শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫
গ্রামীণ লোকাচার
আলমগীর খোরশেদ
প্রকাশ: শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ৩:৫২ PM
গ্রামে জন্ম ও বড় হওয়া যাদের, তারা জীবিকার তাগিদে যত দূরেই যাক না কেন, গাঁয়ের বাঁশঝাড়ের নিচে দক্ষিণা শীতল হাওয়া, দূরে গরু চড়ানো রাখালের বাঁশির সুর, ফজরের সময় বাড়ির পোষা মোরগের কুক রু কুক দিয়ে সবাইকে এলার্ম ঘড়ির মতো জাগিয়ে দেওয়ার স্মৃতি কোনোদিন ভুলে না। সূর্য উঠার আগেই কৃষাণি পান্তা ভাত ও গাছের পাকা কলা কিংবা পেঁয়াজ মরিচের ভর্তা খেতে দেন কৃষককে। দূরে বিলের জমিতে হাল নিয়ে যাবে বাড়ির কর্তা। কৃষকের কাঁধে লাঙল, গরু, জোঁয়াল, হাতে লাঠি, বগলের নিচে ঝুলানো গামছার পুটলিতেÑ বধূটির দেওয়া আখের গুড়, সাথে রাতে বানানো কয়েকটা চালের পিঠা। হালচাষ করে দুপুরে খিদে পেলে খাবে স্বামী।

কৃষাণি বাড়ির উঠানের কোণে যতক্ষণ মানুষটিকে দেখা যায়, ততোক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর একসময় সংসারের শত কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে বধূটি। সুখ দুঃখ, হাসি কান্না, বিপদে আপদে, আশা আকাক্সক্ষায় গাঁয়ের মানুষ একে অপরের উপর নির্ভর করে। এগিয়ে আসে একজন অপরজনের সহযোগিতায়। হতে পারে সন্তানের বিয়ে, আগুন লাগা, চোর ডাকাত বা কারোর অসুস্থতায়। গ্রামীণ মানুষের জীবনাচরণে ঘটে যাওয়া নানান ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া, বিশ্বাস, আচরণ, অভিজ্ঞতা ও শিল্প নিয়ে তাদের পূর্ব পুরুষ থেকে চলমান আচার কার্যাদি নিয়ে গড়ে উঠে লোক সংস্কৃতি। আর এর প্রতিফলনই হলো লোকাচার।

লোকাচার হলো মানুষের এক ধরনের বিশ্বাসের অঙ্গ। একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে লোককথা, লোককাহিনী, তাদের নিজস্ব লব্ধ জ্ঞান আদান প্রদান করা সংস্কৃতিই লোক সংস্কৃতি বা লোকাচার। লোকাচার দেশের মাটি ও মানুষের মাঝে বিরাজমান সংস্কৃতি বা কৃষ্টি যা পল্লীমুখী হয়। প্রচলিত কথা ‘বার মাসে তেরো পার্বণ’Ñ যা বাংলাদেশের হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মালম্বী নির্বিশেষে তিথি ও ঋতুভিত্তিক হয়ে থাকে। গ্রামের লোকজন তাদের ভয়, আশঙ্কা, প্রত্যাশা, প্রাপ্তি, মঙ্গল, অমঙ্গল, ভালো-মন্দ নিয়ে একটা নিজস্ব বোধ নিয়ে অতিবাহিত করে জীবন। তারা মনে করে পূর্ব পুরুষ থেকে চলে আসা আচারাদি’র মধ্যে একটা দৈব কিছু আছে, যা  তাদের  বিশ্বাস শাস্ত্রীয় ও ধর্মীয় ভাবে প্রভাব ফেলে। লোকাচার বিষয়টি আঞ্চলিকতা, কোনো ব্যক্তি, বিশ্বাস, চিন্তা চেতনাকে ঘিরেই গড়ে উঠে। বাড়ির মুরুব্বীরা তা পালন করেন। লোকাচার পালনে পুরুষদের চেয়ে নারীরা এগিয়ে। বাংলাদেশে প্রচলিত লোকাচার ও প্রথাসমূহ হলো- ১. মানব বা মানুষের জন্ম, মৃত্যু সংশ্লিষ্ট আচার, ২. পশু সংশ্লিষ্ট  আচার, ৩. কৃষি সংশ্লিষ্ট আচার।

এক্ষেত্রে মানব মানে মানুষের জন্ম,  মৃত্যু ও বিবাহ জনীত আচারাদি চলে আসে। মানুষের আচারাদির মধ্যে শিশু গর্ভ পূর্ব, গর্ভকালীন ও ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আচারাদি অন্যতম। বিয়ের বেলায় আচারাদি হলো, বিয়ের আগে, বিয়ে কালীন ও বিয়ের পরের কার্যাদি। তারমধ্যে ইজাব বা কবুল, খুতবা ও কাবিন।

বিবাহ পূর্বের আচার হলো পানচিনি,  আশির্বাদ, বরণ, আইবুড়ো ভাত, গায়ে হলুদ, মেহেদী,  বরকনে স্নান, কলাই মঙ্গলা, লগন খেলা, পানি ভরণ, বরসজ্জা, বরণ ডালা। বিবাহ কালীন আচারÑ মাড়েয়া সাজানো, বরবরণ, কালেমা, কবুল, কাবিন। হিন্দুদের বেলায়Ñ মন্ত্র পাঠ, সম্প্রদান, মালাবদল, গাঁটছড়া, সাতপাক ইত্যাদি।

লোকাচার দুই ধরণের। যথা- স১. শাস্ত্রীয় বা ধর্মীয় লোকাচার, ২. লৌকিক লোকাচার। শাস্ত্রীয় বা ধর্মীয় লোকাচার হলো, ইহকাল ও পরকাল নিয়ে মানুষের ক্রিয়াকলাপ পরিলক্ষিত হয়।  মুসলমানদের দু’টো ঈদ, শবে বরাত রাত, শবে কদর রাত, শবে মেরাজ রাত, ঈদের চাঁন রাইত, পহেলা বৈশাখ, নবান্ন উৎসব, চৈত্র সংক্রান্তি। হিন্দুদের দুর্গাপূজা, লক্ষী পূজা, কালীপূজা, দিওয়ালী, মশামশির মুখ পোড়া ইত্যাদি। খ্রিস্টানদের  বড়দিন,  বৌদ্ধদের বৌদ্ধ পূর্নিমা।

লৌকিক লোকাচার কেবল পার্থিব কামনা বাসনা নিয়ে লোকজনের রোগব্যাধি, আপদ বিপদ, অকল্যাণ, জন্ম মৃত্যু,  বিবাহ, ফসল বৃদ্ধি, নজরলাগা, দারিদ্র্যতা, খরা, অতিবৃষ্টি, অশুভ শক্তি, রাতে  অশুভ শক্তিকে ভোগ দেওয়া, ইত্যাদি মোকাবেলায় লৌকিক আচার পালন করে।

গর্ভধারণ: স্রষ্টা তার সৃষ্টিকে চলমান রাখতে দু’জন নর নারী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আগামী দিনের স্বপ্নে সংসারে নতুন মানুষ আসার লক্ষে বধূটি গর্ভবতী হয়।

জন্ম বা গর্ভধারনের পর পরই  সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীর মধ্যে পূজার আয়োজন করা হয়। প্রসূতি ও আসন্ন নবজাতকের মঙ্গল কামনায় সাধারণত এই পূজা করা হয়। এই সময় বিষ্ণু পূজার আয়োজন করা হয়। এই দিন ভালো রান্না হয়। নতুন অতিথির আগমন হবে, আর্শিবাদ হবে, এইদিন গর্ভবতীর প্রতি পরিবারের সবাই সহানুভূতিশীল হয়।

আঁতুড়ঘর: নারী দশমাস দশদিন গর্ভধারণের পর প্রসব ব্যাথা অনুভব করলে গ্রামের বাড়ির ঘরের মেঝেতে খড় বিছিয়ে শুইয়ে দেওয়া হয়। গ্রামের দাই যিনি দাত্রী কাজে অভিজ্ঞ, তাকে ডেকে আনা হয়। তখন এই ঘরটার নাম হয় আঁতুড়ঘর। ছোট বাটিতে নবজাতকের জন্য ছাগলের দুধ, মধু রাখা হয়। নাড়ী কাটার জন্য কাঁচা বাঁশের চিলতা ধারালো করে কেটে আনা, কড়াইয়ে গরম পানি রাখা, নতুন মাটির পায়লায় ধানের তুষ রেখে তাতে আগুণ জ্বালিয়ে আল্লেয়া বানানো, যাতে লোকজন আঁতুড় ঘরে প্রবেশ ও বেরুনোর সময় হাত পা আল্লেয়ার আগুণে সেঁকে আসতে পারে। সব কিছুর আয়োজন থাকে। নবজাতকের নাভিতে ছাই দেওয়া, আঁতুড়ঘরকে  ভুত, জীন থেকে বেঁধে রাখা, মাথার চুল কামানো, আকিকাÑ ছেলে সন্তানের বেলায় দু’টো খাসি আর মেয়ে শিশুর বেলায় একটি খাসি জবাই করা হয়, শিশুর মুখে অন্ন মানে ভাত দিতে অন্নপ্রাশন অনুষ্টান করা, শিক্ষায় হাতেখড়ি, মুসলমান ছেলে সন্তানদের খৎনা বা মুসলমানি করা ইত্যাদি আচারাদিই গ্রামের লোকাচার।

পন্চামৃত: নারীর গর্ভধারণের পর খুব সাবধানে কাজকর্ম, হাঁটাচলাসহ নানান উপচারের প্রচলন আছে। তিন হাইনজা মানে মাগরিবের আজানের একটু আগে প্রসূতি নারীর ঘরের বাইরে যাওয়া বারণ। জিন ভুতের আছর হওয়ার ভয়। গর্ভকালীন সময় পাঁচ মাস হলে পন্চামৃত আচার করা হয়। যা বধূটির গর্ভের পঞ্চম মাসে পালন করা হয়। পন্চামৃত করার দিন পাঁচ জাতের পিঠা ও পায়েস দিয়ে আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশিকে আপ্যায়ন করা হয়। এইদিন স্বামী স্ত্রী উভয়কেই নতুন বস্ত্র প্রদানের নিয়ম রয়েছে। পিঠা পায়েস  পন্চামৃত আচারে গর্ভের সন্তান জন্মের পর সুস্থ-সবল হওয়ার জন্য দিতে হয়। এইদিন যব, ধান, সরিষা, গম, কাউন বা তিল দ্বারা সূর্যপূজা করা হয়।

পাঁচ মাসে এই পুজো করা হয়, পঞ্চম মাস পূর্ণ হলে গর্ভস্থ শিশুটির দেহে আত্মা আসে। তাই শুভ আত্মা আগমনের জন্য এই আচার পালন করা হয়। 

হাতুসা,  সিমন্তন বা সাধভক্ষণ: স্রষ্টা তার সৃষ্টিকে চলমান রাখার নিমিত্তে একজন নর আরেকজন  নারীর সাথে জুটি বাঁধিয়ে দেন। নারীকেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সৃষ্টির। স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার সাত মাসের মাথায় পাঁচ জাতের পিঠাসহ ভালো খানাপিনার আয়োজন করা হয়। সাত মাস পূর্তিতে এই আচার পালন করা হয়, তাই এটাকে সাতুসা, হাতুসা বা সিমন্তন বা সাধভক্ষণ বলে। এইদিন গর্ভধারিনীকে নতুন শাড়ি পড়ানো হয়। সুন্দর ছোট ছোট ছেলে মেয়েকে গর্ভধারিনীর কাছে দাড় করিয়ে রাখা হয়, যাতে এদের সংস্পর্শে  গর্ভস্থ শিশুটিও সুন্দর হয়। স্বাস্থ্য মতে, এই অনুষ্টানের উদ্দেশ্য হলো,  গর্ভবতী নারীর পুষ্টি নিশ্চিত করণ। ইসলাম মতে, ‘মার্তৃগর্ভে থাকতেই আগত শিশুর লিঙ্গ, রিজিক ও ভাগ্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।’

হিন্দুয়ানা মতে ষোলটি সংস্কার ধারনে আচারাদি পালন করে গ্রামের মানুষ। তৎমধ্যে আলোচিত গর্ভাধান, ভ্রুণ রক্ষার জন্য প্রার্থনা বা পুস্বনারীতি, গর্ভাবস্থায় সপ্তম মাসের রীতি, জাতি ধর্মের রীতি যা শিশু জন্মের ষষ্ট দিনে করা হয়, নামকরণ, নিস্ক্রমণ রীতি বা বাইরের জগতের সাথে পরিচিতি, খাদ্যপ্রাণ  সংস্কৃতি মানে হলো শিশুকে কঠিন খাবার দেওয়া যা জন্মের পর ষষ্ঠ মাসে হয়ে থাকে। চুলমুন্ডন, বিদ্যারম্ভ, কর্ণভেদ করা বা কান ফোড়ন, একটু বড় হলে উপনয়ণ বা পৈতা মানে পবিত্র সুতা ধারণ করে। কৈশোর পেরুলে ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়ন, ঋতুভিত্তিক সংস্কার বা যৌবনের আগমন, কর্মক্ষেত্র নির্ধারণ, আত্মশক্তি বাড়ানো, সমাবর্তন অর্থাৎ গুরুকূল ছেড়ে যাওয়া উপলক্ষে আচার অনুষ্টান করা হয়। পরিণত বয়সে বিবাহ সংশ্লিষ্ট আচারাদি, তারপর মৃত্যু সংশ্লিষ্ট বা অন্তেষ্টিক্রিয়া বা মৃত্যুরোত্তর আচারাদি।

বিবাহ: বিয়ের মধ্যস্ততাকারি ঘটক নির্ধারণ, বিয়েতে কনে দেখা, পাত্র পাত্রী নির্বাচন, পানচিনি,  ফুলেল বরণ,  আইবুড়ো ভাত, গায়ে হলুদ, গেইট সাজানো, গেইট আটকিয়ে টাকা নেওয়া,  মেহেদী দেওয়া,  বিয়েতে গাঁয়ের মেয়েলী গীত গাওয়া, ঠাট্রা সম্পর্কীয়দের সাথে কাদা বা রঙ ছিটানো, বরসজ্জা ইত্যাদি আচারাদি।

ব্রতচার: হিন্দু মতে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম ব্রত, ষষ্টী, জামাই ষষ্টী,  শিবরাত্রি, ভাই-ফোঁটা ও উপবাস।

মানত: বনের রানি বনবিবি, মিলাদ, ওয়াজ মাহফিল, রমজানের রোজা, নফল রোজা, জালালি খতম, ওরশ, মাগন, মাগনের গান, চিনি দেওয়া, পীরের মাজারে মোরগ জবাই, টাকা পয়সা দান, আগর মোমবাতি প্রদান ইত্যাদি।

মৃত্যু বিষয়ক আচার: মুসলমানদের মৃত্যু জনিত বিবিধ আচার, চেহলাম, জানাজা,  দাফন কাফন, মেজবানী, হিন্দুদের আচার, শ্রাদ্ধ, শ্বশ্মান, দিপালি ইত্যাদি।

গবাদি পশু: গোরাক্ষনাথের সিন্নি, গো মঙ্গলা, গোবচরণ, দৈ পান্তা, হরি ফাইল্যেয়ার রাইত, দাগা, গো ফাল্গুনি, কুমির পূজা ইত্যাদি করা হয়।

কৃষি ও ফসল সংক্রান্ত আচারাদি: অম্বুবাচী, গোশালপণ, রাখাল ফোঁটা, ক্ষেত্র কলুই পুজা, পৌষপার্বণ,  আওনি বাওনি, তিতা খাওয়া, বিশু আরবিশু, বৈশাখ বরণ, হালখাতা, ভোলা ছাড়ান, বাতা ডুগল ইত্যাদি।

বৃষ্টির আচার: চৈতের কাক ফাটা রোদে চৌচির হয়ে যাওয়া মাঠ, অনা বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ার উপক্রম কৃষকের জমির ফসলাদি, আয়োজন করা হয় জারি, ব্যাঙের বিয়ে, পুতুল বিয়ে, বাটি পোঁতা, বৃষ্টি আবাহন...

আজকালের খবর/আরইউ








সর্বশেষ সংবাদ
পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
‘পাকিস্তানে সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও যেতে দেবে না ভারত’
তারেক রহমানকে নিয়ে দ্য উইকের কাভার স্টোরি ‘নিয়তির সন্তান’
যেমন প্রত্যাশা করেছিলাম, এই সরকার তেমন করে হয়নি: ফরহাদ মজহার
তামিমদের হস্তক্ষেপে হৃদয়ের শাস্তি এক বছর পেছাল বিসিবি
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
জাবিতে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্তিসহ ৫ দফা দাবি
ইবিতে গুচ্ছভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন, উপস্থিতি ৯৬.১৮ শতাংশ
টেকনাফে গাছ পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর, বাড়ছে ভাতা
তারেক রহমানকে নিয়ে দ্য উইকের কাভার স্টোরি ‘নিয়তির সন্তান’
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft