শিরোনাম: |
যুক্তরাষ্ট্র সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() এ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেন, সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান বব মেনেন্দেজসহ আরো কয়েকজন সিনেটরের সঙ্গে মোমেনের বৈঠক হবে। এছাড়া কাউন্সিল ফর ফরেন রিলেশন্সে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও নিউলাইনস ইনস্টিটিউটে রোহিঙ্গা বিষয়ক দুটি পৃথক সভা ও ইউএস চেম্বারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন পোস্টে একটি সাক্ষাৎকারও দেবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। যেসব বিষয়ে আলোচনা হবে ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতি থেকে ভিন্ন মনোভাব পোষণ করে চলছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকার। ফলে বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের কাছে কী আশা করে সেটি জানা এবং ওয়াশিংটনের কাছে বাংলাদেশের প্রত্যাশা কী, সেটি তুলে ধরবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বর্ষে উভয় দেশের রাজনৈতিক উচ্চ পর্যায়ে সফর হলে দুই দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় ও জোরালো হবে—এই বিষয়টিও তুলে ধরবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ওয়াশিংটনের বৈঠকগুলোতে রোহিঙ্গা, বিনিয়োগ বহুমুখীকরণ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি, বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন, প্রযুক্তি হস্তান্তর, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। মিয়ানমারে ক্ষমতার পালাবদলের বিষয়ে বাংলাদেশ তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরার পাশাপাশি একটি টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতেও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইবে বাংলাদেশ। এছাড়া জাতিসংঘ যেন বাংলাদেশ ছাড়াও মিয়ানমারে আরও বেশি সম্পৃক্ত হয়, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করবে ঢাকা। বাংলাদেশে বেশিরভাগ মার্কিন বিনিয়োগ জ্বালানি খাতে। কিন্তু এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃষিসহ অন্যান্য খাতেও অধিক বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ। বিনিয়োগ বহুমুখীকরণের পাশাপাশি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্যও জিএসপিসহ অন্যান্য বাজার সুবিধা নিয়ে আলোচনা হবে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৬৮০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি এবং প্রায় ২২০ কোটি ডলারের পণ্য সে দেশ থেকে আমদানি করেছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা চলে আসছে। এরইমধ্যে রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস নির্দেশ দিয়েছে। এ বিষয়টিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোরালোভাবে তুলে ধরবেন। এছাড়া, তথ্যপ্রযুক্তিতে পৃথিবীর এক নম্বর দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য এই প্রযুক্তির কিছু উপাদান হস্তান্তরের অনুরোধ করবে ঢাকা। ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির উন্নয়ন উপাদানের বিষয়ে কোনও আপত্তি নেই বাংলাদেশের। এই কৌশলের অধীনে অবকাঠামো সংক্রান্ত তহবিল থেকে সহায়তা চায় বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ একটি অগ্রণী রাষ্ট্র এবং আগামী এপ্রিলে জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের উপস্থিতি আশা করে যুক্তরাষ্ট্র। সফরের বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে এবং আমরা সম্পর্ক আরো উন্নত করতে পারি। তিনি জানান, বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু মিডিয়ায় নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে এবং সেটিকে কাউন্টার করার জন্য মার্কিন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেবেন। আজকালের খবর/এসএম |