প্রকাশ: বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:৩৮ PM
![](../2024/12/04/ak_1733308826.jpg)
যখন কেউ মানসিক অবসাদে চলে যায়। বিষন্নতার সঙ্গে লড়াই করতে থাকে। এটা তখন অন্ধকার সময় বলাই ভালো। এমন সময় যে কারো বেলাতেই আসতে পারে। এ সময়টায় কাছের মানুষের সহমর্মিতা খুব কাজে লাগে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বলছিলেন রইস’খ্যাত পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান।
আমনা হায়দার ইসানীর পডকাস্ট ইনার স্টারে এমন প্রেসক্রিপশন দেন মাহিরা। বলছিলেন, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে কথা বলা সহজ কিন্তু গভীরভাবে অনুসন্ধান করা কঠিন। কারণ তিনি যখন অবসাদগ্রস্থ ছিলেন তখন জীবন কতটা বেদনাময় হয়ে উঠেছিলো তা কাউকে বলে বোঝানো যাবে না। কারণ এটা ঠিক এমন এক বিষয় যা চোখে দেখে বোঝা যায় না, যা কেবল উপলব্ধির বিষয়।
“আপনি কাউকে এটি বলছেন না কারণ এটি একটি রোগ। বিষণ্নতা এবং অন্যান্য সমস্ত ধরণের [মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা] তা বাইপোলারিটি বা ম্যানিক ডিপ্রেশনই হোক না কেন, এগুলো সবই রোগ। তাদের কাছে এর জন্য ওষুধ ও চিকিৎসা আছে।”
নিজের অতীত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এই অভিনেত্রী বলেন, যখন তার অবস্থা সত্যিই খারাপ ছিল, তখন ওষুধ তাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল। এরপর সৃষ্টিকর্তার সহানুভূতি তাকে সামনে চলতে সাহায্য করে। ওই সময় আমি প্রার্থনায় সৃষ্টিকর্তার কাছে সঁপে দিয়েছি। পরিত্রানের জন্য তার কাছেই নিজের সব অহংকার ঝেড়ে অনুনয় করেছি। প্রার্থনা করেছি এমন অবস্থায় যেন কাছের মানুষগুলো ছেড়ে না যা। এতে মানসিকভাবে ভালো অনুভব করেছি। সুখের বিষয় কাছের মানুষগুলো আমাকে সমর্থন জুগিয়েছে।
“আমি মনে করি এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সুস্থ থাকার জন্য মানসিক সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ,”-যোগ করেন মাহিরা।
হামসাফার অভিনেত্রী আরো বলেন, বিষন্নতার মতো বিষয়গুলি নিয়ে খোলাখুলিভাবে কথা বলা প্রয়োজন। লজ্জা এক্ষেত্রে বড় বাধা। কিন্তু আমি বলবো এই লজ্জাকে এড়াতেই হবে। তাহলেই কেবল কাছের মানুষদের কাছ থেকে যোগ্য সমর্থন পাওয়া যাবে। তারা আপনাকে বুঝতে পারবে।
আজকালের খবর/আতে
নিজের অতীত অভিজ্ঞতা শেয়ার কওে মাহিরা বলেন, যখন আমি অবসাদ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পেরেছি, তখন অনেক মানুষ আমার কাছে এসেছে- এই ভেবে যে কিভাবে আমি নিজেকে সামলেছি। তারা জানতে চেয়েছিলো মূলত আমি কোন মানসিক ডাক্তারের শরনাপন্ন হয়েছিলাম বা কোন পাগলের ডাক্তার আমাকে দেখেছিলো। কিন্তু যখন তাদের পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছি তারা অবাক হয়েছে।