প্রকাশ: বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:৪০ PM

রংপুরের মিঠাপুকুরে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একে একে যাত্রীবাহী চারটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। তবে প্রাণহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনায় অন্তত ৫-৭ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
দুর্ঘটনা কবলিত বাসগুলো ঘন কুয়াশায় কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একে অপরকে ধাক্কা দেয় বলে জানিয়েছে বড়দরগাহ্ হাইওয়ে পুলিশ। রেকারিং করে গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আরবিএস ট্রাভেলস, রানী পরিবহন ও অপু পরিবহনসহ যাত্রীবাহী আরেকটি বাস জায়গীর মহাসড়কে (চায়না কোম্পানি সংলগ্ন এলাকা) পৌঁছালে ঘনকুয়াশা কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় একে একে চারটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে বাসগুলোর সামনের গ্লাস ভেঙ্গে গেছে এবং কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় ৫-৭ যাত্রী আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে বাসগুলো সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করে।
বর্তমানে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাসগুলো রেকারিং দিয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। খুব বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। আহত কয়েকজন যাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত মহাসড়কের ওপর দিয়ে প্রতিদিন বালু ও মাটিবাহী পরিবহন করে এমন ট্রাক চলাচল করে থাকে। ঘটনাস্থলে মাটি পড়ে সড়কটি ঘনকুয়াশায় পিচ্ছিল হয়েছিল, একারণে হয়তো বাসচালকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একে একে ধাক্কা দেয়। ঘটনার পর পুলিশ উদ্ধার কাজ শুরু করে। এসময় একটি মাইক্রোবাস সিগন্যাল ওভারটেক করে দুর্ঘটনা কবলিত বাসে গিয়ে ধাক্কা দেয়।
মনিরুজ্জামান বলেন, রংপুর হাইওয়ে অঞ্চলের মহাসড়কে প্রচন্ড ঘন কুয়াশা থাকায় বেশ কিছু ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেক জায়গায় দৃষ্টিসীমা অনেক কমে যাচ্ছে। গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চালক ও যাত্রী সাধারণকে ধীরে এবং সতর্কতার সাথে চলাচল করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিওয়নের সুপার মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান, ২০২৪ সালে রংপুরে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ১৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ১২০, নারী ২২ ও শিশু ছিলো চার জন। এসব দুর্ঘটনায় মামলা হয়েছিলো ১৫২টি।
শীত মৌসুমে ঘনকুয়াশায় সড়ক ও মহাসড়কে মৃত্যু ঝুঁকিসহ দুর্ঘটনা এড়াতে চলাচলের সময় গতি নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
আজকালের খবর/ওআর