ঢাকার ধামরাইয়ে এক হিন্দু নারীর সুদে দেয়া পাওনা টাকা তুলে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ধামরাই থানার এএসআই শামীম মিয়া ওই নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। এএসআই শামীম মিয়া তার ভাড়া বাসার ব্যক্তিগত রুমে ওই নারীকে ডেকে এনে এই অনৈতিক সম্পর্ক করেন।
গত সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরের দিকে ধামরাই থানার পিছনে প্রবাসী সোহেল এর বাড়ির নিচ তলার রুমে এই ঘটনা ঘটে। এএসআই শামীম মিয়া প্রবাসী সোহেল এর বাড়ির নিচ তলার বাড়াটিয়া এবং ধামরাই থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত আছেন। ভাড়া বাড়ির ওই রুমে শামীম একাই থাকেন।
ওই নারী এএসআই শামীম এর রুমে ঢুকার পরই রুমের দরজা ভিতর থেকে আটকিয়ে দেয় শামীম। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে বাহির থেকে ডাকাডাকি পারলেও এএসআই শামীম দরজা খুলতে বিলম্ব করেন। প্রায় আধা ঘন্টা পর দরজা খুললে দেখা যায় রুমে শুধু এএসআই শামীম ও বিউটি নামের ওই নারী। শামীম লুঙ্গি পড়া খালি গায়ে এবং ওই নারী কাগজ হাতে খাটের উপর বসে আসে। এএসআই শামীম মাত্রই গোছল করে দরজা খুলাতে তার শরীর ভিজা ছিলো।
নারীর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অভিযোগ দিতে স্যারের কাছে আসছি। আমি ১০ লাখ টাকা পাই আমার এলাকার কয়েক জনের কাছে। সেই টাকা ওঠানোর জন্যই স্যারের কাছে অভিযোগ দিতে আসছি। স্যারকে ফোন দেয়ার পর আমাকে এখানে আসতে বলছে। ভিতর থেকে এত সময় দরজা বন্ধ থাকার কারণ জানতে চাইলে ওই নারী কোন উত্তর দিতে পারেননি।
ঘটনা স্থলে সাংবাদিকরা গেলে এএসআই শামীম ঘটনার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। টাকা না নেয়ায় ওই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করার হুমকি দেন ওই এএসআই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর আগেও ধামরাই থানায় কর্মরত ছিলেন এএসআই শামীম মিয়া। নতুন করে কিছু দিন আগে বদলি হয়ে আবার ধামরাই থানায় আসেন। থানার আশপাশের লোকজন জানান, এই এএসআই এর চরিত্রে সমস্যা আছে।
আজকালের খবর/ এমকে