত সংগ্রামী জীবন পার করেছি, চিন্তা করতেই আজ কেঁপে উঠি। তাই বলে সংগ্রাম থামেনি এখনো। প্রথম চাকরিটি জোগাড় করে দিয়েছিলেন উন্মাদ সম্পাদক আহসান হাবীব। প্রিন্টিং প্রেস ম্যানেজার হিসেবে শুরু হলো ঢাকা-জীবন। ওই জায়গায় চাকরির পর নতুন ঠিকানা হলো আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায়Ñ কালজয়ী কম্পিউটার্স। ফারুক খান এই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। এটি ঠিক চাকরি নয়, কম্পিউটার কম্পোজ শিখি। কালজয়ী কম্পিউটার্সের বিভিন্ন কম্পোজ করি, হাতে-কলমে শেখা। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, গবেষণা। কম্পোজ করি প্রতিদিনই। বিনিময়ে আমার চলার মতো টাকা দিতেন ফারুক খান। মেস ভাড়া, বাস ভাড়াসহ খুঁটিনাটি খরচের জন্য যৎকিঞ্চিত টাকা। কিন্তু এভাবে মেশিনের মতো উদয়াস্ত পেরিয়ে মাঝরাত পর্যন্ত কাজ কি করা যায়! নিজের একটু ফুরসত, অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও তো জরুরি! এরপর দ্বিতীয় চাকরিটা ছিল একটা সার্ভে ফার্মে, (জিওডেটিক সার্ভে করপোরেশন)। মিরপুর ২ নম্বর সেকশনে। জায়গা-জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক যাদের ঋণ দেয়, তাদের সম্পত্তির সম্ভাব্য ‘ভ্যালুয়েশন’সহ জমির অবস্থান, পারিপার্শ্বিক চিত্র আঁকাসহ নানাবিধ বর্ণনা দিয়ে তৈরি করা হতো বিকল্প বই। কম্পিউটারে কীভাবে রাস্তাঘাটসহ জায়গার নাম লিখতে হয় শিখে গিয়েছিলাম তখন। এই ফাঁকে আমার চাকরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় গ্রামে। গ্রামতো কাকা রাজা মিয়া চাকরি করেন এনজিও বুরো বাংলাদেশে, ঋণ কালেকশনে। তিনি কল করে জানালেন আমার জন্যও ব্যবস্থা হচ্ছে।

ঢাকা ছেড়ে চলে যাব, এটা বলতে গেলাম হবিগঞ্জ বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি মিজান মিজানুর রহমানকে। তিনি তখন উৎস প্রকাশনের সহযোগী প্রকাশনা মাসিক ভ্রমণচিত্র’র নির্বাহী সম্পাদক। তিনিই আমাকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিলেন উৎস প্রকাশনে, মাসিক সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা বেতনে। আমার আর ফেরা হলো না। প্রকাশনীর পাণ্ডুলিপি সম্পাদনার কাজ করি, আরেকটা দায়িত্ব ভ্রমণচিত্র ম্যাগাজিনের সহকারী সম্পাদক। কী জন্য যেন আগে প্রকাশিত ‘প্রকাশ’-এর তিনটি সংখ্যা নিয়ে গিয়েছিলাম অফিসে। সেটা দেখে ফেললেন সহকর্মী মানিক চন্দ্র দেবনাথ। তিনি বললেন, এটা তো আমরা আবার শুরু করতে পারি। কত টাকা লাগবে?

মানিকের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে আমি প্রয়োজনীয় তোড়জোড় শুরু করলাম। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই শুরু হলো তার বিদেশে যাওয়ার তোড়জোড়। সিদ্ধান্ত হলো তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যাবেন। যাওয়ার আগে অবশ্য আশ্বস্ত করলেন, কিছু টাকা দিয়ে যাবেন। যদিও শেষমেশ দিতে পারেননি। এখনো তার ঠিকানা দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে। পরে সেখান থেকেও পত্রিকার খরচ বাবদ কিছু টাকা পাঠানোর কথা। কিন্তু পাঠাননি বা পাঠাতে পারেননি। কাজে নেমেছি, তাই বলে তো আর থেমে যেতে পারি না। নতুন করে শুরু হলো পত্রিকা প্রকাশের সংগ্রাম। ঢাকা পর্বে প্রকাশিত হয়েছে পাঁচটি সংখ্যা। আগের ছিল তিনটি। মোট আটটি সংখ্যা প্রকাশ করতে পেরেছি। সর্বশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল ফেব্রুয়ারি ২০১৬-এর অমর একুশে বইমেলায়। নবম সংখ্যার সব লেখাজোকা তৈরি থাকার পরও বিগত আট বছরেও পরবর্তী সংখ্যাটি প্রকাশ করতে পারিনি। এই ফাঁকে জীবনে এত ঝড়-ঝঞ্ঝা এসেছে, একা জীবন থেকে দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করেছি- কোনোকিছুতেই কুলিয়ে উঠতে পারি না। আগামীতে কী হবে জানি না, তবে যেসব লেখা জমা হয়ে আছে ২০১৬ সাল থেকে সেগুলো দিয়ে একটা সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে, যেকোনোভাবে। তারপর লইব ছুটি। অথবা লইব না, অন্য কোনো নামে নতুন একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশ করব, সেটা অন্য প্রসঙ্গ।

শেষের দিকে যতবার সংখ্যা প্রকাশ করেছি ততবারই কঠিন বিমার বাঁধিয়েছি। ব্যাকপেইন, কোমরে ব্যথা, পায়ের পাতায় ব্যথা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস- কোন রোগটা না বাঁধিয়েছি! শেষপর্যন্ত ধরা পড়ল ডায়াবেটিস। হাঁটা-চলাও বন্ধ ছিল কিছুদিন। এই রোগের সঙ্গে সারাজীবন লড়াই করে যেতে হবে। (দ্বিতীয় পর্ব)

আজকালের খবর/আরইউ








সর্বশেষ সংবাদ
বাগেরহাটে হোটেল থেকে বিএনপির ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, ৬ হাতবোমা উদ্ধার
কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড
দুর্নীতির তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে সাজা দিলেন ইউএনও
কুয়েটে এবার রোকেয়া হলের তালা ভেঙে ছাত্রীদের প্রবেশ
ড. আমিনুলের যোগদানে অসম্মতি প্রকাশ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
মায়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ
দুর্নীতির তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে সাজা দিলেন ইউএনও
সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি
শেখ হাসিনাকে দেয়া ডিগ্রি বাতিলের কথা ভাবছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়
মহানবীকে কটূক্তি করায় তেজগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft