প্রকাশ: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ৪:৩৭ পিএম

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জাতীয়তাবাদি যে ক’জন নেতা সারাবিশ্বে মেহনতি মানুষের মহান মুক্তির জন্য লড়াই করেছেন বিপ্লবী হো চি মিন তাদের অন্যতম। তিনি ছিলেন ইন্দোচিনের মুক্তিদাতা পুরুষ।’
গতকাল শনিবার ঢাকার কেরানীগঞ্জে হো চি মিন-এর ১৩৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, ‘পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে হো চি মিনের সংগ্রামী পথচলা বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে সবসময়ই প্রাসঙ্গিক হয়ে দেখা দেয় এবং যেখানেই অধিকারহীনতা, অন্যায্য বলপ্রয়োগ সেখানে হো চি মিন, যেখানে শোষণ, নিপীড়ন সেখানেই মুক্তির উপায় হিসেবে হো চি মিনের সংগ্রামী পথ পাথেয় হয়ে দেখা দেয়। সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছেও তিনি মুক্তিদূত হিসেবে বিবেচিত।’
‘বাংলাদেশ গ্রুপ ফর স্টাডি অব কমরেড হো চি মিন'স ওয়ার্কস’ এর উদ্যোগে কেরানীগঞ্জে কোন্ডায় অধ্যাপক হামিদুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “দ্য গ্রেট হেরিটেজ অব হো চি মিন’স থট অন ডিপ্লোম্যাচি অ্যান্ড হাউ ভিয়েতনাম বিকামস অ্যান অ্যকটিভ মেম্বার ইন দ্য ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি”।
সেমিনারে বিশেস অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন মান কুওয়ং। গেস্ট অব ওনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আর্ন্তজাতিক রপ্তানিকারক ও মেরিন গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. খান মোহাম্মদ কুদরত-ই খোদা (মাহবুব)। এ সময় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি ড. এম জাহাঙ্গীর খান।
এছাড়াও সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক আবু তাহের বকূল, অধ্যাপক কাজী মোজাম্মেল হক মঞ্জু। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক হামিদুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ গর্ভনিং বডির সভাপতি নূর হোসেন নূর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মিলন মিয়া। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।
উল্লেখ্য, হো চি মিন ছিলেন ভিয়েতনামের একজন কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা, যিনি পরবর্তীকালে গণপ্রজাতন্ত্রী ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী (১৯৪৬-১৯৫৫) এবং রাষ্ট্রপতির (১৯৪৫-১৯৬৯) পদে আসীন ছিলেন। তিনি ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব ভিয়েতনামের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সম্মানার্থে দক্ষিণ ভিয়েতনামের পতনের পর সেখানকার পূবর্তন রাজধানী সায়গনের নাম পাল্টে হো চি মিন শহর রাখা হয়। স্বাস্থ্য সমস্যাজনিত কারণে হো সরকারীভাবে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ১৯৬৫ সালে এবং ১৯৬৯ সালে তিনি মারা যান।
আজকালের খবর/ওআর