শিরোনাম: |
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৭ই মার্চ পালন
মাজহারুল ইসলাম, গাজীপুর
|
![]() ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন ও বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূরান্ত সুপারিশ প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ পুলিশের সব ইউনিট একযোগে অনুষ্ঠানের আওতায় বিকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানা প্রাঙ্গনে আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠান হয়েছে। এ সময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূইয়া, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম. তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (উত্তর) জাকির হাসান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলীমুদ্দিন বুদ্দিন, অ্যাডভোকেট মো. ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, গাজীপুর পিটিআইয়ের সুপারিনটেনডেন্ট মো: রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এর আগে কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। পরে ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রদর্শন করা হয়। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নাট মন্দিরে রবিবার সকালে ঐতিহাসিক ৭মার্চ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম. তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মামুন সরদার এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন, পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) এ,কে,এম জহিরুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জামিল আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলীম উদ্দিন বুদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ নয়ন। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-এ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচীর মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, বিশেষ মোনাজাত প্রার্থনা এবং দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ও অন্যান্য ভাষণ প্রচার। সকালে বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলামের নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর আলোচনা সভা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-বারির পরিচালক ‘সেবা ও সরবরাহ’ ড. এসএম. শরিফুজ্জামা, পরিচালক ‘পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন’ ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক ‘প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ’ ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম, পরিচালক ‘গবেষণা’ ড. মো. তারিকুল ইসলাম সহ বারি’র সকলস্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দ, বারি বিজ্ঞানী সমিতি ‘বারিসা’, বারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি ‘বারিকা’ এর নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারির মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা সংগ্রামে উজ্জীবিত করেছিলেন। যার ফলে দেশের সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাঁর এই ভাষণের মধ্যেই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতার সংগ্রামের পথ নির্দেশিকা। তাই এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এদিকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাউবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত হয়। সকাল ৮:১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলণের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মাননান-এর নেতৃত্বে গাজীপুর ক্যাম্পাসে স্বাধীনতার চিরন্তন মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, রেজিস্ট্রার ড. মহা. শফিকুল আলমসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে উপস্থিত ছিলেন। আজকালের খবর/একে |