শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫
রাণীনগরে দুই প্রতিবন্ধীর জীবন কাটছে চার দেয়ালের মাঝে
অর্থাভাবে জোটেনি উন্নত চিকিৎসা
রাণীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশ: রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:২৩ PM আপডেট: ০৯.০২.২০২৫ ৭:২৭ PM
নওগাঁর রাণীনগরের কাশিমপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর প্রাথমিক স্কুলপাড়ায় দুই প্রতিবন্ধীর জীবন চার দেয়ালের মাঝে বন্দি। সরকারের কাছ থেকে শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া কিছুই জোটেনি এদের ভাগ্যে। গরিব পরিবারের সন্তান হওয়ায় অর্থাভাবে সন্তানের জন্য উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করাতে পারেনি পরিবার। তাই এই দুই প্রতিবন্ধীর জীবন এখন চার দেয়ালের মাঝে বন্দি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কাশিমপুর স্কুলপাড়ার দিনমজুর নয়ন কুমার প্রামাণিকের প্রতিবন্ধী ছেলে আকাশ কুমার প্রামাণিক। আকাশের জন্ম ১৯৯৬ সালে। জন্মের পর থেকেই প্রতিবন্ধী আকাশ। অর্থাভাবে ছেলের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে পারেনি আকাশের পরিবার। তাই ২৮ বছরের বেশি সময় একটি পরিত্যক্ত ঘরেই জীবন কাটছে আকাশের। ঘরেই প্রসাব-পায়খানাসহ খাবার গ্রহণ সবই করতে হয় আকাশের। শুধুমাত্র ঘরের একটি ছোট্ট জানালা দিয়ে ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে বাইরের আকাশ ও পরিবেশকে দ্যাখে। 

আকাশের মা অলোকা রাণী বলেন হয়তোবা উন্নত চিকিৎসা পেলে আকাশ সুস্থ হয়ে উঠতো। কিন্তু আমরা গরিব মানুষ পরিবারের অন্য সদস্যদের পেটের ভাত জোটাবো নাকি আকাশের উন্নত চিকিৎসা করবো। শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী ভাতাটুকুই পায় আকাশ। এছাড়া শীতের কম্বল কিংবা অন্য কোনো সহায়তাই আমার ছেলের ভাগ্যে জোটে না। যদি আকাশের উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা পেতাম তাহলে ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য চেষ্টা করতাম। 

আকাশের বাড়ির পশ্চিম দিকে আরেক প্রতিবন্ধী ছেলে দীপনম সূত্র। সেও জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। ২০০৬ সালে জন্ম নেওয়া দীপের বাবা একজন ভ্যান চালক। দীপনম সূত্রকে হুইল চেয়ার করে একস্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যাওয়া যায়। দীপও শুধুমাত্র চেয়ে চেয়ে দেখে। হয়তোবা উন্নত চিকিৎসা পেলে দীপও সুস্থ হয়ে উঠতে পারে এমনটিই মনে করছে দীপের পরিবার। 

দীপনম সূত্রের মা চন্দনা নমসূত্র বলেন দীপ প্রথম সন্তান। দীপ প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেওয়ার পর গরিব মানুষ হিসেবে চেষ্টা করেছি চিকিৎসা করাতে। কিন্তু ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ আমাদের পক্ষে যোগানো সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই উন্নত চিকিৎসার আশা ছেড়ে দিয়েছি। অনেক কষ্টে প্রতিবন্ধী ভাতাটুকু পায় দীপ। এছাড়া সরকারের অন্য কোনো সহযোগিতা আজ পর্যন্ত দীপের ভাগ্যে জোটেনি। তাই সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেলে ছেলের উন্নত চিকিৎসা করানোর চেস্টা করতাম। উন্নত চিকিৎসা পেলে হয়তো দীপ কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠতো। 

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম কচি জানান, ওই দুইজন প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে। এছাড়া আগামীতে উন্নত চিকিৎসার কোনো সুযোগ এলে তাদের জন্য সেই সুযোগ প্রদান করার চেষ্টা করবো। আগামীতে আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে নানা সময়ে আসা বিভিন্ন সুবিধা ওদের দিতে চেষ্টা করবো।  

আজকালের খবর/ওআর








সর্বশেষ সংবাদ
দুই দফা দাবিতে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করলো ইনকিলাব মঞ্চ
ফাল্গুনের ভরা জোৎস্নায় বিষণ্ন নিঃসঙ্গ জীবনানন্দ
চাক বাংলা অভিধান ও চাক সংস্কৃতি চর্চা
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন রাজনৈতিক নেতারা
মেহমান
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
টেকনাফে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সূর্যমুখীর চাষ
গৌরীপুরে হোলি উৎসব
কানাডা গিয়ে সরকার বিরোধী লেখালিখি, রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ
মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেপ্তার
অব্যাহত ধর্ষণ, খুন, নৈরাজ্য প্রমাণ করে দেশ চালাতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার: সিপিবি
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft