শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫
আদালতে কাঁদলেন শাজাহান খান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ১:৩৬ PM আপডেট: ১৭.০৩.২০২৫ ১:৩৮ PM
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর বাড্ডায় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নিহতের মামলায় রিমান্ড শুনানিতে কাঁদলেন সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান। 

সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ. আজহারুল ইসলামের আদালতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কারণ জানান। 

এদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে শাজাহান খানকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। তখন তিনি আইনজীবীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ করেন। সকাল ১০টা ৮ মিনিটের দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। 
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক শফিউল আলম তার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে মিজানুর রহমান (বাদশা) রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

রিমান্ড শুনানিকালে শাজাহান খান বলেন, মাননীয় আদালত আমাকে একটু সময় দেন কথা বলার। আমি কথা বলতে চাই। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন শাজাহান খান। তিনি বলেন, পিপি সাহেব বলেছেন, আন্দোলনে পুলিশ গুলি করেছে। সে অর্ডার তো দিতে পারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গুলি চালানোর অর্ডার তো আমি দিতে পারি না। আমি জড়িত না। কেন আমার বিরুদ্ধে এই মামলা হলো? শুধু আমার বিরুদ্ধে না, আমার বড় ছেলে আসিবুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। সে এখন জেলে।

তখন কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে পাঁচ মাস আমার দেখা নেই। আমার প্রশ্ন- আমার ছেলে কি করেছে। আমি ঢাকায় থাকাকালে ছেলে মাদারীপুর ছিল। আপনি এখনই চেক করতে পারেন। আর সিরাজুল ইসলাম কে? তখন বিচারক বলেন, আপনার বিষয়ে আইনজীবী কথা বলেছেন। তবুও শাজাহান খান দুই হাত জোর করে কথা বলার জন্য সময় চান। 

তিনি বলেন, একটু সময় দেন। উনারা (আইনজীবী) ভালোভাবে বিষয়টা বলতে পারেননি। চেয়ারম্যান ৬টা হত্যা মামলার আসামি। আমি তার পক্ষে ছিলাম না। তাই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলা দিয়েছে।
পরে আদালত তার চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এসময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু দিয়ে দুই চোখ মুছতে থাকেন শাজাহান খান।

শুনানি শেষে ১০টা ৪০ মিনিটে হেলমেট, বুলেট প্রুভ জ্যাকেট ও হাত কড়া পরিয়ে আদালত থেকে বের করা হয়। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেন। তখন তিনি বলেন, কথা বলা নিষেধ? কথা তো বলতে হবে। গণতান্ত্রিক দেশ।

এরপর শাজাহান খান বলেন, এ দেশের মায়েরা, বোনেরা এখন রাস্তায় নামছে উপদেষ্টার পদত্যাগের জন্য। 

পরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে দ্রুত হাজতখানায় নিয়ে যান। 

আজকালের খবর/ এমকে








সর্বশেষ সংবাদ
থানায় বসে ওসির টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
চীন মালিকানাধীন ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতি, মালামাল লুট
চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত ট্রাম্পের
দুপুরের মধ্যে দেশের ১০ জেলায় ঝড়ের আভাস
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘ক্যাশিয়ার’ গ্রেপ্তার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে কুবি শিবিরের ‘ফ্রি’ বাস সার্ভিস
কুবিতে চার বছর পর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা শুরু কাল
বিএনপি-এনসিপির পাল্টাপাল্টি জনসভা ঘিরে উত্তেজনা
ভাটারায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, যুবক গ্রেপ্তার
জাবিতে থিসিস ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগ ‘চক্রান্তমূলক’, শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft