প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩, ৫:৫১ PM

ভর্তি পরীক্ষায় শিফট পদ্ধতির বহাল রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিতর্কিত শিফট পদ্ধতির বাতিল চেয়ে বলন, বৈষম্যমূলক পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিলের জন্য আমরা বার বার প্রশাসনকে বলেছি এবং ভর্তি ফরমের দাম কমানের দাবি জানিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের তখন আশ্বাস দিয়েছিলো যে ভর্তি পরীক্ষায় শিফট কমিয়ে ২টি করা হবে। অথচ এখন তারা আগের সিদ্ধান্তেই বহাল আছেন।
মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সদস্য সোহাগী সানিয়ার সঞ্চালনায় বাংলা বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আ র ক রাসেল বলেন, এই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময় লুটপাট করা হয়। সাধারণ মানুষের পকেট কাটা হয়। আমরা ইদের আগে থেকে বলেছি বিতর্কিত শিফট পদ্ধতি বন্ধ করতে হবে। এই বৈষম্যের কারণে মেধার বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার বিপরীতে এখন অর্থ উৎপাদনকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য চরম হতাশার। শিক্ষকরা শিক্ষা প্রদান থেকে অর্থ উৎপাদনকে প্রাধান্য দিচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই ভর্তি পরীক্ষা কোনো জুয়া খেলা নয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আশে পাশে থাকা স্কুল, কলেজে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। সেখানে আমাদের নিতে সমস্যা কোথায়?
সমাপনী বক্তব্যে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, আমরা এর আগে ভর্তি পরীক্ষার শিফট বৈষম্য নিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। অনেক শিক্ষার্থী এই বৈষম্যের কারণে এখানে ভর্তি হতে পারেনা। একজন শিক্ষার্থী যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বৈষম্যের শিকার হয় তাহলে বলতে হয় এই রাষ্ট্র কতটা দেউলিয়া হয়ে গেছে। প্রশাসন চাইলেই একটি অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা নিতে পারে। নিজেদের মুনাফা বাড়ানোর জন্যই তারা এ শিফট বৈষম্য চালু রাখেন। আমরা অবিলম্বে শিফট পদ্ধতি বাতিল করে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাই।
এর আগে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমের নেতৃত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ভর্তি পরীক্ষায় শিফট পদ্ধতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিক্ষা কমিটির মিটিংয়ে নেওয়া হবে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, শিফট পদ্ধতিকে বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে এবং মেধার অবমূল্যায়ন হয় দাবি করে এটি বাতিলের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।
আজকালের খবর/ওআর