প্রকাশ: শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫, ৬:৪২ পিএম

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে ভিসির কার্যালয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের অভিযোগ উঠলে তা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেছেন, ‘সম্প্রতি সিসি ক্যামেরা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটি আসলে ক্যামেরা মিস্ত্রিরা ভুল করেছে। তারা সেটি খুলেও ফেলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যদি মনে করেন ভুলটি আমার হয়েছে। তাহলে আমি তার কাছে ক্ষমা প্রার্থী।’
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। পরে তিনি তাদের সিসি ক্যামেরা লাগানোর স্থান সরেজমিনে ঘুরে দেখান।
ইবি প্রো-ভিসি বলেন, ‘সাবেক প্রো-ভিসির সময় প্রো-ভিসি অফিসে সাতটা ক্যামেরা ছিল, যা জুলাই আন্দোলন-সহ বিভিন্ন আন্দোলনের সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। শুধু অফিসের ভিতরের দুইটা সচল ছিল, তাই আমি আমার পিএসকে বলি ক্যামেরা গুলো নতুন করে লাগাতে। পুরাতন ক্যামেরাগুলো সংস্কার এবং নতুন করে লাগানোর জন্য নোট জমা দেই। যা গত দেড় মাসেও শেষ হয়নি। একজন উপ-উপাচার্যের কাজের নোটের রেজাল্ট আসতে যদি দেড় মাসের বেশি সময় লাগে তা হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাজের ক্ষেত্রে তা কী হতে পারে? শেষ পর্যন্ত শুনেছি যে জমা দেওয়া নোট এসেছে, তখন আমি ঢাকায় চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলাম। তখন দেখি ক্যামেরা লাগাচ্ছে, আমি পুরাতনগুলো সংস্কার করতে পারলে তা করতে বলি আর টাকার মধ্যে হলে নতুন কিনে লাগাতে বলি।’
মিস্ত্রিকে বলেছি, ‘তিন তালার সিঁড়ির মাঝখানে লাগাতে। কিন্তু, তারা তা ভিসির কার্যালয়ের সিঁড়ির শেষ দিকে গিয়ে লাগায়। তা লাগানো উচিত হয়নি। তারা যখন ভুল বুঝতে পারে তখন তা সরিয়ে নেয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার তো ভিসির কার্যালয়ে ক্যামেরা লাগানোর দরকার নেই। প্রো-ভিসির জন্য ৭টি সিসি ক্যামেরা থাকে, ভিতরে থেকে ৪টি সিসি ক্যামেরা খুলে নেওয়া হয়। আমি এর বিচার চাই।’
উল্লেখ্য, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া উপাচার্যের কার্যালয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার অভিযোগ উঠেছে। তবে উপাচার্যের অনুমতি ছাড়াই এ কাজ করায় ক্যামেরা খুলতে বাধ্য হন কর্মচারীরা। গত মঙ্গলবার সিসি ক্যামেরা লাগানো হলেও বুধবার উপাচার্য আপত্তি করায় তা খুলে ফেলা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়। তা সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রো-ভিসি।
আজকালের খবর/ওআর