প্রকাশ: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:০০ PM আপডেট: ০৮.০৩.২০২৫ ৪:০৫ PM
প্রথমেই বলে রাখি এই পৃথিবীটা ভালো মানুষের না। এই পৃথিবীটা মানুষরূপী হিংস্রতম জন্তুজানোয়ারদের। এরাই মূলত সুন্দর এই পৃথিবীটাকে গ্রাস করে ফেলেছেন। হাতের মুঠোয় বন্দি করে রেখেছেন। আঙুলের ইশারায় ইচ্ছেমতো নাচিয়ে বাজিয়ে তুলেছেন। যাচ্ছেতাই করেই চলেছেন। কাউকে মূল্যায়ন করার টাইম নেই। গুরুত্ব দেওয়া ও ভাবার সময় নাই। ভালো-মন্দ, সৎ-অসৎ, ন্যায়-অন্যায়, ন্যায্যতা-অন্যায্যতা, পুণ্য-পাপ, শান্তি-অশান্তির মূল্যায়নের কাণ্ডজ্ঞানও নাই। হায়রে পৃথিবীর মানুষ! হায়রে পৃথিবীর ক্ষমতা! হায়রে সর্বার্থসিদ্ধির পূজারিদল! হায়রে পৃথিবীর ছলচাতুরী আর ছলনা! এই যা কিছু ছলা আর যা কিছু কলা; এভরিথিং ইজ নাথিং! নাথিং ইজ নাথিং; গুড ফর নাথিং’স! হিংসা, বিদ্বেষ, রেষারেষি আর প্রতিহিংসা সময়ের শ্রেষ্ঠ জীবচর্চাকলা! শিল্পকলা তুমি কেঁদো না, অমানুষের কুচর্চাকলা এ আসলে তেমন কিছুই না। স্টপ, ইনাফ ইজ এনাফ! ওরা মানুষের কোনো বংশধর না! ওরা জারজ! ওরা বড় কুলাঙ্গার! ওরা নালবংশ আর ধ্বংসযজ্ঞের মুতা সুদ্ধ ঝাড়! চলমান সভ্যতার অপরিণত সর্বনাশার ক্রিয়াকৌশলের বাজিকর! এরাই অধমের ঈশ্বর! অধমের শয়তানরূপী পিতা! এরাই জন্মজন্মান্তর জন্ম দিয়েই যাচ্ছেন শুধু শ্রেষ্ঠ অধমসন্তান! শয়তান কিলবিল ছাড়ান ছিটান জীবন্তিকা ওস্তাদজী! এরাই বড়সড় নাস্তিকদের গোষ্ঠী! হারামির দল। এরাই বড়সড় দল, ব্যক্তি, শ্রেণি, সংস্থা, গাত্রবর্ণ এবং সকলেরই প্রিয় বাজান! হে আল্লাহ তুমি মহান! ক্ষমা কর পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানবসন্তান।
দুই. এখানে আগবাড়িয়ে কিছু করবেন না; প্লিজ, এখানে আগবাড়িয়ে ভুলেও কিছু করতে যাবেন না। শেষান্তে পস্তাতে হবে- মানে নিশ্চিতভাবে পস্তাবেন। চিরসত্য। হা-হুতাশেরও কূল-কিনারা পাবেন না; এটা অবশ্যম্ভাবী!
কত মানুষ আছে এই পৃথিবীতে যারা নিঃস্বার্থভাবে শুধু পরের জন্য করেই যান। বিনিময়ে কখনো প্রাপ্তির আশা করেন না। অথচ দিনশেষে এরাই প্রচন্ডভাবে সমস্যার সম্মুখীন হন। বিরাটকারের ক্ষতিগ্রস্ত হন। এমনও অনেক মানুষ আছে- যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, অন্যের দ্বারস্থ হয়ে এমনকি ভিক্ষাবৃত্তি পর্যন্ত করেও অন্যের ভালোর জন্য, কল্যাণের জন্য এবং মঙ্গলের জন্য করেই চলেছেন। এ ধরনের লোকদের খাওয়া পরার সময় থাকে না, নিজের দিকে ফিরে তাকানোর ফুরসত পর্যন্ত থাকে না। চিন্তায়, দুশ্চিন্তায়, দুর্ভাবনায় রাতের ঘুমটুকু পর্যন্তও ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন না। পারিবারিকভাবে হেয়প্রতিপন্নের স্বীকার হন। শারীরিক এবং মানসিক চাপের প্রকৃতি জেকে ধরেন। পরিবেশ পরিস্থিতিতেও বিরূপতার স্বীকার হন। সকলের কটাক্ষ-বানে ভেসে যান। অথচ ইচ্ছে করলেই ভালো একটা পোষাক কিনে পরতে পারেন না, ভালো একজোড়া জুতো কিনে পরতে পারেন না; ভালো মানুষের সান্নিধ্যে যেতে পারেন না। তবে বিষয়টির ভাবনার প্রতিফলন অন্যভাবেও ঘটতে পারত। এ ধরনের লোকেরা চাইলে ভালো বাড়ি, গাড়ি, প্রতিপত্তি, জায়গাজমি, অঢেল সহায়-সম্পত্তির মালিক হতে পারত। ক্ষমতাসীন হতে পারত। ভালো মানুষগুলোর কষ্ট চিরকালের। এরাই পদে পদে লাঞ্চিত হন, অবহেলিত হন, বঞ্চিত হন এবং সকলের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।
বিষয়টি একটা গল্পের মাধ্যমে বললে বুঝতে খুবই সহজতর হবে। ধরুন, চিন্তিয় নামের ব্যক্তিটি পৃথিবীর বয়স সমান ধরে মায়াকলের যাতাতলে পিষ্ট হয়ে পরহিতৈষী কার্যসাধন করে যাচ্ছেন। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ; কালের পর কাল; এভাবেই অনন্তকাল শুধু ভালো চেয়েই যাচ্ছেন। পরের জন্য করেই যাচ্ছেন। এমনও হয় যখন হৃতসর্বস্ব সমস্তই বিলিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, কণা পরিমাণ ভুল সনাক্ত হলেও সেখানেই বিশালাকৃতির গর্ত খুঁড়ে তুলছেন। এই পৃথিবীটা অকৃতজ্ঞের; কৃতজ্ঞতা তুমি মহান! দেখেন। বোঝেন। শোনেন। চলেন। ফেরেন। আর যার যা ইচ্ছে হে পৃথিবীর মানুষ করেন। মানুষের জন্যে মানুষ মরেন। বাঁচেন। গান গান। ঘুমান। জীবনের পথে হাঁটেন। গান গাই মানুষের।
আজকালের খবর/আরইউ