বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
লকডাউন - রমজানে উচ্চ দ্রব্য মূল্য ও দুর্দশা
সুকান্ত দাস
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৩৩ PM
বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে সবকিছু ওলট-পালট হয়ে গেছে। করোনার প্রথম ধাক্কার  ক্ষতি যখন কাটিয়ে উঠছিল দেশ ঠিক তখনই সবকিছু স্থবির করেছে দ্বিতীয় ঢেউ। গত বছরের শুরুতে অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছিলো। কিন্তু এ বছর সুরক্ষা ব্যবস্থার তোয়াক্কা না করায় সংক্রমণ বেড়েছে আশঙ্কাজনকহারে। বর্তমানে দেশে প্রতিদিন একশোর বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে করোনায়। আক্রান্তও বাড়ছে। 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং আফ্রিকায় সংক্রমিত নতুন  ভ্যারিয়েন্টের  সংক্রমণের হার আগের গুলো থেকে ৭০ গুণ বেশি। বাংলাদেশে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরনের শঙ্কা দানা বেঁধেছে এটা নিয়ে।   
সংক্রমণ কমাতে সারাদেশে ১৪ এপ্রিল থেকে  ২০ এপ্রিল পর্যন্ত  এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। আরো এক সপ্তাহ বাড়ছে লকডাউন। এর আগেও এক সপ্তাহ ঢিলেঢালা লকডাউন ছিল দেশ। মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে করোনা  সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন দেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিলো না। যদিও এই সময় সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং আদালত জরুরী কাজ করবে,  শিল্প-কলকারখানা খোলা থাকবে, নির্মাণ কাজ চলবে। কিন্তু  গণপরিবহন, ট্রেন, লঞ্চ, মোটরসাইকেলের রাইড শেয়ারিং বন্ধ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবেনা।  এ মাসের শুরুতে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নেওয়া এবং ভাড়া ৬০ ভাগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। যদিও এই নিয়ম  মানেনি বেশিরভাগ গণপরিবহন। 
বর্তমানে চলমান লকডাউন বিপদে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ । রমজান মাসের প্রথম দিন থেকেই চলছে কঠোর লকডাউন। রমজান মাস আসলেই সকল জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পায় প্রতি বছর।  প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও প্রায় সকল দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের  নির্ধারণ করে দেওয়া বিভিন্ন জিনিসের দাম মানছে না ব্যবসায়ীরা। তারা সরকারি সিদ্ধান্তের কোন রকম তোয়াক্কাই করছে না। এতে সাধারণ মধ্যবিত্ত এবং  নিম্নবিত্ত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রতিবছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রমজানের কয়েক মাস আগে থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির উদ্যোগ নেয়।  গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, দেশে এখন যে পরিমাণ ভোজ্য তেলের প্রয়োজন তা থেকে অনেকগুণ বেশি তেল মজুদ আছে।  কিন্তু তারপরও তেলের দাম কেজিতে ৫  থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে আগের তুলনায়।  এ বিষয়ে মনে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, প্রয়োজনের তুলনায় অধিক তেল মজুদ থাকার পরও ব্যবসায়ী এবং দোকানদাররা কেনো দাম বাড়াচ্ছে?  
গত ৫ এপ্রিল সোমবার একটি জাতীয় পত্রিকার কলামে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক আবুল কাশেম  লিখেছেন, ‘বর্তমানে প্যাকেটজাত দেশীয় প্রায় সব পণ্যের গায়ে উৎপাদক মূল্য লিখে দেয়, আমদানি করা অনেক  পণ্যেও  তাই।  সমস্যা এখানেই, মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া যদি সঠিক থাকে,  তাহলে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ করা অনেক সহজ ।  ভোক্তা শুধু ধার্য মূল্য দেখেন , মূল্যটা যৌক্তিক কিনা তা তার জানার সুযোগ নেই। আবার নিত্য পণ্যের মধ্যে সবজি ও ফলের গায়ে কোন মূল্য লেখার কোনো সুযোগ থাকে না। ফলে এলাকা ও বাজারভেদে মূল্যের ব্যবধান চোখে পড়ার মতো।’
আসলেই এটা একটা গুরুতর সমস্যা।  কারণ সাধারণ মানুষের প্যাকেট জাত দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে কোনো হাত নেই । কাঁচা সবজি এবং ফল এর ক্ষেত্রেও একই  অবস্থা।  প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্যাকেট জাত দ্রব্যের মূল্য লেখার বিষয়টা তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। 
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেওয়া গত বছরের লকডাউনে দেশের অর্থনীতির  চরম ক্ষতি হয়েছে।   সিপিডির এক জরিপে বলা হয়েছে, করোনার কারণে কাজ  হারিয়েছেন  মোট শ্রমশক্তির কমপক্ষে প্রায়  তিন শতাংশ মানুষ। এছাড়া নতুন করে দরিদ্র হয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ মানুষ। 
দেশের অন্যতম বড় উৎসব পহেলা বৈশাখ এবং ঈদুল ফিতর।  প্রত্যেকে বছর এই সময়ে বিভিন্ন জিনিসের চাহিদা বেড়ে যায় এবং বিক্রি হয় বেশি। গত বছর করোনার কারণে পহেলা বৈশাখ এবং ঈদুল ফিতরে ব্যবসায়ীদের এবং দেশের অর্থনীতির চরম ক্ষতি হয়েছিল। এবারও লকডাউন এর জন্য পহেলা বৈশাখ এবং ঈদুল ফিতরের সময় ব্যবসায়ীদের অবস্থা গত বছরের মতো হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কঠোর লকডাউন এর কারণে পহেলা বৈশাখে  ব্যবসায়ীরা কিছুই করতে পারেনি।  ফলে তাদের বিরাট লোকসান হয়েছে। কঠোর লকডাউন থাকার কারণ গত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার মুহূর্তে পহেলা বৈশাখ ছিল প্রথম বৃহৎ অনুষ্ঠান। ব্যবসায়ীরা তাদের গতবছরের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য অনেক পরিকল্পনা করেছিল।  কিন্তু করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ  ঠেকাতে দেওয়া কত লকডাউন সবকিছু পন্ড করে দিল। সব ধরনের ব্যাবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে। 
 দেশের হাজার হাজার মুরগির ফার্মের মালিকরা গতবছর ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েন। ঘুরে দাঁড়াতে তারা এবার ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। যেহেতু পহেলা বৈশাখ এবং প্রথম রোজা একই দিনে তাই বাজার ভালো থাকবে, দামও ভালো পাওয়া যাবে। প্রত্যেকের ১০ থেকে ১২ এপ্রিল এর মধ্যে মুরগী বিক্রি হয়ে যাবার কথা ছিল।  কিন্তু হঠাৎ করে কঠোর লকডাউনের ফলে তারা আবার লোকসানের মুখে পড়েছেন। সবমিলিয়ে পোলট্রি ব্যবসায়ীদের দুর্দশার কোন শেষ নেই। প্রায় একই অবস্থা অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে ঘোষিত লকডাউনে খুব বিপদে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ । লকডাউন এর কারণে খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।  যদিও সর্বত্র কার্যকর করা সম্ভব হয়নি । কিন্তু যারা দিন আনে দিন খায় তারা কাজ করতে পারছেনা।  পরিবার নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।  রিকশাচালকেরাও এর ব্যতিক্রম নয়। গত শনিবার  লকডাউন এ রেশন ব্যবস্থার দাবিতে বরিশালে রিকশা মিছিল করেছে  রিকশাচালকেরা।  তাদের দাবি মোটেই অন্যায্য নয়। কারণ তারা রিকশা চালাতে না পারলে  সংসার চালাবে কিভাবে । 
লকডাউন এর ফলে শহরের অনেক বাসায় গৃহকর্মী ছাঁটাই হচ্ছে।  মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে।  এছাড়া এখন ধান কাটার মৌসুম চলছে । অনেক শ্রমিক আছেন যারা এই সময়ে অন্য জেলায় কাজ করে সারা বছর সংসার চালান । সেইসব শ্রমিকরাও চরম বিপাকে পড়েছেন।  গত বছর লকডাউনের মধ্যে শ্রমিকদের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়ার জন্য আলাদা  পরিবহন ব্যবস্থা করা হয়েছিল।  এবারও সেই সুযোগ রেখেছে সরকার। কিন্তু উত্তরের জেলা থেকে গতবারের মতো ব্যাপক সংখ্যায় শ্রমিকরা ধান কাটতে আসেননি। কারণ এ বিষয়ে সরকারি প্রচারণার ঘাটতি ছিল। 
করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন ১০০ জনের বেশি  হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যাও অনেক বেশি।  সরকারের লকডাউন  দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। কিন্তু লকডাউন এর ফলে সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। সরকারের উচিত সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সে জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে তাদের আশেপাশে থাকা দরিদ্র মানুষের সাহায্যার্থে। 
সরকার ইতোমধ্যে লকডাউন এবং রমজান উপলক্ষে জনগণের জন্য ৬৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।  যা থেকে ১ কোটি ২৪ লাখ নিম্নবিত্ত পরিবার উপকৃত হবেন।  কিন্তু গত বছরের  যে অভিজ্ঞতা তাতে জনগণ সরকারের দেওয়ার সুবিধা পাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।  কারণ গত বছরের প্রথমদিকে চাল চোরের সংখ্যা করোনায় মৃতের সংখ্যার চেয়ে বেশি ছিল।  এমনও দেখা গেছে জনপ্রতিনিধিরা নিজের এবং তাদের কাছের লোকদের সরকারি সাহায্য দিয়েছে কিন্তু  সাধারন মানুষ পেয়েছে অনেক কম । তাই এবার সরকারকে এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।  যাতে জনগণের হকের জিনিস অসৎ জনপ্রতিনিধিরা ভোগ করতে না পারে। 
সাধারণ মানুষের দৈনিক চাহিদা যদি সরকার নিশ্চিত করতে পারে তাহলে সর্বাত্মক লকডাউন ফলপ্রসূ হবে নচেৎ নয় । সাধারণ মানুষ যদি ঘরে বসে খাবার পায় তাহলে মানুষ রাস্তায় বের হবে কম। কিন্তু সর্বত্র  এটা কার্যকর করা অসম্ভব । আর তাই  সর্বাত্মক লকডাউন বেশিদিন কার্যকর করাও এখন সম্ভব নয় । তাই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।  মাক্স পড়তে হবে, বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে,  জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই কেবল করোনার  দ্বিতীয় ঢেউ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। 
 সামনে  ঈদ-উল-ফিতর। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঈদের আগে লাখ লাখ মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে যাবে।  আর গত বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে এ সময় স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা কেউ করে না।  এবার তেমন হলে কোনভাবেই করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতি ঠেকানো  সম্ভব হবে না। তাই হয় তখন কঠোর লকডাউন দিয়ে মানুষকে বাড়ি যাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে , না হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহনে ওঠা নিশ্চিত করতে হবে। যদিও দ্বিতীয়টা করা অসম্ভব ব্যাপার। 
রমজানের সময়  ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে বিগত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে এখনই সচেতন হতে হবে। এত বছর ধরে এই সময়ে একই সমস্যায় জর্জরিত দেশ।  তাই সরকারকে নতুন কোনো ব্যবস্থা নিতে হবে। সম্ভব হলে এখন থেকে পরিকল্পনা করে আগামী রমজানে দেশের সর্বত্র  টিসিবির  মাধ্যমে কম দামে সাধারণ মানুষের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।  কারন বাজার মনিটরিং, অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তি, সরকার কর্তৃক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ তো অনেক হল।  কিছুতেই তো কাজ হয় না। রমজান মাসে এসে দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যায়। তাই সরকারের উচিত সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে নতুন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা । তাহলে সাধারণ মানুষ দুবেলা দুমুঠো খেতে পারবে। 
লেখক: শিক্ষার্থী,পরিসংখ্যান বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া 
সদস্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম 

আজকালেরখবর/টিআর








সর্বশেষ সংবাদ
নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিজ্ঞানী ও কৃষি শ্রমিকদের অবদান রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
ভোটের প্রচারণায় এগিয়ে মনোজ বৈদ্য
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সমতা চায় টিআইবি
স্বাগতম ২০২২, বিদায় ২০২১
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি সুন্দরবন
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সুবাহর শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন
তাদের মাখো মাখো ‘প্রেমের প্রাসাদ’!
‘আমাকে জায়গা দিন, এটা আমার প্রাপ্য’ : লালকেল্লার দাবিদার মোগল সম্রাজ্ঞী
চা দোকানিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা
ভোটের প্রচারণায় এগিয়ে মনোজ বৈদ্য
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft