শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫
গাজা বিক্রির জন্য নয়
গাজীউল হাসান খান
প্রকাশ: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:২৩ PM
‘শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই, আর সবই গেছে ঋণে/বাবু বলিলেন, বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কিনে।’

আমার চেতনার ফেলে আসা অলিন্দে রবীন্দ্রনাথ বারবার ফিরে আসেন। জাগরূক হয়ে ওঠেন, যখন শুনি বিশ্বের অন্যতম প্রধান পরাশক্তির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ড কিনে নিতে চান। না দিলে দখল করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।

ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সশস্ত্র হামলায় গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষ যখন সম্পূর্ণ বিপন্ন, বাস্তুভিটা এবং সহায়-সম্বল হারিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, তখনই ট্রাম্পের এই ঘোষণা এসেছে। বিগত ১৫ মাসের ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন সশস্ত্র হামলায় প্রায় পাঁচ লাখ গাজাবাসীকে দক্ষিণ থেকে উত্তরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং আজও হয়নি তাদের সাময়িক বা অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা। ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৫০ লাখ এবং শিশু, বৃদ্ধসহ আহত হয়েছে লাখ লাখ নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষ।

মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণার ৭৬ বছর পরও ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর ঘোষিত ও অঘোষিত পৃষ্ঠপোষকতায় সে জ্বলন্ত সমস্যার আজও কোনো সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি।

ইসরায়েলের তথাকথিত স্বাধীনতার পর থেকে, বিশেষ করে ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধসহ পরবর্তী সময়ে একের পর এক সামরিক হামলায় তারা দখল করে নিয়েছে প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য নির্ধারিত প্রায় ৭০ শতাংশ ভূমি এবং সেখানে স্থাপন করেছে মাইলের পর মাইল অবৈধ বসতি। এতে প্রায় সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের আরব অধিবাসীরা। ফিলিস্তিনের আরব ভূখণ্ডে ইহুদিবাদীরা গড়ে তুলতে চায় এক বৃহত্তর ইসরায়েল রাষ্ট্র, যার বিস্তৃতি হবে জর্দান নদীর পশ্চিম তীর থেকে ভূমধ্যসাগরের গাজা উপকূলবর্তী এলাকা পর্যন্ত। তেমন একটি অনৈতিক, বেআইনি এবং অমানবিক ইহুদিবাদী ঘোষণায়ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে পশ্চিমা জগৎ সম্পূর্ণ নীরব।

কিন্তু এই লোমহর্ষক চাঞ্চল্য ঘটনাটি সেখানেই থেমে থাকেনি। এখন তা আবার এক অপরিণামদর্শী ধ্বংসলীলার নতুন পরিণতির দিকে অগ্রসর হতে যাচ্ছে বলে মনে হয়।

ইহুদিবাদী ইসরায়েলের উপর্যুপরি আক্রমণ, বিশেষ করে ১৯৬৭ সালে সংঘটিত ছয় দিনব্যাপী আকস্মিক এবং একটানা সশস্ত্র হামলায় তারা পূর্ব জেরুজালেমসহ সম্পূর্ণ পশ্চিম তীর ও গাজা দখল করে নেয়। তার পর থেকে আমি ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের সংঘর্ষ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিস্ফোরণোন্মুখ সংকট নিয়ে তৎকালীন বিভিন্ন বাংলা সংবাদপত্রে নিয়মিতভাবে সমস্যাটির আদ্যোপান্ত নিয়ে লেখা শুরু করি। পরে অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তৎকালীন দৈনিক বাংলা ও তাদের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বিচিত্রায় লেখার কলেবর বাড়িয়ে দিই।

এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ফিলিস্তিন সংকট ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে দেশবাসীকে ওয়াকিফহাল এবং সতর্ক করে তোলা। পরে অর্থাৎ ১৯৭৬ সালে সাংবাদিকতায় পড়াশোনা করার জন্য কমনওয়েলথ সচিবালয়ের বৃত্তি নিয়ে আমি লন্ডনে চলে যাই। সে সময় ক্রমে ক্রমে মধ্যপ্রাচ্য সংকট আরো ঘনীভূত হতে থাকে। আমি তখনো লন্ডনের দু-একটি ইংরেজি পত্রপত্রিকাসহ ঢাকার কাগজেও লিখতে থাকি। এরই এক পর্যায়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হই। উদ্দেশ্য ছিল পরে ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের সংকটের ওপর পিএইচডি করা, আমার অভিসন্দর্ভের বিষয়ও ছিল তাই। পরে বিভিন্ন সাংসারিক সমস্যায় আমার পিএইচডি করার সম্ভাবনা পিছিয়ে গেলেও দেশে ফিরে আমি ‘প্যালেস্টাইন: এক চলমান ইতিহাস’ বিষয়ে একটি বই প্রকাশ করেছিলাম। উপরোল্লিখিত এই ব্যক্তিগত বিষয়গুলো প্রকাশ করার উদ্দেশ্য আত্মপ্রচারণা নয়, মূল বিষয়টি হচ্ছে প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ইস্যুটি শেষ পর্যন্ত কোথায় গড়িয়েছে, তা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা।

শুরুতে উল্লেখিত ফিলিস্তিন বা আরব ভূখণ্ডে ইহুদি ও ফিলিস্তিনি আরবদের জন্য দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন সংক্রান্ত জাতিসংঘের, বিতর্কিত হলেও সুস্পষ্ট ঘোষণা ছিল। কিন্তু ইহুদিবাদীদের বিভিন্ন বাধার মুখে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের বিষয়টি ক্রমাগতভাবে পেছাতে থাকে। কারণে-অকারণে ইহুদিবাদীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর একের পর এক সশস্ত্র সংঘর্ষ এবং ঘোষিতভাবে যুদ্ধবিগ্রহ চাপিয়ে দিয়েছে। ১৯৬৭ সালের ঝটিকা ইসরায়েলি আক্রমণ ও আরব ভূমি দখলের আগে এবং পরেও ইহুদি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বহু যুদ্ধবিগ্রহ বা সংঘর্ষ সংঘটিত হয়েছে। ১৯৭৩ সালের আগে-পরেও সে ধারা অব্যাহত ছিল। এর মধ্যে ইহুদিবাদীদের বারবার গাজা আক্রমণের বিষয়টি উল্লেখযোগ্য।

২০০৯ সালের জানুয়ারিতে গাজায় সংঘটিত তিন সপ্তাহের অসম ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ ইসরায়েলি সশস্ত্র আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল একটি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছিল। সে একতরফা আক্রমণে ইহুদিবাদী ইসরায়েল প্রায় এক হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি গাজাবাসীকে হত্যা করেছিল। এর আগে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলি সমস্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ক্যাম্প ডেভিড আলোচনা থেকে হোয়াইট হাউসে দুই পক্ষের একটি চুক্তি স্বাক্ষর এবং মধ্যখানে অসলো উদ্যোগ ও আলোচনায় একদলীয় সময় ব্যয় করা হয়েছে। তার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের ভূমি লুণ্ঠন কিংবা শরণার্থী ফিলিস্তিনিদের স্বদেশে ফিরে আসার অধিকার নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন বিবাদ-বিসংবাদ।
দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদীরা সব সময়ই ছিল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের কাছে এখনো মুখ্য বিষয় হচ্ছে পুরো ফিলিস্তিন আরব ভূখণ্ডে একটি বৃহত্তর ইহুদিবাদী ইসরায়েল রাষ্ট্র গড়ে তোলা। সে কারণেই তারা বিভিন্ন অজুহাতে সমস্যার দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথ থেকে বারবার সরে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পশ্চিমা জগতের অন্যরা দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ব্যাপারে একমত হলেও ইহুদিবাদী ইসরায়েলিরা তাকে বারবার বিপথগামী করার প্রয়াস পায়। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতিকরা, বিশেষ করে রক্ষণশীল রিপাবলিকান পার্টির রাজনৈতিক নেতারা ও মার্কিন কংগ্রেসে অত্যন্ত তৎপর ইসরায়েলি লবি এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত সক্রিয় রয়েছে। তারা চায় না এই সমস্যাটির একটি গ্রহণযোগ্য দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান। তারা ইহুদিবাদীদের মতো মনেপ্রাণে চায় ফিলিস্তিনের আরবরা প্রতিবেশী জর্দান, মিসর কিংবা চিরস্থায়ীভাবে অন্যত্র সরে যাক এবং মধ্যপ্রাচ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ বা বৃহত্তর ইসরায়েল রাষ্ট্র গড়ে উঠুক।

যুক্তরাষ্ট্রের গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দেশীয় এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান পার্টির বিশেষ কেউ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যার দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বিরুদ্ধে বিশেষ কোনো কথা বলেনি। এতে এই কথাটি মনে করার কোনো কারণ নেই যে যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিবাদী কিংবা ইসরায়েল লবির কেউ এই বিষয়টি নিয়ে নিষ্ক্রিয় ছিল। এ ক্ষেত্রে নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রমেই তার সুর পাল্টাতে শুরু করেন এবং তাতে আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলে বসবাসকারী কট্টরপন্থীরা। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, রক্ষণশীল ও ইহুদিদের সমর্থনকারী রিপাবলিকান পার্টির নেতারা এবং বিশেষ করে ইসরায়েল-আমেরিকান লবির নেতারা আবার ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধী নেতা, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানান। সেই থেকে শুরু হয় মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বরূপে আত্মপ্রকাশ করার কাক্সিক্ষত ক্ষণটি। তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের চলমান যুদ্ধ অবসান ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলা শুরু করেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী অবস্থানের কারণে ট্রাম্প খুব একটা ক্ষমতা প্রদর্শনের সুযোগ না পেলেও দুর্বল ফিলিস্তিনি, বিশেষ করে গাজাবাসীর বিরুদ্ধে ট্রাম্প স্বরূপে আত্মপ্রকাশ করেছেন। ক্ষমতার দম্ভ কিংবা স্পর্ধা দেখাতে গিয়ে ইহুদিবাদীদের পক্ষ হয়ে ট্রাম্প স্পষ্টওভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত অসহায় গাজাবাসীকে প্রতিবেশী মিসর, জর্দান ও অন্যান্য আরব রাষ্ট্রে চলে যেতে একরকম নির্দেশই দিয়েছেন বলে বলা যেতে পারে। ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি গাজা কিনে নেবেন কিংবা দখল করবেন। সব জঞ্জাল সরিয়ে রিয়েল স্টেট ডেভেলপার ট্রাম্প ও তার ইহুদি জামাতা জ্যারেড কুশনার গাজার ভূমধ্যসাগরের উপকূলে একটি বিশাল ও উন্নতমানের বিনোদনকেন্দ্র ও আবাসস্থল গড়ে তুলবেন। গাজার ধ্বংসাবশেষ সরাতে অনেক সময় লাগবে এবং সেটি এখন কোনোমতেই বসবাসের উপযুক্ত নয় বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সে ঘোষণাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে জর্দান, মিসর, সৌদি আরব ও তুরস্কসহ বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং বিশেষ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণ। ট্রাম্প ভুলেই গেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, কিন্তু পুরো বিশ্বের মালিক নন। তাঁর ক্ষমতার দম্ভ কিংবা স্পর্ধার কোনো দাম নেই বিশ্বের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে। তাই রবি ঠাকুরের ভাষায়, ‘বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কিনে’-এর কোনো গুরুত্ব নেই। কারণ জেনেভা কনভেনশনের আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধবিপর্যস্ত কোনো জনগোষ্ঠীকে শক্তি প্রয়োগ বা চাপের মুখে নিজ ভূখণ্ড ছেড়ে চলে যেতে কেউ বাধ্য করতে পারে না। আন্তর্জাতিক আইনে তা অপরাধ এবং নিষিদ্ধ।

এখানে স্মরণ করা যেতে পারে যে এখন থেকে পাঁচ দশক আগের বাদশাহ ফয়সালের আরব জাতীয়তাবাদ পুনর্জাগরণের উদ্যোগ নিচ্ছেন আরব কিংবা ভিন্ন কথায় সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)। সে উপলক্ষে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি আরব লীগের একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন এমবিএস। এতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান ও তার দেশের জনগণের। ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিরোধিতায় একজোট হচ্ছে পুরো মুসলিম ও শান্তিপ্রিয় বিশ্বের নাগরিকরা। ট্রাম্পকে তারা কোনোমতেই গাজা দখল করে নিতে দেবে না। প্রয়োজন হলে হামাস, হিজবুল্লাহ ও আরব বিশ্ব এবং অন্যরা আবার ইহুদি-মার্কিন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক সর্বগ্রাসী যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু গাজাবাসী হাজার বছরের নিজ ভূখণ্ড ছেড়ে কোথাও যাবে না। প্রয়োজন হলে নতুন পর্যায়ে এক সর্বাত্মক প্রতিরোধ যুদ্ধে তারা সেখানেই প্রাণ বিসর্জন এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়ার আগ পর্যন্ত সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়ে যাবে।

লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

আজকালের খবর/আরইউ








সর্বশেষ সংবাদ
চাক বাংলা অভিধান ও চাক সংস্কৃতি চর্চা
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন রাজনৈতিক নেতারা
মেহমান
একটি ঘোরলাগা সম্পর্ক
পাকিস্তান থেকে এলো আরো ২৬ হাজার টন চাল
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
টেকনাফে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সূর্যমুখীর চাষ
গৌরীপুরে হোলি উৎসব
কানাডা গিয়ে সরকার বিরোধী লেখালিখি, রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ
মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেপ্তার
অব্যাহত ধর্ষণ, খুন, নৈরাজ্য প্রমাণ করে দেশ চালাতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার: সিপিবি
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft