শিরোনাম: |
কুষ্টিয়ার উপ-কারাগারে কয়েদি নেই, আছে গরু-ছাগল
এসএম জামাল, কুষ্টিয়া
|
![]() সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপ-কারাগারটির প্রবেশ পথে দেহরক্ষী থাকার কথা থাকলেও রয়েছে দুইটি ছাগল। মূলফটকে প্রবেশ করতেই বামহাতে চোখে পড়বে মহিলা কয়েদীর ওয়ার্ড। একটু সামনে গেলেই পুরুষ ওয়ার্ড। সেখানে কোনো কয়েদী না থাকলেও রয়েছে কয়েকটি গরু। পাশেই রয়েছে মুরগী পালনের ছোট একটি কক্ষ। হাঁস, মুরগী, গরু আর ছাগল পালনের খামার হিসেবেই বর্তমানে কারাগারটি ব্যবহার করছে জেলা সমাজসেবা অফিসের একজন নাইটগার্ড। দীর্ঘদিন ধরে রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে দেয়াল থেকে ধসে পড়ছে ইট সিমেন্ট। দরজা জানালার কাঠগুলো অনেক আগেই হারিয়ে গেছে। অফিস স্টাফদের তিন কক্ষ বিশিষ্ট কোয়ার্টারটি অনেক আগেই দখল করে নিয়েছে স্থানীয়রা। জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, আশির দশকে সারা দেশের ১৭টি জেলায় ২৩টি উপ-কারাগার নির্মাণ করেন তৎকালীন দেশের প্রেসিডেন্ট হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদ। তন্মেধ্যে একটি হল কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার উপ-কারাগারটি। কারাগারটি বর্তমানে কুষ্টিয়া রাজবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কস্থ খোকসা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। এই উপ-কারাগারটিতে রয়েছে একটি প্রবেশ পথ, দুইটি কয়েদী রাখার হলরুম, দুইটি সাক্ষাৎকার কক্ষ, একটি স্টোর রুম, দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি অফিস রুম। তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি কোয়ার্টার। রয়েছে বেশকয়েকটি টয়লেট। এ বিষয়ে স্থানীয় দিনমজুর মাসুদ শেখ বলেন, কারাগারটি বানানোর সময় আমি লেবারের কাজ করেছিলাম। কিন্তু আজো এটি কাজে লাগেনি। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বহু টাকা ব্যয়ে নির্মিত কারাগারটি দিনে দিনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খোকসাবাসীর দাবি কারাগারটি চালু করা হোক। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রোকসানা পারভীন বলেন, উপ-কারাগারটি নানা জটিলতায় আজো চালু হয়নি, তবে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের অধিনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সেখানে কিশোর শোধানাগার বা উন্নয়ন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কুষ্টিয়া জেল সুপার মোহা: তায়েফ উদ্দিন মিয়া বলেন, কিশোর অপরাধ দমনে এই উপ-কারাগারটি কিশোর শোধানাগার বা উন্নয়ন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করে সমাজসেবা কার্যালয়ের অধিনে দেওয়া হয়েছে। আজকালের খবর/এএইস |