
কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ইসলামী বিশ্বাবিদ্যালয়ের (ইবি) নাম ব্যবহার করে অর্ধশতাধিক ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ চালু রয়েছে। এতে বিব্রত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’র নামে একটি ভেরিফাইড অফিসিয়াল পেইজ চালু করে এসব ভূয়া ভুঁইফোঁড় পেইজ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি- বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে যেসব ভুঁইফোড় ফেইসবুক পেইজ চালু রয়েছে, যেখানে অনেক সময় মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভিন্ন ব্যক্তির নামে কুৎসা, অপপ্রচার ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একটি অফিসিয়াল পেইজ রেখে বাকিগুলো বন্ধ করলে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো রোধ করা সম্ভব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে অর্ধশতাধিক পেইজ চালু রয়েছে। এতে বিব্রত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কোনো তথ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পেইজ অনুসন্ধান করলেও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন তারা। এর মধ্যে ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’ নাম সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, আবাসিক হলগুলো নিয়েও একই নামে একাধিক পেইজ রয়েছে।
জানা যায়, ভর্তি আচরণবিধি মোতাবেক একজন নবীন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সময় ভর্তি-ফর্মে লেখা থাকে যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ব্যবহার করে কিংবা সরাসরি নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত কোনো কাজে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো কার্যক্রম করা যাবে না। কাগজে কলমে থাকলেও এর আইনগত বাস্তবায়ন দেখেননি শিক্ষার্থীরা। তবে এবার সরব ইবি প্রশাসন। অনিবন্ধিত বেনামি পেইজগুলোর ব্যাপারে খতিয়ে দেখতে এবং অপতৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফেইক আইডি/পেইজ সনাক্তকরণ কমিটির প্রধান আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহজাহান আলী। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সহকারী প্রক্টর এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী ও আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল ইসলাম।
আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। ফেইক আইডি সনাক্ত করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। কে বা কারা চালায় তা সনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী বলেন, ‘কেউ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও লোগো ব্যবহার করতে পারে না। এটা নিয়ে কাজ চলতেছে।’
ভেরিফাইড পেইজের বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান আলী বলেন, ‘এ নিয়ে কাজ চলতেছে। তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ দপ্তরের পেইজটাকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফাইড পেইজ হিসেবে দাঁড় করানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এরকম কোনো পেইজ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বা শিক্ষক চালায় প্রশাসন শোকজ করে ব্যবস্থা নিতে পারে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজামান বলেন, ‘বিষয়টা প্রশাসনের কনসার্নে এসেছে। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
আজকালের খবর/ওআর