প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:২২ PM

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তিস্তা শুধু উত্তর অঞ্চলের মানুষের সমস্যা নয়, এটি একটি জাতিগত সমস্যা। কারণ তিস্তার সঙ্গে পুরো দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক জড়িয়ে আছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় 'জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই' কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবতায়ন হলে উত্তর অঞ্চলের মানুষের ঢাকা যেতে হবে না তিস্তা পাড়েই তখন বিভিন্ন দেশি বিদেশী শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। নদী পথ চালু হলে এ অঞ্চলের মানুষ স্বল্প ব্যায়ে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে। এতে মানুষের জীবনমান অনেকটাই উন্নত হবে। উত্তর অঞ্চলের মাটি খুবই উর্বর এখানে শাক সবজি ও বিভিন্ন ধরনের ফসলের ভালো ফলন হয় কিন্তু ক্রয় করার মানুষ নেই তার কারণ অনুন্নত যোগাযোগ ব্যাবস্থা।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ভাটির দেশ নদীর পানির মালিক। ভারতের আগ্রাসনে তিস্তা এখন আর নদী নেই এটিকে খাল বলা যায়। তাই তিস্তা চুক্তি ও নদীর সমস্যার সমাধানের পূর্বশর্ত নির্বাচিত সরকার দরকার।
জানা গেছে, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার দেশের সর্ব বৃহৎ শেষ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় চলছে কর্মসুচি।
এ কর্মসূচি আরও বক্তব্য রাখেন, 'জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই কর্মসূচির' সমন্বয়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার হাসান রাজীব প্রধান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
আজকালের খবর/বিএস