প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:১২ PM

‘অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে, সঠিক বিচার পেতে চলো যাই গ্রাম আদালতে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-৩য় পর্যায় প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে যাচ্ছে গ্রাম আদালত।
জনগণের হাতের কাছেই ইউনিয়ন পরিষদ, জনগণের সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার প্রথম ধাপই হচ্ছে এই ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার মধ্যে, গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাওয়ায় জনগণের আস্থা বেড়েই চলেছে গ্রাম আদালতের উপর। এছাড়া কমছে উচ্চতর আদালতের মামলা জটও। কমেছে জনহয়রানি, হয়েছে অর্থ সাশ্রয়, কমেছে অর্থ অপচয়ও। গত এক বছরে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতে মামলা হয়েছিল ৩০০টি। যার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ২৯৩টি। চলমান রয়েছে ৭টি। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে ৩৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়ে খুশি তুলশিগঙ্গা ইউপির মো. খোরশেদ আলম, বড়াইল ইউপির রোজিনা বেগম, মামুদপুর ইউপির নাদিরা বেগম, বড়তারা ইউপির জহুরুল ইসলাম বলেন, কোর্টে যাওয়া লাগেনি, উকিল মহুরি ধরা লাগেনি, টাকা খরচ হয়নি, হয়রানির শিকার হতে হয়নি, সহজেই ন্যায় বিচার পেয়েছি, আমরা বেশ খুশি হয়েছি।
গ্রাম আদালতের উপজেলা কো-অর্ডিনেটর আনন্দ চন্দ্র শীল বলেন, গ্রাম আদালতের মাধ্যমে অনধিক ৩ লাখ টাকা মূল্যমানের ফৌজদারী ও দেওয়ানী বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত গ্রাম আদলত ইতিমধ্যেই জনগণের ব্যাপক আস্তা অর্জন করেছে বিচারকার্য পরিচালনার মাধ্যমে। এতে উচ্চতর আদালতেও মামলা জটও কমে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে গ্রাম আদালত পরিচালনায় ক্ষেতলাল উপজেলা দেশ সেরা গৌরব অর্জন করেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আল জিনাত বলেন, আইনি সেবা জনগণের দোরগোড়াই পৌঁছে দিতে গ্রাম আদালত পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছে। দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগণ বিশেষ করে নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণ যাতে ন্যায়বিচার পায় সে দিকটা লক্ষ্য রেখে কাজ করে যাচ্ছে গ্রাম আদালত। আগামীতে গ্রাম আদালতের সুফল জনগণ ব্যাপক হারে পেতে থাকবে।
আজকালের খবর/ওআর