প্রকাশ: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:০৯ PM

ফাল্গুনের আগেই বগুড়ায় গাছে গাছে আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে। মধ্য মাঘ থেকে অল্প বিস্তর আম গাছে ফুল এসেছে। গাছে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ সুবাস ছড়াচ্ছে। চারদিকে মুকুলের ভারে গাছ নুইয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জাত ভেদে যেমন কাডিমন ও গুটি আম গাছে ১৫ দিন আগেই মুকুল এসেছে। শীতের আমেজ বিরাজ করলেও আগাম জাতের আম গাছের মুকুলে ডালপালা মুকুলে ছেয়ে গেছে।
আবহাওয়া অনুকূল থাকায় প্রায় সব গাছে মুকুল এসেছে। কুয়াশায় মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত না হতে পারে তার জন্য চাষিরা গাছে গাছে ওষুধ স্প্রে করে মুুকুল রক্ষাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। আম চাষ অনেক লাভজনক হওয়ায় অনেকে আমের বাগান তৈরি করেছেন। তবে কৃষি বিভাগ বলেছে মাঘের মাঝামাঝি সময় বোঝা যাবে কি পরিমাণ আম হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচারক মতলুবর রহমান জানান, মধ্য মাঘের পরে যদি আম বাগান প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়ে তবে আমের ফলন সাধারণত ভালো হয়ে থাকে। এ সময় ঝড়ে গাছের আমের গুটি নষ্ট হয়ে যায়।
তিনি আরো জানান বগুড়া এ বছর ৩ হাজার ৫৫৭ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। জেলায় গুটি আম ছাড়াও আম্রপালি, বারি -৪, ক্ষিরষাপাত, হাড়ভাঙ্গা আমের বাগান তৈরি হয়েছে।
গত বছর আম চাষিরা আমের ভালো দাম পেয়েছিল। ওই বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে আম নষ্ট হয়েছিল। তাই আমের ফলন বৃদ্ধি পাইনি। ধীরে ধীরে আম্রপালি ও বারি ফোর সুমিষ্ট হওয়ায় মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আম্রপালি অনেকদিন পর্যন্ত বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে। দেশের উত্তরাঞ্চলের আম খুব প্রসিদ্ধ। বিশেষ করে দেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, পাবনা, নওগাঁ ও বগুড়া অঞ্চলে আম উৎপাদন বেশি এবং সুস্বাদু।
আজকালের খবর/ওআর