কিডনিসহ নানান জটিল রোগে আক্রান্ত দৈনিক করতোয়া পত্রিকার কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি ফাহিমা আক্তার প্রিয়া। তার উপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারী সন্ত্রীসের হামলায় আহত হন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি ভুগছেন বিনা চিকিৎসায়। তার পরিবারে বর্তমানে উপার্জনক্ষম আর কেউ নেই। চিকিৎসার অভাবে সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলায় আহত মৃত্যু পথযাত্রী এই কলম সৈনিক। এ অবস্থায় তার পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানসহ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবার।
সাংবাদিক ফাহিমা আক্তার প্রিয়া প্রতিষ্ঠাকাল থেকে দৈনিক ময়নামতি, ভোরের সূর্যোদয় ও দৈনিক করতোয়া পত্রিকাসহ প্রথম সারির একাধিক গণমাধ্যমে কুমিল্লা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তার স্বামী শুয়াইবুল হোসেন মুন্সী। সেও বর্তমানে কর্মক্ষম। তার পরিবারে স্বামীসহ দুই মেয়ে রয়েছেন। মেয়েটি একটি ৬ষ্ঠ শ্রেনী ও আরেকটি প্রথম শ্রেনীতে শ্রেণিতে পড়ে। দীর্ঘদিন অসুস্থতার কারণে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে এই সাংবাদিক পরিবার। এরইমধ্যে চিকিৎসার খরচ জোগাতে নিজ গ্রামের ভিটেটুকুও বিক্রি করে দিতে হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলায় আহত হবার পর প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পায়ের অপারেশনের পর বর্তমানে কিডনি বিশেষজ্ঞ ডা. মোবাশ্বের আলমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। তবে অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা করানো আর সম্ভব হচ্ছে না।

কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক ফাহিমা আক্তার প্রিয়া বলেন, ‘আমাদের ভিটেবাড়িসহ যা ছিল, সব বিক্রি করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন আর পারছি না। কী করবো, কিছুই বুঝতে পারছি না। জরুরিভাবে আবারো ঢাকায় যেতে বলেছেন এখানকার চিকিৎসকরা। কিন্তু বর্তমানে কোনোভাবেই কিছু করতে পারছি না।’
কুমিল্লা সদর হাসপাতালের মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. দেলোয়ারা বলেন, ‘সাংবাদিক ফাহিমা কিডনি, ডায়াবেটিসসহ নানান জটিল রোগে আক্রান্ত। তার মধ্যে তার উপর ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলা এরই মাঝে ব্রেন স্ট্রোক করেছেন। এমন রোগীর কুমিল্লাতে তেমন চিকিৎসা দেওয়ার মতো যথাযথ ব্যবস্থা নেই। তবে আমাদের মতো করে যথাসাধ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে। তাকে জরুরিভাবে ঢাকায় নেয়া দরকার। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা পেলে সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করি।
আজকালের খবর/ এমকে