প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তার জন্য কাজ না করে, বরং ‘সিন্ডিকেট’ মেইনটেন করে এবং টেকনাফকে টাকা বানানোর একটি ‘খনি হিসেবে’ গ্রহণ করে।”
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বাবাকে না পেয়ে ১৪ বছরের শিশুকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ এনে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উখিয়া-টেকনাফের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব উখিয়া-টেকনাফ (ডুসাট) এর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করে এই দাবি জানান।
সংগঠনের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বলেন, “ গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, শিশুটির বাবাকে না পেয়ে তাকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রশাসনের প্রতি সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।”
‘আমরা আর শেখ হাসিনার ‘ওসি প্রদীপের যুগে’ ফিরে যেতে চাই না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা উখিয়া ও টেকনাফের মানুষের নিরাপত্তা চাই।”
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, “উখিয়া -টেকনাফ প্রশাসনের মাধ্যমে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও পাহাড়, বন, নদী, খাল ও সরকারি খাস জমি দখলকারীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
“নাফ নদীর জেলের সমস্যার সমাধান করতে হবে। সর্বোপরি টেকনাফ -উখিয়ার শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতে হবে।”
শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার বলেন, “আমি ঢাকায় থাকলেও টেকনাফে আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য সবসময় উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। প্রতিনিয়ত অপহরণ, সন্ত্রাস এবং নিপীড়নের আতঙ্কে থাকতে হয়।
“কারণ, প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তার জন্য কাজ না করে, বরং ‘সিন্ডিকেট’ মেইনটেন করে এবং টেকনাফকে টাকা বানানোর একটি ‘খনি হিসেবে’ গ্রহণ করে।”
‘নতুন বাংলাদেশে’ টেকনাফের উন্নয়ন আশা করেছিলেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কিন্তু ১৪ বছরের একজন শিশুকে অস্ত্র মামলায় জেলে পাঠানোর ঘটনায় আমরা আবারও ‘পূর্বের দিনে’ ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত পাচ্ছি।”
সংগঠনটির সদস্য ফারজানা আক্তার আরজু, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মিজানুর রহমান এবং ডুসাটের সাবেক সভাপতি মোর্তাজা হোসেন শাফিও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।
কর্মসূচিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে তদন্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া, উখিয়া ও টেকনাফে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং কোস্টগার্ডে ‘সৎ ও দক্ষ’ কর্মকর্তাদের নিয়োগ, প্রশাসনের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা, কোনো অফিসারের এক বছরের বেশি যেন দায়িত্বে না থাকা নিশ্চিত করা, কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ ১০টি দাবি জানানো হয়।
আজকালের খবর/এমকে