শিরোনাম: |
নদীতীরে চাষ হচ্ছে মরিচ, দামে খুশি কৃষক
রহিদুল ইসলাম রাইপ, রাণীনগর
|
![]() বর্তমানে উপজেলার ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর পাড়ের পলি ও বেলে-দোঁআশ মাটির উর্বর জমিতে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় এই অঞ্চলের কৃষকের চোখে-মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে। বিস্তৃত এলাকাজুড়ে মরিচ গাছের সবুজের সমারোহের এ মনকাড়া দৃশ্য বিমোহিত করছে সকলকে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ২০০ বিঘা জমিতে রেকর্ড পরিমাণ মরিচের চাষ হয়েছে। গত মৌসুমে একাধিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে এই ফসলটি। সেই ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে কৃষকরা আবার কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মরিচ চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীসহ অন্যান্য নদীর অববাহিকায় দেখা গেছে মরিচ চাষের দৃশ্য। উপজেলার আতাইকুলা গ্রামের মরিচ চাষি একরামুল হক বলেন, আত্রাই নদীর তীরে আমি একবিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। এতে আমার ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। তবে এ পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। তবে মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত আরো প্রায় ২০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবেন বলেও আশা করছেন তিনি। উপজেলা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে মরিচের গাছে রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম হয়েছে। এ ছাড়াও কৃষকরা ফলন ও দামে অনেক লাভবান হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী মৌসুমে আরো বেশি জমিতে মরিচের চাষ হবে। মরিচ চাষে কৃষকের করণীয় সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। আজকালের খবর/এএইস |