প্রকাশ: শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:৪০ PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের পক্ষ থেকে ৬ দফা দাবি জানিয়ে লিফলেট ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লিফলেটে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি নতুন এক বাংলাদেশ। নতুন বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে শিক্ষাব্যবস্থার পুনর্গঠন ও সার্বিক মানোন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্গঠন ও মানোন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সংস্কার বিনির্মাণ আশু জরুরি বলে আমরা মনে করি। গণবান্ধব বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাবির নতুন প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনর্গঠন ও মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে ‘জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলন’ ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে ৩৬ দফা ঘোষণা করেছে। জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটকে ভিত্তি করে ছাত্র-জনতা ও বাংলাদেশের কল্যাণে এই ৩৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন জরুরি।
‘জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলন’ এই ৩৬ দফার অন্তর্গত অতি জরুরি ৬টি দাবি উপস্থাপন করছে। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে:
১. ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সঠিক তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক মামলা দায়ের করতে হবে। হামলার উস্কানিদাতা শিক্ষকদের। বিরুদ্ধেও আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাসহ পরিবারতন্ত্রকে জিইয়ে রেখে নামকরনকৃত অন্যান্য স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের নামে স্থাপনাগুলোর নামকরন করতে হবে।
২. অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ক্লাসরুম সংকট নিরসন করতে হবে। বিশেষ করে, আইন অনুষদ এবং ব্যবসায় অনুষদের ক্লাসরুম সংকট নিরসনে অতিদ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
৩. ক্যাম্পাসে ছিনতাই, চুরি ও মাদক প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় আনতে হবে এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যানবহনের দৌরাত্ম নিয়ন্ত্রনে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আফসানা রাচি হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৪. কলা ও মানবিকী অনুষদে মাদ্রাসা এবং মানবিক বিভাগ হতে আসা ছাত্রদের ভর্তিতে সমস্ত বৈষম্য দূর করতে হবে। শিফটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে অভিন্ন প্রশ্নে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত এবং অভিন্ন মেধাতালিকা প্রণয়ন করতে হবে। সকল ভিসি কোটা বাতিল এবং পোষ্য কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।
৫. পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর চিকিৎসা কেন্দ্রকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপান্তরিত করতে হবে এবং পর্যাপ্ত ওষুধ ও সরঞ্জামাদি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। অবিলম্বে ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে হবে।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং, ধর্মতত্ত্ব এবং মেডিসিন অনুষদ চালু করতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।
আজকালের খবর/ওআর