
গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ এবং ইন্টেলিজেন্স যদি আজ শনিবার রাতের মধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করতে পারে, তাহলে আমাদের তাদের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যেতে হবে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের রাজবাড়ি মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ সময় তিনি উপস্থিতদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, এই অভ্যুত্থানে খুনি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে যে দুই-তিনটি জেলা রণক্ষেত্র হয়েছিল, যে দুই-তিনটি জেলার ছাত্র-জনতা বুক পেতে দিয়ে, রক্ত দিয়ে অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছে; সেই জেলাগুলোর মধ্যে একটি গাজীপুর। এই অভ্যুত্থানের যারা সহযোদ্ধা, তারা তখনও বুক পেতে দিয়েছিল, এখনও জীবন দিতে প্রস্তুত। কিন্তু ওই খুনি হাসিনা, খুনি জাহাঙ্গীরের দোসররা যদি গাজীপুরে আবার উৎপাত করতে চায়, তাহলে এই ছাত্র-জনতা তাদের আর ছাড় দেবে না। গতকাল শুক্রবার আমাদের অনেক সহযোদ্ধাকে তারা রক্তাক্ত করেছে, জীবননাশের হুমকি দিয়েছে।’
সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘যে ছাত্র-জনতা রক্ত আর জীবন দিয়ে আপনাদের সরকারে বসিয়েছে, তাদের জীবনের নিরাপত্তা কে দেবে?’
এ সময় শুক্রবারের ঘটনায় পুলিশের সমালোচনা করে সারজিস আলম বলেন, ‘যে পুলিশ প্রশাসন নতুন করে ওই চেয়ারগুলোতে বসেছে, তারা এখনও কেন বাংলা সিনেমার মতো ঘটনা ঘটার পর রাজপথে আসে? আমরা কেন এখনও দুই ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাদের মাঠে আনতে পারি না? এখনও যদি সরকার কিংবা পুলিশ মনে করে যে, তারা ৯টা-৫টা অফিস করবে, তাহলে তাদের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলছি।’
সারজিস আলম নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, রক্ত আর জীবনের বিনিময়ে দিয়ে এই নতুন বাংলাদেশ মুক্ত করেছে। তাদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে হবে। খুনি হাসিনার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এখনও গাজীপুরে ঘুরে বেরাচ্ছে। এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার যোদ্ধাদের হুমকি দিচ্ছে; তাদের আজ রাতের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।’
আজকালের খবর/ওআর