শিরোনাম: |
চরফ্যাসনে বোনকে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩
আকতারুজ্জামান সুজন, চরফ্যাসন
|
![]() শুক্রবার রাতে নিহতের স্বামী আজাদ বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে চরফ্যাসন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত নিহতের বাবা আবুল কাশেম, সৎ বোন নাহিদা বেগম ও সৎ ভাইয়ের স্ত্রী রিনা বেগম গ্রেপ্তার করে গতকাল শনিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছেন। অপর আসামি আনোয়ার হোসেন ঘটনার পরপরই পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। শুক্রবার সন্ধ্যায় চরফ্যাসন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের পুর্ব খাসপাড়া এলাকায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। মামলা সূত্রে জানা যায়, আবুল কাশের তার দুই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় পুকুরে হাঁস নেমে পানি নষ্ট করা নিয়ে দুই পরিবারে মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। তর্কের জের ধরে সন্ধ্যায় দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় নিহতের সৎ ভাই আনোয়ার লোহার রড দিয়ে বড় বোন পারুল বেগম ও সৎ মা ছফুরাকে এলোপাথারী মারধর করে গুরুতর জখম করে। লোহার রডের আঘাতে সৎ মা ছফুরা বেগম ও সৎ বোন পারুল বেগম গুরুতর আহত হন। প্রতিবেশিরা আহতদের উদ্ধার চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক পারুল বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মা ছফুরা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে রেফার করেন। এঘটনায় নিহত পারুল বেগমের স্বামী বাদী হয়ে শ্বশুর আবুল কাশেম, শ্যালক আনোয়ার হোসেন, স্ত্রীর ছোট বোন নাহিদা বেগম ও শ্যালকের স্ত্রী রিনা বেগমকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ পৌর সদরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছেন। চরফ্যাসন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়ার জানান, পুকুরে হাঁস নেমে পানি নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে দুই স্ত্রীর পরিবারের মধ্যে সংর্ঘষে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়ির তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপর একজন আসামি আনোয়ার হোসেন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আজকালের খবর/এএইস |