বুধবার ১৪ মে ২০২৫
ভয়ংকর যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৪৯ PM আপডেট: ২৫.০৪.২০২৫ ৫:৫১ PM
জন্মের পর থেকেই সাপে-নেউলে সম্পর্ক ভারত পাকিস্তানের। প্রতিবেশী হয়েও যেন বহু দূরত্ব তাদের। স্বাধীনতার সাড়ে সাত দশক পেরিয়ে গেলেও দু’দেশের সেই চিরবৈরী মনোভাব কাটেনি বিন্দুমাত্র। দোষারোপের রাজনীতি আর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব থেকে যেন বের হতেই পারছেন না দেশ দুটির রাজনীতিকরাও।

বিগত ২৫ বছরে যুদ্ধে জড়ায়নি, তবে তাদের মধ্যে যে খুব শান্তি বিরাজমান ছিল তাও বলা যায় না। লাইন অব কন্ট্রোল সবসময় তাদের কন্ট্রোলে থাকে না, উত্তেজনা লেগেই থাকে। তবে এবারের পরিস্থিতি একটু ঘোলাটে এবং বেশ উত্তপ্ত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেন আধা জল খেয়ে লেগেছেন মোদি। শেষমেশ পরিস্থিতি যুদ্ধ পর্যন্ত গড়ায় কি-না এ নিয়ে শঙ্কিত আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীরে হামলার পর ভারত যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এর আগে, ভারতের পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর পাকিস্তান ঘোষণা দেয়, তারা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে। এ নিয়ে করাচি উপকূলের কাছে নিজেদের ‘এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে’ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানি নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৪-২৬ এপ্রিলের মধ্যে এই মিসাইল পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ ঘিরে ভারতের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

এদিকে পাল্টা প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভারতও সামরিক তৎপরতা জোরদার করেছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) মিসাইল ধ্বংসের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। নিজেদের প্রযুক্তিতে তৈরি আইএনএস সুরাত থেকে এক নিম্ন-উড্ডয়ন মিসাইল সফলভাবে ধ্বংস করা হয়। এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ভারতীয় নৌবাহিনী বলেছে, এতে তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

সাম্প্রতিক উত্তেজনায় দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতোমধ্যে হিমশীতল হয়ে পড়েছে। একে অপরের কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে দুই দেশ। বন্ধ হয়েছে আকাশসীমাও। এখন সামরিক শক্তি প্রদর্শনের পালা শুরু হয়েছে সমুদ্র ও আকাশপথে।

উভয় দেশই উভয়ের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে ভারতের পক্ষ থেকে সিন্ধু নদের পানি চুক্তি বাতিল অন্যতম। জবাবে পাকিস্তান পূর্ণ শক্তি দিয়ে এর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। 

এদিকে হামলার পর বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। এ সময় তারা রাষ্ট্রপতির কাছে দু’টি লাল ফাইল জমা দেন। এ ফাইল ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা।

কেউ কেউ বলছেন, এই ফাইল দু’টি কি যুদ্ধের অনুমতি ও ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত? আর যদি যুদ্ধের অনুমতি চাওয়ার ফাইলই হয় তবে কি নির্দেশনা দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি? তিনি কি সত্যিই যুদ্ধের অনুমতি দিয়েছেন?

আজকালের খবর/ওআর








সর্বশেষ সংবাদ
বিভেদ আমাদের সর্বনাশ ডেকে আনবে: সারজিস আলম
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে উদ্বিগ্ন ভারত
কমার একদিন পরই বাড়লো সোনার দাম
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-প্রোভিসি-কোষাধ্যক্ষকে অব্যাহতি
রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে সিআরএ'র মতবিনিময় সভা
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মমতাজ, ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ইউট্যাবের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন
আন্দালিব রহমান পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা
সখিপুরে দুই ইউপি চেয়ারম্যনের কক্ষে তালা
সারাদেশে এনআইডি সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft