প্রকাশ: শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:৫৩ PM
ফিচার ফিল্ম ক্যাটাগরিতে ৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য অস্কার মনোনয়ন পেয়েছে পাকিস্তানের প্রথম অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘দ্য গ্লাসওয়ার্কার’। দ্য একাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেয়।
এক ঘোষণায় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- এবারে প্রতিযোগিতায় ৩১টি অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রের সঙ্গে ১৬৯টি তথ্যচিত্র এবং ৮৫টি ফুললেন্থের চলচ্চিত্র অস্কার মনোনয়ন পেয়েছে। পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
জিও ফিল্মসের প্রযোজনায় মানো অ্যানিমেশন স্টুডিওর সহযোগিতায় সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে; যা পাকিস্তান থেকে অস্কারে সুযোগ পাওয়া প্রথম অ্যানিমেটেড ছবি হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
অস্কারে ৩০ মিলিয়ন রুপির ‘দ্য গ্লাসওয়ার্কার’ সিনেমাটিকে হলিউডের দুই শ’ মিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ৪২০ কোটি টাকা খরচে নির্মিত ‘পিক্সার্স ইনসাইড আউট-২’ এর সঙ্গে লড়তে হবে। সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ১.৬৯ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে। যা ইতিমধ্যেই সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়কারী অ্যানিমেটেড ফিল্ম হিসেবে রেকর্ডবুকে স্থান করে নিয়েছে। এবারের আসরে অস্কারের জন্য মনোনীত হওয়া এনিমেটেড সিনেমার মধ্যে কুং ফু পান্ডা ৪, ডেসপিকেবল মি ৪ এবং জাপানিজ এন্ট্রি কেনসুকের কিংডম উল্লেখযোগ্য।
জিও জানিয়েছে- ‘দ্য গ্লাসওয়ার্কার’ সিনেমা তৈরিতে এক দশক সময় লেগেছে। এর প্রতিটি দৃশ্য সমালোচকদের প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। বিশেষ করে এর গল্প বলার ঢং, সিনেমাটোগ্রাফি, আবহ সঙ্গীত, চিত্রনাট্য, অ্যারেজমেন্ট, অ্যানিমেশন এবং ভয়েস ওভার ওভার পারফরম্যান্স সবাইকে মুগ্ধ করেছে।
গল্পটিতে দেখানো হয়েছে- ‘মাস্টার গ্লাস ওয়ার্কার টমাস অলিভারের ছেলে ভিনসেন্ট অলিভার। সমুদ্রতীরবর্তী শহর ওয়াটারফ্রন্টে তাদের বসবাস। শহরটি সিলিকন সমৃদ্ধ বালির জন্য বিখ্যাত। একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে ভিনসেন্ট তার প্রথম কাচের কাজের প্রদর্শনীর জন্য প্রস্তুতি জানিয়ে শৈশবের বন্ধু অ্যালিজ আমানোর কাছ একটি চিঠি প্রেরণ করেন। চিঠিটিতে উঠে এসেছে বাবার হাত ধরে প্রশিক্ষিত হওয়া অতীতের গল্প। উঠে এসেছে কর্নেল আমানোর কন্যা অ্যালিজের সাথে তার দেখা হওয়া প্রসঙ্গ। ভালো বেহালাবাদক হিসেবে অ্যালিজের প্রতি প্রেমাসক্ত এক সময় তাদের মধ্যে ঘনিষ্টতার স্মৃতিও পত্রে উঠে আসে।’
তবে জীবন যখন শান্ত আর সরল রেখায় চলছিলো ঠিক তখনই শুরু হয় যুদ্ধ। ভিনসেন্টের প্রতিদ্বন্দ্বী মালিকসহ স্থানীয়রা সামরিক বাহিনীতে যোগ দেয়। টমাসকে সামরিক বাহিনীর জন্য উন্নত গ্লাস রেকটিফায়ার তৈরি করতে বাধ্য করা হয়। একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিনসেন্ট এবং অ্যালিজের মাঝে তর্ক শুরু হয়। ঠিক হেমন্তের বিখ্যাত সেই গানের মতোই তারা দুজন দুদিকে বিচ্ছিন্নতার দিকে যায়। এরমধ্যে অ্যালিজের বাবা যুদ্ধে নিখোঁজ হন। প্রিয়তমাকে শান্তনা দিতে ভিনসেন্ট এগিয়ে আসে অতীরে তিক্ততা ভুলে। এভাবেই গল্প এগিয়ে যায় ‘দ্য গ্লাসওয়ার্কার’ সিনেমায়।
সিনেমাটি পরিচালনা, চিত্রনাট্য, সিনেমাটোগ্রাফি এবং মিউজিক কম্পোজ করেছেন উসমান রিয়াজ। উর্দু ভাষা নির্মিত ‘দ্য গ্লাসওয়ার্কার’ ছবিটি মান্ডাভিওয়ালা এন্টারটেইনমেন্ট কর্তৃ গত ২৬ জুলাই মুক্তি পায়।
আজকালের খবর/আতে