প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৫২ PM

নওগাঁর রাণীনগরে হাতের কাছে থাকা সহজলভ্য পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিনব্যাপী এক ব্যতিক্রমী পুষ্টি মেলা ও শিখন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মসূচির প্রথমেই বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য পুষ্টি র্যালি বের হয়। র্যালি শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে দিনব্যাপী পুষ্টি মেলার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান। মেলায় প্রায় ১২০০ শিশুকে বিনামূল্যে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়। ইফাদ এবং পিকেএসএফের অর্থায়নে মৌসুমি-আরএমটিপি প্রকল্পের সচেতনতা ও শিখন কার্যক্রমের আওতায় এই পুষ্টি মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে মৌসুমীর নির্বাহী পরিচালক হোসেন শহীদ ইকবালের সভাপতিত্বে ও মৌসুমী আরএমটিপি প্রকল্পের মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন অফিসার আব্দুর রউফ পাভেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম, পিকেএসএফের আরএমটিপি প্রকল্পের ভ্যালু চেইন প্রজেক্ট ম্যানেজার মাহে আলম সরওয়ার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আলী আকন্দ, মৌসুমীর উপনির্বাহী পরিচালক এরফান আলী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মনোয়ার হোসেন তোতা, মৌসুমীর আবাসিক চিকিৎসক ডা. মুক্তাদির রহমান, মৌসুমীর উপ-সহকারী পরিচালক (কমর্সূচি) লিয়াকত আলী, মৌসুমী আরএমটিপি প্রকল্পের ভিসিএফ ফিরোজ হোসেনসহ ডাক্তার, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম, পুষ্টি স্পেশালিস্ট আরএমটিপির উদ্যোক্তা, প্রকল্পের কর্মকর্তা, সাংবাদিক প্রমুখ।
মেলায় সচেতনতামূলক ১০টি স্টলের মাধ্যমে শিশু, অভিভাবক ও মেলায় আগত দর্শনার্থীদের হাতের নাগালে থাকা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করে দেওয়া হয়।
স্টল পরিদর্শন শেষে অতিথিরা এই ধরনের অভূতপূর্ব কার্যক্রম দেখে মৌসুমী আরএমটিপি প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে ভিটামিন, মিনারেল এবং পুষ্টি সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরে মেলায় আসা দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণে পুষ্টিবিষয়ক এক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া মেলায় আগত রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হয়।
মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিলো রাজশাহী থেকে আগত গম্ভীরা শিল্পীদের পুষ্টি ও সচেতনতামূলক গম্ভীরা ও নাটকের পরিবেশনা।
এমন পুষ্টি মেলার মাধ্যমে হাতের কাছে সহজেই পাওয়া যায় এমন বিভিন্ন পুষ্টিকর সবজি ও খাবারের প্রতি মানুষদের এক ধরনের অবহেলা ছিলো। বিশেষ করে শিশুদের সুস্থ ও মেধাবী হিসেবে গড়ে তুলতে এই ধরনের সহজলভ্য পুষ্টিকর খাবার বেশি বেশি গ্রহণের যে কোনো বিকল্প নেই বিষয়টি নতুন করে দর্শনার্থীদের শিখিয়ে দেয়া হয়েছে বলে মেলায় আগত দর্শনার্থীরা জানান। প্রতিবছরই এমন জনগুরুত্বপূর্ণ মেলার আয়োজন অব্যাহত রাখতে আয়োজকদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন দর্শনার্থীরা।
আজকালের খবর/ওআর