মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১৪শ’র বেশি মানুষ হত্যা হয়ে থাকতে পারে: জাতিসংঘ
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:৪০ PM আপডেট: ১২.০২.২০২৫ ৫:১১ PM
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত অভিযুক্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অবমাননা বিষয়ে একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনা করে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়। বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিত এবং তাৎক্ষণিক প্রভাব বুঝতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়। 

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে বাংলাদেশে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ সময় আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। আহতরা বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে যে, তাদের ৪৪ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের সাবেক সরকার এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সহিংস উপাদানগুলোর পাশাপাশি গত বছরের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে শুধু পুলিশ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেনাবাহিনী, র‍্যাব, ডিজিএফআই বা এনএসআইতে সে সময় কর্মরতদের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৫৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। ৩৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ১৬৩ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিজিবি তদন্ত করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য মধ্যম পর্যায়ের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। র‍্যাব তার কর্মকর্তাদের মূল বাহিনীতে ফেরত পাঠিয়েছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি ফৌজদারি ব্যবস্থা। এমনকি ডিজিএফআই, আনসার ও এনএসআই কোনো তদন্ত বা জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা যায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা একত্রে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে পদ্ধতিগতভাবে শতাধিক বিচারবহির্ভূত হত্যা, অত্যাধিক বলপ্রয়োগের মাধ্যমে হাজারও আন্দোলনকারীকে গুরুতর আহত করা, নির্বিচারে আটকে রাখতে স্বেচ্ছাচারিতা, নির্যাতনসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিল। আর এসব মানবাধিকার লঙ্ঘন আন্দোলনকারী ও বিরোধী মত দমনের কৌশল হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বিত দিকনির্দেশনায় হয়েছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়ে থাকতে পারে। এদের বেশির ভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো সামরিক অস্ত্র ও শটগানের গুলিতে মারা যান। হাজারো ছাত্র-জনতা গুরুতর ও চিরতরে আহত হয়েছেন। ১১ হাজার ৭০০-এর বেশি মানুষকে র‍্যাব ও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। নিহতের মধ্যে ১১৮ জনই শিশু। পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী শিশুদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে টার্গেট কিলিং, ইচ্ছা করে পঙ্গু করা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, অমানুষিক নির্যাতন এবং অন্যান্য বলপ্রয়োগ করেছে। নিরস্ত্র নাগরিকের ওপর এসকেএস, টাইপ-৫৬ ও বিডি-০৮ বন্দুক দিয়ে ৭.৬২ এমএম গুলি চালানোরও প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল।

আজকালের খবর/ওআর








সর্বশেষ সংবাদ
দেশমাতৃকার কল্যাণে সেনাবাহিনী সবসময় পাশে থাকবে: সেনাপ্রধান
বরবাদ’র ১২ মিনিট দৃশ্য কর্তন, রেন্টাল নেমে গেছে
সন্‌জীদা খাতুন আর নেই
মুক্তির অনুমতি পেয়েছে ‘মাস্তুল’ সিনেমা
এবার আলোচনায় ফারিয়া-সজলের ‘ব্যবধান’
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
মাঝরাতে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ
মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে হবে: বিএনপি নেতা এলিস
উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান
গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরের বিরুদ্ধে মামলা
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft