প্রকাশ: রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩৩ PM

র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হল ধর্ষক মো. জয়নাল আবেদীন (৪৫)। ‘দেবীদ্বারে ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি: এবং ৩ মাসেও অভিযুক্ত ধর্ষক আটক না হওয়ার ঘটনায় একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের গ্রেপ্তারকরা হয় তাকে।
তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান শনাক্ত করে রবিবার (২৩ মার্চ) বেলা ১টায় র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডারের নেতৃত্বে এবং মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলামের সহযোগিতায় এলাহাবাদ ইউনিয়নের ফুলতলী গ্রামের ইকবাল হোসেনের পোল্ট্রি ফার্ম থেকে জয়নাল আবেদীনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধর্ষক মো. জয়নাল আবেদীন উপজেলার ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের পুত্র। তিনি ৫ সন্তানের জনক। অপর দিকে ধর্ষিতার পরিবারের বাবা দিনমজুর আর মা ভিক্ষুক। উল্লেখ্য গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশের পুকুর ঘাটে হাত-মুখ ধুয়ে শিশু (১০) টি ঘরে ফেরার পথে, পাশের ঘরের চাচা মো. জয়নাল আবেদীন (৪৫) মুখ চেপে তাকে পুকুর পাড়ের ঝোপের কাছে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি ঘরে আসার পর তার মা’ পরনের প্যান্ট রক্তে ভেজা দেখে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার বর্ননা দেয়। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় দ্রæত তাকে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কুমেক হাসপাতালে দেড় মাস চিকিৎসা দেয়ার পর ওখান থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে প্রায় ১৫ দিন চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়িতে আসলেও এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেনি। এরই মধ্যে মামলার বাদী মো. জালাল হোসেনকে মামলা তুলে নিতে গ্রামের মাতব্বর জাহাঙ্গীর, রফিক, কবির, নাছির, মাহবুবের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী মহল হুমকি দিয়ে আসছিল।
এ ব্যাপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন এবং ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড সম্পন্ন হলেও আসামি পলাতক ছিল। বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর আজ র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডারের নেতৃত্বে এবং দেবীদ্বার থানা পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলার ৭নং এলাহাবাদ ইউনিয়নের ফুলতলী গ্রামের ইকবাল হোসেনের পোল্ট্রি ফার্ম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার পর থেকে জয়নাল আবেদীন আত্মগোপনে ছিলো।
আজকালের খবর/বিএস