শিরোনাম: |
মনোহরদীতে পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন শুরু
হারুন-অর-রশিদ, মনোহরদী
|
![]() সেখানে ঘুরে দেখা গেল, বিদেশ থেকে আনা যন্ত্রে উৎপাদন হচ্ছে নির্মাণসামগ্রী। কারখানা হলেও সেখানের পরিবেশ নিরিবিলি। স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ বালি, সিমেন্ট ও পাথর এসে মিশে যাচ্ছে। এরপরই তৈরি হচ্ছে ইট বা ব্লক। পোড়ামাটির ইটের বিকল্প যে ব্লক বা ইট উৎপাদন হচ্ছে, তা পোড়ানোরও প্রয়োজন পড়ছে না। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন আকারের ও ধরনের ইট তৈরি হচ্ছে। একইভাবে তৈরি হচ্ছে ইউনিপেভার্স। কারখানার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী স্বপ্নীল হাসান সিফাত বলেন ‘কারখানায় প্রায় ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন। তারা দৈনিক ১২ থেকে ১৫ হাজার ইট তৈরি করছেন। পোড়ামাটির ইটের স্থায়িত্ব দিন দিন কমে আসে। আর হলো ব্লকের স্থায়িত্ব দিন দিন বাড়ে। কারণ, ব্লক তৈরি হয় সিমেন্ট, মাটি ও নুড়ি পাথর দিয়ে। আর পোড়ামাটির ইট তৈরি হয় শুধু মাটি দিয়ে। এ ইট ও ব্লক উৎপাদনে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। আবার বাড়ি নির্মাণে খরচও কম। সক্ষমতাও বেশি। তাছাড়া আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে নির্মাণে খাতে শতভাগ পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে সরকার।’ কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আলম বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো অনেক আগেই এসব সামগ্রী ব্যবহার শুরু করেছে। আমাদেরও সময় এসেছে সেদিকে যাওয়ার। একটা ব্লক পাঁচটি ইটের সমান। পাশাপাশি এর স্থায়িত্ব বেশি। সবকিছু চিন্তা করলে পুরো ভবন নির্মাণে প্রচলিত ইটের চেয়ে খরচ অনেক কম হয়। পরিবেশ বাঁচাতে এর বিকল্প নেই। আর বাংলাদেশের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য ব্লক খুবই মানানসই।’ তিনি আরো বলেন, ‘৭০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান ব্লকের ইট উৎপাদন করছে। তাই বর্তমানে যারা মাটি পুড়িয়ে ইট করছে, তাদের পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে যেতে হবে।’ আজকালের খবর/এএইস |