জুলাই বিপ্লবোত্তর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংস্কার ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর মোট ২৪টি ভাগে ১১০ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছেন ইবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এইচ এম আবু মুসা ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসানের উপস্থিতিতে প্রস্তাবনাগুলো হস্তান্তর করেন তারা।
এর পরে একই দিনে দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি-তে সংবাদ সম্মেলন করেন সংগঠনটি।
স্মারকলিপির মধ্যে আওয়ামী দুঃশাসনে অনিয়মের তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ, বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তন, জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি সংরক্ষণ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ, আবাসিক হল সংক্রান্ত, বিভাগ, অনুষদ ও একাডেমিক কার্যক্রম, নিরাপদ ও মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস, কেন্দ্রীয় গ্রন্থগার সংস্কার, ধর্মীয় উপাসনালম, চিকিৎসা সেবা প্রবৃদ্ধি, ছাত্র সংসদ, প্রশাসনিক কার্যক্রম, গবেষণা বৃদ্ধি, পরিবহন সেবা, ভর্তি পরীক্ষা, আইআইইআর, মরণব্যাধি নিরাময় তহবিল ও ছাত্রকল্যাণ ফান্ড, গ্রিন ক্যাম্পাস-ক্লিন ক্যাম্পাস, ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যান্টিন চালু বিষয়ক, মননশীল সাংস্কৃতিক চর্চা, ক্রীড়া ও শরীরচর্চা ক্ষেত্র, নিয়োগ প্রক্রিয়া, ক্যাম্পাসের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিবিধ সংস্করণের প্রসঙ্গে উঠে আসে।
সংগঠনটির ইবি শাখা সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, আমাদের আগে অন্য সংগঠনও প্রস্তাবনা পেশ করেছিল। তবে আমাদের একটু সময় নিতে হয়েছে। আজকে উপাচার্য বরাবর ১১০ প্রস্তাবনা পেশ করে প্রেস ব্রিফিং করেছি। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের চাওয়ার ওপর ভিত্তি করে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
ইবি শাখা সভাপতি এইচ এম আবু মুসা বলেন, আমরা উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করেছি এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আমরা। উপাচার্য স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা আপাতত ইকসু নির্বাচনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। দলীয় সংগঠনের প্রতিনিধি কিন্তু সবকিছু বলতে পারে না। তবে ইকসু ভিপি যিনি হবেন তিনি কিন্তু সিন্ডিকেট সভার সদস্য হন। এক্ষেত্রে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করে দাবিদাওয়া পেশ করার জন্য ভূমিকা রাখতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, তারা যৌক্তিক দাবি উত্থাপন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নতমানের দিকে নিয়ে যেতে এই সংস্কারমূলক প্রস্তাবনা আমাদের সহায়ক হবে বলে আশাবাদী। বাস্তবায়নে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। ম্যাক্সিমাম প্রস্তাবনা নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ করছে, আমরা আরও চেষ্টা করছি বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নত করার৷ সংশ্লিষ্টদের দিকনির্দেশনা দিয়েছি, বিভাগীয় সভাপতি ও ডিনদেরও নির্দেশনা দিয়েছি যাতে ক্লাস পরীক্ষা নিয়মিত হয়। বাদ বাকি যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো আমাদের মাথায় আছে।
আজকালের খবর/বিএস