চার দিনের ব্যবধানে রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশাল ও কোতোয়ালি এলাকায় ৩৩৬ ভরি সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে কিছু সোনা উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার রাত ১১টায় একজন সোনা ব্যবসায়ীর কর্মচারী তাঁতীবাজার থেকে ২৫০ ভরি সোনা নিয়ে গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। নয়াবাজার মোড়ে পৌঁছালে দু–তিনজন ব্যক্তি তাঁকে মারধর করে সোনা ছিনিয়ে নেন। পরে তাঁকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সোনা ব্যবসায়ী বলেন, ‘২৫০ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ায় আমি মহাবিপাকে পড়েছি।’
এ প্রসঙ্গে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, নয়াবাজার থেকে ২৫০ ভরি সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে কিছু সোনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনার পরদিন গত রোববার আশরারুর ইমাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তিনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার রাজীব ঘোষ নামের আরেক ব্যক্তি কারাগারে আছেন।
ওই ঘটনার তিন দিন পর পুরান ঢাকার জজকোর্টের সামনে আবারও সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত নয়টার দিকে একজন ব্যবসায়ী ১ কেজি (প্রায় ৮৬ ভরি) সোনা নিয়ে জজকোর্টের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুই ব্যক্তি তাঁর পথরোধ করেন। পরে তাঁর হাতে কামড় দিয়ে সোনা ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় শফিকুল রহমান ও আল আমিন খান নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আজকালের খবর/এমকে