রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫
‘শিশু-কিশোর সংগঠনগুলো’ নেই আজ খবরে
মোহাম্মদ মাসুদ খান
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ৮:০২ PM
আজ থেকে চল্লিশ, পঞ্চাশ কিংবা ষাট বছর আগ যাদের জন্ম, তারা দেখেছেন বহু শিশু কিশোর ও যুব সংগঠনের অস্তিত্ব। এমন কোনো পাড়া মহল্লা ছিলো না যেখানে কোনো সংগঠন ছিলো না।   

আমরা ছিলাম রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সরকারি আবাসের বাসিন্দা। জ্ঞান হবার পর থেকেই সেখানে একাধিক শিশু-কিশোর ও যুব সংগঠনের দেখা পেয়েছি। সত্তর দশকে মুকুল ফৌজ, কিশলয় ক্রীড়া সংঘ ও ছাত্র যুব শক্তি নামক তিনটি সংগঠন সেখানে কাজ করতো। স্কুলে দেখেছি কাব স্কাউটের মতো সংগঠন।

আমাদের এলাকায় ‘ছাত্র যুব শক্তি’ নামে একটি সংগঠন ছিলো। তার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন আবুল বজল।  তিনি এলাকায় ‘বড় ভাই’ নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মুকুল ফৌজ করতেন। সাতাত্তর সালের কথা। আমি তখন তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। বড় ভাই ও তার সহযোগী ছিলেন আক্কাস ভাই ও রহমান ভাই। তারা আমাদের বয়সী, সবাইকে একত্রিত করে প্যারেড করাতেন। তাদের কমান্ডগুলো এখনো যেন শোনতে পাই ‘ডান-বাম, ডান-বাম’, ‘আরামে দাঁড়াও, সোজা হও’, ‘সামনে চলো’, ‘ডানে ঘুরো’, ‘বামে ঘুরো’, ‘উল্টা ঘুরো’ এমন সব আদেশ। একদিন বিকাল বেলা প্যারেড শেষে বলা হলো আগামীকাল তোমরা সবাই ভোর ছয়টায় এই লাল মাঠে চলে আসবে, আর তোমাদের সবাইকে কিন্ত সাদা পোষাক পড়ে আসতে হবে।  

পরের দিন ভোরবেলা আমি সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট ও সাদা জুতা মোজা পড়ে হাজির। বাকীদের সবাই কিন্ত আমার মতো পুরো সাদা পোষাক পড়ে আসতে পারেনি। ছেলেদের অধিকাংশই এসেছে সাদা শার্ট আর নেভি ব্লু প্যান্ট পড়ে। মানে বাকী সবাই এসেছে স্কুল পোষাক পড়ে। কারণ সে সময় সবার অতিরিক্ত সাদা প্যান্ট ছিলো না। তাই সেদিন আমাকে লাইনে সবার সামনে দাঁড় করানো হলো। আমার নেতৃত্বে শুরু হলো প্রভাত ফেরি। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাংগানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভূলিতে পারি...।’ সেদিনই জানতে পারি ভাষা শহীদ দিবস সম্পর্কে। 

এভাবে একদিন বড় ভাই আমাদের নিয়ে গেলেন জাদুঘর পরিদর্শনে। তখন জাদুঘর কিন্ত শাহবাগে ছিলো না। সেটি ছিলো ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের কাছে।  

অন্য একদিনের কথা বলি। ছিয়াত্তর সাল হবে, দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ি। কিশলয়ের উদ্যোগে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা মানে স্পোর্টস হবে। সবাইকে সারিবদ্ধ করে দাড় করানো হলো। সবার উচ্চতা মেপে নাম লিপিবদ্ধ করার জন্য সারিতে  দাঁড়ালাম। আমার সামনে দাঁড়ানো ছিলো সহপাঠি বন্ধু মুনতাসির। ওর মাপ নেওয়ার পর ওর নাম জিজ্ঞাসা করলেন আয়োজক তারিক ভাই। মুনতাসির নাম বললো ‘এস এম মুনতাসির মজুমদার’। তখন তারেক ভাই ধমকের সুরে বললেন, ‘এতো বড় নাম ছোট করে বলো’। বন্ধু মুনতাসির ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে নাম বললো ‘সাজু’। মুনতাসিরের পেছনে দাঁড়িয়ে ওর উত্তর শুনে আমি অবাক, কারণ ‘সাজু’ তো ওর ছোট ভাইয়ের ডাক নাম। সাজু আবার আমার ছোট ভাই শিপনের সহপাঠি বন্ধু। তারিক ভাই ‘সাজু’ হিসাবে মুনতাসিরের নাম লিখলেন। ওর পরই আসলো আমার পালা। এবার আমি ভাবলাম আমিও যদি বলি আমার নাম ‘মোহাম্মদ মাসুদ খান’, তাহলেতো তারেক ভাই আমাকেও ধমক দিবেন। তাই ভাবলাম আমি এবার আমার ছোট ভাইয়ের নাম বলি। পরে ধমক দিলে নিজের নাম বলবো। কিন্ত আমার ক্ষেত্রে ভিন্ন ঘটনা ঘটলো। প্রথমে আমি আমার নাম বলি ‘শিপন’। দেখি তারেক ভাই ধমক না দিয়ে আমার নাম শিপনই লিখছেন। এ অবস্থা দেখে আমি তারেক ভাইকে বললাম, ‘ভাই ভুল হয়েছে আমার নাম শিপন না,  মাসুদ খান’। এবার কিন্ত আমাকে ধমক খেতেই হলো ‘নিজের নামটাও জানো না।’ 

আমরা প্রতিযোগিতার জন্য নাম লিখাই মোরগ লড়াই, বিস্কুট দৌড়, ব্যাঙ দৌড় ইত্যাদি ইভেন্টে। 

শৈশবের এমন আরো অনেক স্মৃতি আজও বয়ে বেড়াই। কিশলয়ের উদ্যোক্তা ছিলেন কাজী গোলাম রসূল ওরফে রঞ্জু ভাই এবং তার সহযোগী ছিলেন মেসবাহ ভাই, ভেটো ভাই, তারিক ভাই, লিটন ভাই, প্রমুখ। 

আমাদেও শেরেবাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে দেখা পাই স্কাউটের। সালাম ভাই ও তৌহিদ ভাই ছিলেন আমাদের স্কুলের স্কাউটের নেতৃত্বে। 

১৯৮৬ সালে যখন উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে পড়ি তখন নিজেই সংগঠক বনে যাই। গঠন করি শাপলা শালুকের আসরের শেরেবাংলা নগর শাখা। শুরু হয় এলাকার শিশু কিশোরদের মাঝে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা। আমাদের রচিত ছড়া, কবিতা, গল্প প্রকাশিত হতে শুরু করলো বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার শিশু-কিশোর বিভাগে। শিশু কিশোর সংগঠন করার কল্যাণে জাতীয় বেতারেও অংশ নেবার সুযোগ ঘটে। অংশ নেই স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টার, সোভিয়েত কালচারাল সেন্টার ও শিশু একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্র করে আমরা সাক্ষাৎ পাই কবি আল মাহমুদ, কবি শামসুর রাহমান, প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব লুৎফর রহমান সরকার, কবি সানাউল্লাহ নূরী প্রমূখের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে।  

সত্তর ও আশি দশকে এমনি একটি অনন্য সাধারণ পরিমণ্ডলে আমরা বেড়ে ওঠি। 

এটাতো গেলো একটি এলাকার কথা। এমনিভাবে তখন সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো অসংখ্য শিশু, কিশোর ও যুব সংগঠন। যারা সুস্থ, সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য নিরলস অবদান রেখে গেছেন। 

মুকুলের মাহফিল থেকে মুকুল ফৌজ, চাঁদের হাট, সূর্য সেনা, কচি কাঁচার মেলা, খেলাঘর, শাপলা শালুকের আসর, ফুল্কুড়ি, কচি কণ্ঠের আসর সহ আরো বহু শিশু কিশোর সংগঠন এই ভূখণ্ডে তাদের কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিশাল ভূমিকা পালন করেছে।  পরিতাপের বিষয় এই একবিংশ শতাব্দীতে তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের সংগঠক মোহাম্মদ মোদাব্বের, কবি ফররুখ আহমেদ, শিল্পী পটুয়া কামরুল হাসান, ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাই, ছড়াকার রফিকুল হক দাদু ভাই, কবি ও গীতিকার ফজল-এ-খোদা মিতা ভাই, আবদুল্লাহ আল মূতী শরফুদ্দীন, শিশু সাহিত্যিক আলী ইমামের মতো সংগঠকদের হাত ধরে গড়ে ওঠেছিলো এই শিশু কিশোর সংগঠনগুলো।  

এই সংগঠনগুলো বিকাশে তৎকালীন দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকাগুলো বিশাল ভুমিকা রেখেছে। ষাট দশকে মুকুল ফৌজের মুখপত্র হিসাবে দৈনিক আজাদেও ভূমিকা ছিলো মূখ্য। সত্তর আশি ও নব্বই দশকে দেখেছি কচি কাচার মেলার মুখপত্র ছিলো দৈনিক ইত্তেফাক, খেলাঘরের মুখপত্র ছিলো দৈনিক সংবাদ, চাঁদের হাটের মুখপত্র ছিলো সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা, শাপলা শালুকের আসরের মুখপত্র ছিলো মাসিক শাপলা শালুক। 

আমাদের ভূখণ্ডে এধরনের শিশু কিশোর সংগঠনের প্রথম যাত্রা হয়েছিলো ৭ আগস্ট, ১৯৪১ সালে ‘মুকুলের মাহফিল’ সংগঠনের মাধ্যমে। ‘মুকুলের মাহফিল’ নামটি দিয়েছিলেন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং সংগঠনটির পরিচালক ছিলেন মোহাম্মদ মোদাব্বের। মুকুলের মাহফিল পরে বাংলা ছাড়াও বিহার, উড়িষ্যা ও আসামে গড়ে ওঠে। তবে সেটি ‘মুকুল মেলা’ নামে। ১৯৪৭ সালে মুকুল মেলার নাম পরিবর্তন করে ‘মুকুল ফৌজ’ করা হয়। তখন এর পরিচালক হন শিল্পী কামরুল হাসান। ষাটের দশকে মুকুল ফৌজ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করে। সার দেশে গঠিত হয় চারশ শাখা, যার সদস্য সংখ্যা ছিলো প্রায় ষাট হাজার। 

পরবর্তীকালে মুকুল ফৌজ থেকে বেরিয়ে ১৯৫৪ সালে সবুজ সেনা, ১৯৬৩ সালে কবি ফররুখ আহমেদের নেতৃত্বে পাকিস্তান শাহীন ফৌজ এবং ১৯৭৪ সালে ফয়জুল ওয়ারা বাবু ভাইয়ের হাতে গঠিত হয় সূর্যসেনা।

স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা পাই রোকনুজ্জমান খান দাদা ভাইয়ের পরিচালনায় কচিকাঁচার মেলা, রফিকুল হক দাদু ভাইয়ের হাতে গড়া চাঁদের হাট, ফজল-এ-খোদা মিতা ভাইয়ের শাপলা শালুকের আসর।  আশির দশকে গড়ে ওঠে আলী ইমামের হাতে শাপলা দোয়েল। এছাড়াও রাজনৈতিক মতাদর্শে গঠিত হয় ‘ফুল্কুড়ি’ ও ‘খেলাঘর’ মতো সংগঠনগুলো।  

দেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল তো বটেই, আমাদের আর্থ সামাজিক  ও রাজনৈতিক বিকাশেও এই সংগঠনগুলোর অবদান ব্যাপক।  এই সংগঠনগুলোর প্রধান ব্যাক্তি দাদা ভাই, দাদু ভাই, মিতা ভাই নাম গুলো ছিলো ঘরে ঘরে পরিচিত এক একটি নাম।
এসব সংগঠকদের কেউই আজ বেঁচে নেই। তাই সংগঠনগুলোও হারিয়ে গেছে নিবেদিত প্রাণ মানুষের অভাবে।

মুলত এই ভূখণ্ডের শিশু কিশোর সংগঠনগুলোর পথ প্রদর্শক কিন্ত স্কাউট আন্দোলনের হাত ধরে। একটু পেছনে ফিরে তাকানো যাক। 

বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ১৯০৭-০৮ সালে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল ইউরোপে ‘বয় স্কাউট; তৈরি করেছিলেন।  উদ্দেশ্য ছিলো শিশু কিশোরদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ। ধীরে ধীরে সংগঠনটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বময়। ব্রিটিশ শাসিত দেশগুলোতে স্কাউট আন্দোলন স্কুল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। ছাত্রদের পাশাপাশি সৃষ্টি হয় ‘গার্লস গাইড’।

ছোটদের জন্য ‘কাব’ আর বড়দের জন্য গঠিত হয় ‘রোভার স্কাউট’। ১৯১৬ সালে বংগদেশে স্কাউট আন্দোলনের সূচনা হয়। ব্রিটিশদের ইচ্ছা অনুযায়ী তখন কেবল মিশনারী ও স্কুলে স্কাউট আন্দোলন সীমাবদ্ধ ছিলো। এক পর্যায়ে স্কাউট আন্দোলন সমগ্র ব্রিটিশ ভারতের শিক্ষাঙ্গনে বিস্তৃতি লাভ করে। 

ত্রিশের দশকের শেষ ভাগে গড়ে ওঠে ‘মনিমেলা’। মুলত দৈনিক আনন্দ বাজার পত্রিকার উদ্যোগে হিন্দু ছেলে মেয়েদের নৈতিক, সাংস্কৃতিক ও শারীরিক উন্নয়নে সৃষ্টি হয় মনিমেলা। এর কয়েক বছর পর ১৯৪১ সালে মুসলিম ছেলে মেয়েদের জন্য গঠন করা হয় ‘মুকুলের মাহফিল’। পরে ১৯৪৭ সালে এটি ‘মুকুল ফৌজ’ নাম ধারণ করে যাতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এতে অংশ নিতে পারে।

আজ ২০২৫ সালে এসে দেখা যায় শিশু কিশোর সংগঠনগুলো প্রায় নিষ্ক্রিয়। স্কাউট ছাড়া অন্য শিশু কিশোর সংগঠনগুলোর তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না।  মোহাম্মদ মোদাব্বের এর ‘মুকুলের মাহফিল’, কামরুল হাসানের ‘মুকুল ফৌজ’র নাম এ প্রজন্মের কাছে একেবারে অপরিচিত। কোথাও দেখা যায় না রফিকুল দাদু ভাইয়ের ‘চাঁদের হাট’, ফজল-এ-খোদা মিতা ভাইয়ের ‘শাপলা শালুকের আসর’। বিলীন হয়ে গেছে ফয়জূল ওয়ারা বাবু ভাইয়ের সূর্যসেনা। মোট কথা ‘শিশু কিশোর সংগঠনগুলো‘ নেই আজ খবরে।  অথচ সুন্দর, সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে শিশু কিশোর সংগঠন গুলোর জেগে উঠা খুবই দরকার।   
 
লেখক: সাধারণ সম্পাদক, শেরেবাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা।

আজকালের খবর/আরইউ 








সর্বশেষ সংবাদ
কোটি টাকা চাঁদা দাবি, ফাঁদ পেতে ধরা হলো তিনজন
ফেনীতে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার, বাড়ি থেকে অস্ত্র-বুলেট জব্দ
আওয়ামী লীগ-জাপা ছাড়া নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না: জি এম কাদের
গুলি করে গরু ব্যবসায়ীদের ৭৮ লাখ টাকা লুট
ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে ৭ এবং গাজায় ৩৪ জন নিহত
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
বগুড়ার সোনাতলায় বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল
টেকনাফে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ থাকা ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার
পুত্রবধূ অন্তঃসত্ত্বা, শ্বশুর গ্রেপ্তার
ঈদে নিহারকলি নিয়ে আসছেন পরিচালক ফজলুল হক
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft