প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:৫৭ PM
উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৭ টায় ঢাকার সুপ্রিমকোর্টের পাশে তাঁর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও দোয়া এবং মোনাজাত করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল, সাবেক সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন মিয়াজী, সাবেক উপ- সম্পাদক গৌতম দাস, সাবেক উপ- আইন সম্পাদক চৌধুরী সুকান্ত নাথ,
মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য জোবায়েরুল ইসলাম, নীলফামারী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আব্দুল হাকিম প্রামানিক, নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজম সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে একটি হোটেলকক্ষে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্ম ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারক স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান। শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন। শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কও। তার প্রচেষ্টায় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ফল ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট এবং অবিস্মরণীয় বিজয়। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় সুধীসমাজ তাকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করেন।
আজকালের খবর/আতে