
ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বরবাদ’ সিনেমা সিঙ্গেল স্ক্রিন, মাল্টিপ্লেক্সে চুটিয়ে ব্যবসা করছে। দর্শকরাও শাকিব খানের এই সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। যে কারণে ঈদের তৃতীয় সপ্তাহ শেষ না হতেই বরবাদের আয় গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
সিনেমার দারুণ এই ব্যবসার পরেও কিছু কারণে খুশি নন প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি। তার দাবি, সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলো টিকিট বিক্রির সঠিক হিসেবে দিচ্ছে না। শুধু তাই নয়, সুমি জানালেন- হল মালিকেরা রীতিমতো চুরি করছেন এক্ষেত্রে।
জয়দেবপুরের ‘উল্কা’ সিনেমা হল মালিকের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলে এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের কাছে শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, ‘একটা সিনেমা হলে সিট আছে ৪৬০ জনের, অথচ সেখানে ঢোকানো হয়েছে সাড়ে ছয়শোর বেশি মানুষকে। আমাদের ডিস্ট্রিবিউশন টিমের লোকেরাই গুণে দেখেছে শুধু এসি ক্যাটাগরিতে আছে ৬৭৮ জন, ডিসিতে তো আমরা ঢুকতেই পারিনি। সেলস রিপোর্টে কিন্তু ৪৮০ জনের সংখ্যাই এসেছে, তাহলে বাকি ২৮০-৩০০ জন কোথায় গেল? আমাদের লোকজনকে বের করে দেয়া হয়েছে সিনেমা হল থেকে, কথাই বলতে দিচ্ছিলো না তারা; জয়দেবপুরের উল্কা সিনেমা হলের ঘটনা এটা। এরকম ঘটনা অনেক হলেই হচ্ছে। আমি নতুন বলেই সবাই আমার সাথে এটা করছে কিনা জানিনা।’
এই প্রযোজক আরও বলেন, যারা কখনো ভাবেনি ‘বরবাদ’ চালাতে পারবে, তারাও যখন অনুরোধ করেছে, আমরা ছবি দিয়েছি। অথচ সেই মানুষগুলোই চুরি করছে! কী বলার আছে? আমি ছবি বানাব, বিপরীতে সততাও তো থাকতে হবে। হল মালিকরা যদি ভাবেন, ব্যবসার পুরোটা নিজেরা ভোগ করবেন, এটা একদমই ভুল। তারা ২০-৩০ আসনের গরমিল করলে মানা যায়, কিন্তু ২০০-৩০০ আসনের নড়চড় করলে তো মানা যায় না। এটা চুরি। আবার এটা বললেও আমার দোষ! ক্ষমতা দেখায়, নানা কথা বলে। এগুলো ঠিক না হলে তো ইন্ডাস্ট্রির কখনো উন্নতি হবে না।
এ ঘটনায় শুক্রবার উলকায় শো বন্ধ রাখে প্রযোজক পরে বিশেষ অনুরোধ করলে বিকালের শোয়ে সার্ভার চালু করা হয়। তবে চুরির বিষয় যে অভিযোগ উঠেছে হলের মালিক রফিক তা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, তার ম্যানেজার একতরফাভাবে প্রযোজককে বুঝিয়েছেন, এটা কি না। সেদিন আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি।
এছাড়াও এ প্রযোজক এরআগে একই অভিযোগ এনেছেন মধুমিতা, মণিহার, সাভার সেনার মতো হলের বিরুদ্ধে।
তবে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রদর্শক সমিতি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আজকালের খবর/আতে