গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, নিয়মানুবর্তিতা, সময়ানুবর্তিতা ও লক্ষ্য তিনটা জিনিসকে ফলো করতে হবে। তোমাদের জীবনের লক্ষ্যকে ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে। তোমাদের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। তোমাদের শিক্ষা-জ্ঞানের আলো এই ইউনিভার্সিটি আরও এগিয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেনারি মেডিসিন অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স অনুষদের ১২তম ব্যাচ কর্তৃক আয়োজিত ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের ইউনিভার্সিটি শুরু হয়েছে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স দিয়ে। সমস্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমাদের ইউনিভার্সিটি রাংকিংয়ে নাম্বার ওয়ান। এটা আমাদের সবচেয়ে গর্বের বিষয়। আমাদের এডুকেশন সিস্টেম, একাডেমিক ক্যালেন্ডার। শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনায় অধিক গুরুত্ব। যা আমাদের কৃতিত্ব বয়ে এনেছে। এর পেছনে ছাত্র ছাত্রীদের অবদান অনেক।
তিনি বলেন, আমরা কিন্তু এখনো অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছি। ভবিষ্যতে তোমাদেরকে আরো আরও হার্ড কম্পিটিশন মোকাবেলা করতে হবে। পৃথিবীর সঙ্গে তোমাদের কম্পিটিশনে টিকে থাকতে হবে। বর্তমানে একাডেমিক শিক্ষায় যে সুযোগ-সুবিধা তোমরা পাচ্ছো। ভবিষ্যতে আরো সুযোগ সুবিধা পাবে।
উপাচার্য আরও বলেন, পশু পাখির ডাক্তার হওয়া সহজ বিষয় নয়। মানুষের ডাক্তার হলে তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়। রোগের সিমটম জেনে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দেওয়া যায়। কিন্তু পশু পাখির চিকিৎসা সেবা জটিল এবং নিবির। তবে আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক মেধা সম্পন্ন। যারা এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে বেরিয়ে গেছে তারা দেশ সেবায় অবদান রাখছে। তোমরাও এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা অর্জন করে ডিগ্রি নিয়ে দেশের কল্যাণে অবদান রাখবে।
ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- প্রো-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অনুষদের ডিন শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।
আজকালের খবর/ এমকে