প্রকাশ: সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৫৭ PM আপডেট: ০২.১২.২০২৪ ২:৪৩ PM
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-২০২৪ শীর্ষক স্মৃতি লিখন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও বিজয় সন্ধ্যার আয়োজন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সিন্দাবাদ সাহিত্য সংসদ। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন জুলাই বিপ্লবে শহীদ সাব্বির হোসেনের পিতা আহমেদ আলী।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এরমধ্যে ১ম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা সহ সবাইকে মোট ৪২ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। তিনি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় উপস্থিত ছিলেন দেশ বরণ্য শিল্পী সুর সম্রাট মশিউর রহমান, শিল্পী ওবায়দুল্লাহ তারেক, জনপ্রিয় শিল্পী ও অভিনেতা আবু তৈয়ব মিসবাহ। পাশাপাশি ইবির ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যতিক্রম সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোটও পরিবেশনায় ছিলেন।
স্মৃতি লিখন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলেন, মো. ইয়াসিন আরাফাত (১ম), মোসাদ্দেক হোসেন (২য়), মোজাম্মেল হক (৩য়), ফাহাদ বিন হারুন (৪র্থ), মইন উদ্দিন (৫ম), নাঈম খান (৬ষ্ঠ), মাহবুবুর রহমান (৭ম), এহসানুল হক (৮ম), আব্দুস সামাদ (৯ম) ও জিহাদুল করিম (১০ম)। সবাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানের সর্বশেষ গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি রক্ষার্থে ‘লাল জুলাই’ নামক একটা নাটক মঞ্চস্থ করেন ব্যতিক্রম সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোট। সিন্দাবাদ সাহিত্য সংসদ এর পরিচালক আহসানুল হক তানিম বলে, ২০১২ সালে এর যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে আমরা জনসম্মুখে সক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারিনি। তবে আমাদের আজকে থেকে অফিশিয়াল কার্যক্রম শুরু বলা যেতে পারে। ইতিহাস কখনও নিভানো যায় না। সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় আমরা সহযোগিতা চাইবো।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমার মনে হয় বাংলাদেশে এই ধরনের উদ্যোগ প্রথম। এটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। এই জুলাই বিপ্লব আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। আজীবনকাল আমাদের স্মৃতিতে থাকবে যারা আত্মাহুতি দিয়েছে এবং নিজেকে বিসর্জন দিয়েছে। আর যারা পঙ্গুত্ব বরণ করছে বা আহত হয়েছে তাদের আশু আরোগ্যলাভ কামনা করতেছি। জুলাই বিপ্লবের স্মৃতিগুলো আমরা কেন্দ্রীয় ভাবে প্রকাশ করার চেষ্টা করব। জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি বা ঘটনাগুলো প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ স্টাডিজ বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তজ্জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আহ্বান করব।
তিনি লাল জুলাই নাটক সম্পর্কে বলেন, আমি নির্বাক এই নাটক দেখে। আমি আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম তখনকার বাস্তব চিত্রে ফিরে গেছি। এমন কোনো দর্শক ছিল না যারা নাটকটা দেখে কাঁদেনি। আমি বলে রাখতে চাই আমি যতদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি ততদিন জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট ধরে রেখে কাজ করব।
আজকালের খবর/বিএস