প্রকাশ: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:১২ PM

নেত্রকোনার পূর্বধলায় আলোচিত রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি মো. হৃদয় মিয়াকে (২৫) ৫ মাস পলাতক থাকার পর গ্রেপ্তার করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. হৃদয় মিয়া উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের পূর্ব ভিকুনীয়া গ্রামের আব্দুল কদ্দুসের ছেলে।
মামলার বিররণ সূত্রে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধে ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে রফিকুল ইসলামের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে দুলাল মিয়ার হুকুমে প্রতিপক্ষ হৃদয় মিয়া গং। পরে রফিকুলকে বেধড়ক মারপিটে রক্তাক্ত-জখম করে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জখমী রফিকুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে ওইদিন সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে নিহতের স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে সন্ধ্যায় শিবপুর গ্রামের দুলাল মিয়া ও জরিনার বাড়ি এবং সকালে পূর্ব ভিকুনীয়া গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল কুদ্দুস ও আব্দুর রসিদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও গরু ছাগল এবং গোলায় রাখা ধান নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার ঐদিন নিহতের ভাই আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে দুলাল মিয়াকে প্রধান ও মো. হৃদয় মিয়াকে ২ নম্বর আসামি করে ৭ জন অজ্ঞাত নামে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর দুলাল মিয়া ও হৃদয় মিয়াসহ সকল আসামি আত্মগোপনে চলে যায়। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় অবশেষে ৫ মাস পর গত শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পূর্বধলা থানার এসআই (পুলিশ উপ-পরিদর্শক) রাশেদ হাসানের নেতৃত্বে প্রযুক্তির সহায়তায় নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকা থেকে হৃদয় মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে রফিকুল ইসলাম হত্যার প্রধান আসামি দুলাল মিয়া ও তার পুত্র মো. রাজিব ওরফে বাবুকে গত ১৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রিয়াদ মাহমুদ গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
আজকালের খবর/ওআর