আইন অনুষদের পরীক্ষা ধর্মতত্ত্বে কেন? ইবি শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন
রবিউল আলম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ: শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫, ৬:৩৯ পিএম
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগ সংস্কারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। আজ শনিবার দুপর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অন্য অনুষদের অধীনে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‌‘আইন অনুষদের পরীক্ষা ধর্মতত্ত্বে কেন’, ‘অনতিবিলম্বে বিভাগের নাম সংস্কার চাই’, ‘আমরা কেন অস্তিত্ব সংকটে’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবি, বিভাগের সেশনজট দূর করা, বিভাগের নামে আইন শব্দটি যুক্ত করা, ইউজিসি কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী বিভাগের কারিকুলাম সংস্কার করা, আইন অনুষদের সঙ্গেই তাদের ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে।

পরে একটা প্রতিনিধি দল উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে আলোচনা করে। এ সময় তাদের দাবি ‘অনতিবিলম্বে আল ফিকহ অ্যান্ড লিগাল স্টাডিজ বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট (ডি ইউনিটের) এর অধীনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা বাতিল করতে হবে।’

তারা আরও বলেন, ‘বিভাগের নাম, কারিকুলাম ও সেশন জট সংক্রান্ত যে সব দাবি বিভাগ বরাবর পেশ করা হয়েছিল তা বাস্তবায়নের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনকে অন্তর্ভুক্তি করে এবং আজকের ১ মার্চ মৌন সম্মতিতে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিসহ অনতিবিলম্বে একটি সংস্কার কমিটি গঠন করতে হবে।’

জানা যায়, গত বুধবার বিভাগে একাডেমিক কমিটিতে আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ‘বি’ ইউনিটের পরিবর্তে ‘ডি’ ইউনিট তথা ধর্মতত্ত্ব অনুষদের সঙ্গে নেয়া হবে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে। পাশাপাশি বিভাগের নাম পরিবর্তন ও সেশনজট নিয়ে দাবি তুলে তারা।

বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নাজিমুদ্দিন বলেন, আমরা ডি ইউনিটের অধীনে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিভাগের শর্ত ছিল যে ডি ইউনিটের অধীনে পরীক্ষা নিলে সব দিক রক্ষা হয়। সেটা প্রশাসন বিবেচনা করে দেখবেন। ডি ইউনিটভুক্ত হওয়া মানে আইন অনুষদ ছেড়ে দিয়ে ঐ অনুষদে যাওয়া না। ডি ইউনিটে কলা অনুষদও আছে। ২১/২২ বছরের প্রতিষ্ঠিত একটা বিশেষায়িত বিভাগ, এখানে শঙ্কায় থাকার কারণ নাই। 

বিভাগের নাম পরিবর্তনে বিষয়ে তিনি জানান, বিভাগের নাম আমরাও পরিবর্তনের জন্য প্রশাসনকে অবহিত করেছি। কোনো কিছু হতে গেলে নিয়ম আছে, সময় লাগে, নতুন প্রশাসন আসছেন। নাম পরিবর্তনের বিষয়ে পুরো বিভাগ একমত। 

এ বিষয়ে উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা শুনেছি। বিভাগে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিলে সেটা বাস্তবায়ন করার এখতিয়ার প্রশাসনের রয়েছে। শিক্ষার্থীদের আগামীকাল লিখিত দরখাস্ত দিতে বলা হয়েছে। দুই পক্ষের কথা শুনে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিবে।

আজকালের খবর/ওআর








http://ajkalerkhobor.net/ad/1751440178.gif
সর্বশেষ সংবাদ
সরকারি চাকরিজীবীদের বাসা বরাদ্দ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা
জুলাই সনদের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ
ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
তাসকিনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে নিলেন বন্ধু
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
চট্টগ্রাম খুলশীতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, থানায় জিডি
গাজীপুর জেলায় আসন বাড়বে, কমবে বাগেরহাটে
নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে ধরণী বাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
১৪ বছর পূর্তিতে গাজীপুর প্রেস ক্লাবে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের আলোচনাসভা ও বৃক্ষরোপণ
কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে টঙ্গীতে মানববন্ধন
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft