শিরোনাম: |
পুলিশের ভূমিকায় অঝোরে কাঁদলেন বৃদ্ধা
মাহমুদুল হাসান মিলন, ময়মনসিংহ
|
![]() লিখিত বক্তব্যে বৃদ্ধা খোদেজা খাতুন বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধে গত ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে পুলিশ তাকেসহ ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক, আব্দুর রাজ্জাক এবং ছেলের স্ত্রী সুলতানা বেগমকে থানায় টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়। পরে তাদের সাড়ে ছয় শতাংশ জমি প্রতিবেশী মানিক মিয়াকে দলিল করে দিতে চাপ দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। পরে ১ জানুয়ারি বিকালে মানিক মিয়া মারপিট ও চুরির অভিযোগ এনে ছয়জনের নামে মামলা করলে তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ। সেই সুযোগে মানিক মিয়া জমিটি বেদখল দিয়ে বাউন্ডারি দেয়। সংবাদ সম্মেলনে খোদেজা খাতুনের ছেলে ও মেয়েরা উপস্থিত ছিলেন। খোদেজা খাতুনের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, জমিতে তার মা ধান আবাদ করে চলতো। আমাকে কারখানা করে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিবে বলে এলাকার চিকু, সুরুজ, শরীফুল ইসলাম, হীরা, বাবুল এবং শাজাহান জমিটি মানিক মিয়াকে দানপত্র দলিল করে দিতে বলে। পরে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে জমিটি দানপত্র দলিল করে দেই। কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও জমিতে কোনো কারখানা হয়নি। জমির মূল্য অনুযায়ী টাকা না দিয়ে তারা বেদখল দিয়েছে। জমিটি সাব কবলা করে দিতে আমার মাকে চাপ সৃষ্টি করে। এ নিয়েই তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয়। পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ধরে নিয়ে মারপিট করে মামলা দিয়েছে। পরে তিনদিন জেল খাটার পর জামিনে বের হয়েছি। এখনো তারা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। মানিক মিয়া বলেন, সাড়ে ছয় শতাংশ জমি আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। পরে জমিটি উদ্ধারে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় দরবারও হয়েছে। তাতে কোনো লাভ হয়নি। এখন জমিতে বাউন্ডারি দিয়ে দখলে নিয়েছি। মুক্তাগাছা থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, গত এক বছর আগে খোদেজা খাতুনের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক জমিটি মানিক মিয়ার কাছে বিক্রি করলেও তা দখলে নিতে পারেনি। তাই তাদের সহযোগিতা করা হয়েছে। অন্যায় কিছু করা হয়নি। আজকালের খবর/এএইস |