শিরোনাম: |
ভুট্টা ক্ষেতে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক
মাসুদ রানা, রৌমারী
|
![]() চরশৌলমারী ইউনিয়নের পাখিউড়া গ্রামের কৃষক হেলাল মিয়া বলেন, আমারা পোকা থেকে ভুট্টা রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক দিয়ে ব্যবহার করেছি কোনো কাজ হয়নি। আমাদের এলাকার ভুট্টাচাষি কৃষকরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে আমাদের কোনো পরামর্শ দেয়নি, আমাদের কাছেই আসেনি। যাদুরচর ইউনিয়নের চর লাঠিয়ালডাঙ্গা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ভুট্টাচাষি মাজহারুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম. আয়নাল হক, মহিউদ্দিন বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী যখন যে কীটনাশক দিতে বলে আমরা সেই কীটনাশকের দোকানে গিয়ে সেভাবেই এনে ক্ষেতে গ্রয়োগ করেছি এতে কোনো কাজ হচ্ছে না। বন্দবেড় ইউনিয়নের ফলুয়ারচর গ্রামের আমিনুল ইসলাম, আবু সাইদ বলেন, যেভাবে ছাগল আগা পাতা খেয়ে গাছটি ন্যাড়া করে ফেলে ঠিক একইভাবে ভুট্টা গাছের আগা পাতাগুলো ওই পোকায় খেয়ে ন্যাড়া করে ফেলেছে। কৃষি অফিস থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ওয়াম পোকাটি আমাদের এলাকায় নতুন অতিথি পোকার নাম ফল আর্মি ওয়াম পোকা। এ এলাকায় নতুন আবিষ্কার হয়েছে আমরা কৃষকদের রক্ষার্থে যতেষ্ট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে করে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সেদিকে সবসময়ই কৃষকদের সচেতনতামূলক আলোচনা করে যাচ্ছি এবং পোকার আক্রমণ মোটামুটি প্রায়ই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। পোকাটি মূলত আফ্রিকান পোকা হিসাবে পরিচিত। গত বছর ভারতে এটি দেখা দেয়। পোকার বিস্তার কমাতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র-সিমিট এবং কৃষি বিভাগ কাজ শুরু করেছেন। চলতি মৌসুমে চার হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টাচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা কমিয়ে তিন হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টাচাষ হয়েছে। আজকালের খবর/এএইস |