শেরপুরে মুর্শিদপুর পীরের দরবারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের নাম হাফেজ উদ্দিন (৩৯)। তিনি সদর উপজেলার লছমনপুর এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর এলাকার মুর্শিদপুর পাক দরবার শরিফের খাজা মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা হায়দার ওরফে দোজা পীরের দরবারে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় দুইপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন আহত হয়। তাদের শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে দরবারবিরোধী পক্ষের হাফেজ উদ্দিনের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আজ সকালে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, গত পাঁচ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই মুর্শিদপুর দরবার শরীফের কার্যক্রম বন্ধের হুমকি দিয়ে আসছিলেন সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের জামতলা এলাকার ফারাজিয়া আল আরাবিয়া কওমি মাদরাসার সুপার মো. তরিকুল ইসলামসহ স্থানীয়রা। দরবার বন্ধের দাবিতে মাদরাসা ও লছমনপুর এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি-বিক্ষোভ সমাবেশও হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার হামলার ঘটনা ঘটে।
থানা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় থানায় দু’টি আলাদা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশ আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে।