প্রকাশ: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৪৯ PM

বসন্ত বরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও মহান ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ফুলচাষিরা কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছরে আনুমানিক ২ থেকে ২.৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিংগাইর উপজেলার ২০ কৃষক বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ইউনিয়নের ফোর্ডনগর, জয়মন্টপের ভাকুম, শায়েস্তা ইউনিয়নের উত্তর কানাইনগর, তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা, নতুন ইরতা এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করে থাকেন। যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফুলের যেমন কদর বেড়েছে তেমনি এলাকার কৃষক শ্রেণির লোকজন ফুল চাষে ঝুকে পড়েছেন। এর মধ্যে স্বাবলম্বীও হয়েছেন অনেকে। উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নে উত্তর কানাইনগর গ্রামের আব্দুল করিম ও সাদেকুর রহমান ফুল চাষ করে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো আছেন বলে জানা যায়।
সরেজমিনে, আজ বুধবার সকালে সায়েস্তা ইউনিয়নের উত্তর কানাইনগর গ্রামের ফুল চাষি আব্দুল করিমের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি জানান, অন্যের জায়গা বন্ধক রেখে প্রথমে এক দেড় বিঘা জমিতে ফুল চাষ করে লাভবান হয়ে বর্তমানে প্রায় ১০ বিঘা জমিতে বিদেশি উন্নত জাতের ইস্টার, চন্দ্র মল্লিকা, কেনোলভোলা, জিপসি (বাংলা), পমপম, বেগুনি চন্দ্র মল্লিকা, হলুদ চন্দ্র মল্লিকা ফুল চাষ করছি। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে বছরে প্রায় ৫-৬ লাখ টাকা লাভ হয়। একই এলাকার সাদেকুর রহমান সাড়ে ৮ বিঘা জমিতে দেশি গোলাপ ও চায়না গোলাপ চাষ করে বছরে আয় করছেন প্রায় ৬ লাখ টাকা । তাদের আয় দেখে অনেকে উদ্যোক্তা হয়ে ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা য়ায়, উপজেলায় প্রায় ২০ হেক্টোর জমিতে ফুল চাষ হচ্ছে। এ এলাকার মাটি ও আবহাওয়া ফুল চাষের উপযোগী। হরেক রংয়ের গোলাপ, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, স্টার, জিপসি, রজনীগন্ধা, গাধা ফুলের চাষ হয়ে থাকে। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকেরা ফুল চাষে ঝুকছেন বলেও জানা যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাবিবুল বাশার চৌধুরী জানান, কৃষি অফিস থেকে আমরা নিয়মিত সার, রোগ ও পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনায় পরামর্শ প্রদান করে থাকি।
আজকালের খবর/ওআর