প্রকাশ: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬:৪২ PM

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তর কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকাশিত গবেষণার জন্য ১৩ জন শিক্ষককে গবেষণা প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে একটি সেমিনারে তাদের প্রণোদনা প্রদান করা হয়।
সেমিনারে পাঁচটি ফ্যাকাল্টির অধীনে ১৩ জন শিক্ষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়- সেখানে বিজ্ঞান অনুষদে পাঁচ জন ,কলা ও মানবিক অনুষদে এক জন, সামজিক বিজ্ঞান অনুষদে দুই জন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে তিন জন এবং প্রকৌশল অনুষদের দুই জন শিক্ষককে কিউ ওয়ান এবং কিউ টু জার্নালের উপর ভিত্তি করে তিন জনকে চল্লিশ হাজার, পাঁচজনকে পঁয়তাল্লিশ হাজার এবং পাঁচ জনকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে প্রণোদনা প্রদান করা হয়।
এ সময় গবেষণা ও সম্প্রসারণ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন- কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যপক ড.মাসুদা কামাল এবং কোষাধক্ষ্য প্রফেসর ড.মোহাম্মদ সোলায়মান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির ডিন এবং শিক্ষকরা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড.মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, আজকের এই দিনটার জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম। আমাদের সীমাবদ্ধতার কারণে সব শিক্ষার ইনডেক্সে সাড়া দিতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গবেষণার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। পশ্চিমা বিশ্বে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ‘বি’ ক্যাটাগরি ধরা হয় যেটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। শিক্ষকরা ভালো গবেষণা করলেও জানান দিতে চায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি হয়, গবেষণা হয় না। ব্যাপারটা এমন না শিক্ষকদের অনেক গবেষণা আছে, তবে ঠিক মত প্রকাশিত হয় না তাই আমরা অবগত না। আজকের প্রণোদনা অন্য শিক্ষকদের অনুপ্রাণিত করবে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র জ্ঞান বিতরণ না জ্ঞান সৃষ্টির ও জায়গা। গবেষণা করে জ্ঞান সৃষ্টি হবে। এবার যারা গবেষণা ইনসেন্টিভ পাচ্ছেন, তাদের দেখে আগামী বছর অনেকে অনুপ্রাণিত হবে। শিক্ষকদের বলবো আপনারা সবাই প্রোফাইল আপডেটেইড রাখবেন।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, একটি পাবলিকেশন নতুন একটি ক্রিয়েশন। আপনাদের যোগ্যতাই আপনারা প্রণোদনা পেয়েছেন। আমি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত করে দেখলাম আমাদের শিক্ষকের তুলনাই শিক্ষার্থী দ্বিগুণ। আপনারা এত ক্লাস নেওয়ার মাঝেও যে ‘কিউ ওয়ান’ জার্নাল প্রকাশ করতে পেরেছেন সেটা সত্যি অনুপ্রেরণার।